মুভি রিভিউ || দৃশ্যাম-২
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
২৫শে জানুয়ারি, বুধবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।আমার দেখা চমৎকার একটা মুভি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব আশা করি ভালো লাগবে।
| পরিচালক | অভিষেক পাঠক |
| ------------ | ------------ |
| গল্প লেখক | আমিল কেয়ান খান , অভিষেক পাঠক |
| প্রোডাকশন | ভূষণ কুমার,কৃষাণ কুমার,কুমার মঙ্গত পাঠক,অভিষেক |
| মুক্তির তারিখ | ১৮ নভেম্বর ২০২২|
| চলমান সময় | 140 মিনিট |
| দেশ| ভারত |
| ভাষা | হিন্দি |
| অজয় দেবগন | অক্ষয় খান্না |
| ------------ | ------------ |
| টাবু | শ্রিয়া শরণ |
| ঈশিতা দত্ত | রজত কাপুর|
| রজত কাপুর| সৌরভ শুক্লা
| সহ আরো অনেকে |
এই মুভির প্রথম পার্টটা আমার খুবই পছন্দের একটা মুভি ছিল, অনেক আগের মুভি ছিল তাই এর নাম আমার মনে ছিল না, যখনই এর দ্বিতীয় পার্ট চলে আসলো তখনই আমার মনে পড়ল প্রিয় সেই মুভিটির কথা।
প্রথম অংশে আমরা মূলত দেখেছিলাম একটা ছেলেকে হত্যা করার পর তার লাশটাকে কিভাবে গুম করে ফেলা হয়, পুলিশ প্রশাসন কেউই সেই লাশের সন্ধান পায়নি। একটা এক্সিডেন্ট কে লুকানোর জন্য যত পরিমান বুদ্ধি খাটানো যায় সবটাই এই মুভিতে রছেছে, তার দ্বিতীয় পার্ট আরো রোমাঞ্চকর কারণ এখন লাশ উদ্ধার করা হবে কিভাবে আমাদের হিরো বেঁচে যায় সেটাই তুলে ধরা হবে।
মুভির প্রথম অংশের কিছু সিন এই দ্বিতীয় অংশতেও দেখানো হয়, যেমনটা আমাদের অজয় স্যার লাশটাকে লুকানোর চেষ্টা করছে, মুভিটা ২০২২ সালে তৈরি হলেও ০৪ অক্টোবর ২০১৪ তারিখ টা খুবই ইম্পরট্যান্ট।
এই ৬,৭ বছরে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে, আমাদের মুভির হিরো আগে একটা ক্যাবলের বিজনেস করত, এখন তার সিনেমা হল রয়েছে এবং সে নিজেও একটা সিনেমা নির্মাণ করার চেষ্টা করছে। হঠাৎ করেই যে ছেলেটার মৃত্যু হয়েছিল তার বাবা এসে হাজির হয়। তার একটাই চাওয়া ছিল তার ছেলের লাশটা যেন ফিরিয়ে দেয়া হয় কিন্তু এটা কোনভাবেই সম্ভব ছিল না।
এইদিকে একটা পরিবার ঘুরে বেড়াচ্ছে আনন্দে পিকনিক করছে, অন্যদিকে ছেলের পরিবারটি প্রতি বছর এইখানে আসে তার ছেলের মৃত্যুর বদলা নিতে, তার আত্মার শান্তির জন্য এখানে হয়তো একত্রিত হয়েছে সবাই, তবে ছেলের মা একজন পুলিশ অফিসার সে কোন ভাবেই তার ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করবেন না।
এই সাত বছরে কেস ক্লোজ হয়নি বরং তাদের উপর নজর দাড়ি করার জন্য তাদেরই জমির একটা অংশ কিনে নিয়েছিল এই দম্পতি যারা কিনা পুলিশের জন্য কাজ করছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া করে থাকে যার কারণে পুলিশ কেস করার জন্য অজয় স্যার পুলিশ নিয়ে আসেন, কিন্তু তারা জানতো না এই দম্পতিরাই পুলিশের জন্য কাজ করছে। শুধুমাত্র তাদের পরিবারের উপর নজরদারি করার জন্য।
সেই সাথে শহরে নতুন একজন পুলিশ অফিসার আসে, যে কিনা পুরো কেসটাকে হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করবে।
এতদিন যারা দম্পতির অভিনয় করেছে তাদের দুইজন সহ নতুন পুলিশ অফিসার এবং হত্যা হয়ে যাওয়া ছেলের মা তারা সবাই একত্রিত হয়ে এই কেসটাকে কীভাবে নতুন মোড় নিয়ে আসা যায় সেই আলোচনা করছে, সাত বছরে ওই দম্পতি পুলিশ অনেক তথ্যই সংগ্রহ করেছে তাদের জন্য।
সেই সাথে নতুন পুলিশ অফিসার তার অবস্থান জানান দেয়ার জন্য বিভিন্ন সময় চেষ্টা করেছে ভয় দেখানোর জন্য, যাতে করে তাদের থেকে আরও তথ্য বের করা যায়।
মনে আছে ওই তারিখটার কথা ঐদিন দুইটা মার্ডার হয়েছিল, অজয় স্যার যখন লাশটাকে মাটি চাপা দিচ্ছিল তখন অন্য আরেকটা মানুষ খুন করে ওই একই রাস্তা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল, এত বছর পর সে এসেছে পুলিশের কাছে তথ্য জানান দিতে, মূলত লাশটাকে নতুন পুলিশ স্টেশনের নিচেই চাপা দেয়া হয়েছিল। মূলত এজন্যই পুলিশরা সব জায়গায় খুঁজলেও লাশটাকে পায়নি কারণ লাশটা তো থানার নিচেই অবস্থান করছিল।
এ পর্যায়ে আসার পর সকলেই ভাবতে পারে এখন বুঝি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যাবে, কিন্তু মজার বিষয় হলো সে যেভাবে খুন করেছে প্রত্যেকটা জিনিসই সে নিখুঁতভাবে লিখে রেখে যায় এবং সেটাকে সে একটা বই আকারে প্রকাশ করেছে যা পরবর্তীতে মুভি তৈরি হওয়ার কথা ছিল যেটা তার নিজেরই।
কিন্তু বই অথবা মুভি কোথাও তার নিজের নাম উল্লেখ করা ছিল না অর্থাৎ সে ডিরেক্টরের কাছেই পুরো মুভিটা দিয়ে দিয়েছিল, এইটা হয়ে যায় তার অস্ত্র। কারণ শেষ মুহূর্তে এসে পুলিশের এই ঘটনাগুলোকে সে একটা মুভির ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করে, এতে করে পুরো সত্যি ঘটনাটি একটা নাটকীয় ঘটনাবলী মনে হয়।
এবং সত্যিই সবাই বিশ্বাস করে এটা একটা মুভির গল্প ছিল, এবং এভাবেই একটা হত্যাকে পূর্ণ নাটকীয় ভাবে ধামাচাপাতে হয়। হাইকোর্ট থেকে যখন কেসটা সবসময়ের জন্য ক্লোজ করে দেয়া হয়, ঠিক তখনই তার ছেলের লাশের অস্থি তাদের বাড়ির সামনে রেখে দেয়া হয়। তারপর অজয় স্যার এবং তার পরিবার আবারও সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকে।
মুভি ট্রেলের ভিডিওটাই অসাধারণ আপনার মুভিটা দেখার আগ্রহ কয়েকগুন বাড়িয়ে দেবে।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.