কলিজার আধখান || নাটক রিভিউ
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
১৩ সেপ্টেম্বর, বুধবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি। আজ একটা নাটক আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবো আমার রিভিউ পোষ্ট করার মাধ্যমে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগেবে।
| পরিচালক | মুহাম্মদ মিফতাহ আনান |
|---|---|
| লেখক | মুহাম্মদ মিফতাহ আনান |
| প্রকাশিত | ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ |
| সময় | ৫২:৩৩ মিনিট |
| মুসফিক আর ফারহান | তানজিন তিশা |
|---|---|
| শর্মি শারমিন | সেজুতি খন্দকার |
| আনোয়ার এইচ এন | রেশমা আহমেদ |
বেশ অনেকদিন পর নাটক রিভিউ করছে, মুভি রিভিউ করতে বেশি ভালো লাগে কেননা সেখানে বেশ ভালো একটা ঘটনা এবং বেশ সময় নিয়ে রিসার্চ করা যায়, নাটক কিন্তু তেমনটা করা যায় না, তবু আজকে এমন একটা নাটক নিয়ে এসেছে যেটা আপনার অবসর সময়কে খানিকটা হলেও আনন্দ দিতে পারে।
গ্রাম অঞ্চলে কিংবা শহরেও কিছু কুসংস্কার রয়েছে, বিশেষ করে নববিবাহিত মানুষদের যাদের বাচ্চা কাচ্চা হচ্ছে না। অনেক সময় শিক্ষার অভাবে মানুষ ডাক্তারের কাছে নাই গিয়ে প্রথমে চেষ্টা করে কবিরাজের কাছে যেতে। ঠিক তেমনটাই এই নাটকের মধ্যে দেখা যায়, তাদের বিয়ে হয়েছে তিন বছর কিন্তু এখনো সন্তানাদি হয়নি। নাটকের নায়িকা তিনি বেশ ভালো বিশ্বাস করেন এই সকল কবিরাজদেরকে।
কবিরাজদের বিভিন্ন পাগলামি সে বাস্তবায়ন করে থাকে, যেমন ধরুন মাঘ মাসের শীতের মধ্যে রাত্রেবেলা তার হাজবেন্ড কে সে পুকুরে গোসল করাবেন, বিভিন্ন রকমের জিনিস পালন করা, উদ্ভট সব খাবার তাকে দেয়া, একগাদা তাবিজ শরীরে বহন করা ইত্যাদি ছিল তাদের মৃত্যুদিনের ঘটনা কারণ কিছুদিন পরপরই নতুন নতুন কবিরাজের আগমন হয়ে থাকে গ্রামে।
তারা কিন্তু খুবই কিউট একটা কাপল, দুজনের মধ্যে ভালোবাসা কিন্তু আপনাকে মুগ্ধ করে দেবে। যদিও ছেলেটা এসব যাদু-টোনায় বিশ্বাস করত না কিন্তু বউয়ের ভালোবাসার কারণে সে কিছু বলতে পারত না। গ্রামবাসীর সবাই জানতো কোন একটা প্রবলেম রয়েছে ছেলেটার তাই তাদের বাচ্চাকাচ্চা হচ্ছে না ।
তবে একবার তাদের সবকিছুতে ব্যর্থ হয়ে ডাক্তারের কাছে যায়, টেস্ট করার পর জানা গেল সমস্যাটা আসলে মেয়ের মধ্যে, তবুও তারা একে অপরকে ছেড়ে যায়নি তারা একটা বেবি এডপ করে, তারা বাচ্চাটার খুব মায়ায় পড়ে যায়, কিন্তু দুর্ঘটনাবশত বাচ্চাটা একজন চুরি করে তাদের কাছে বিক্রি করেছিল। পুলিশ এসে অপরাধীকে ধরে নিয়ে যায় এবং বাচ্চাটিকে তাদের আসল বাবা-মার কাছে পৌঁছে দেয়, এই পার্টটা খুবই ইমোশনাল ছিল কেননা তিন বছর চেষ্টার পরেও যাদের বাচ্চা হয়নি তাদের কাছ থেকে যখন বাচ্চা নিয়ে যাওয়া হয় তখন তাদের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায় ।
তবুও তারা বাচ্চাটার মায়া ছাড়তে পারিনি তারা গ্রাম থেকে মাঝে মাঝেই আসেন শহরে দূর থেকে বাচ্চাটাকে দেখার জন্য, আসার সময় হয়তো খেয়াল না চকলেট ইত্যাদি অনেক কিছু নিয়ে আসেন কিন্তু বাচ্চাটাকে তারা দিতে পারে না তারা দূর থেকেই বাচ্চাটাকে দেখে চলে যায়, মোটামুটি একটা রোমান্টিক এবং ইমোশনাল নাটক ছিল এটা।
আপনি চাইলে নাটকটি ইউটিউব থেকে দেখে নিতে পারেন।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
.gif)
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
𝕋𝕙𝕒𝕟𝕜 𝕪𝕠𝕦 𝕖𝕧𝕖𝕣𝕪𝕠𝕟𝕖
মুশফিক ফারহান এবং তানজিন তিশা কিউট একটি জুটি। তাদের অভিনীত কলিজার আধগান নাটকটি আমি কিছুদিন আগেই দেখেছি।নাটকটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে শেষের দিকে খুবই ইমোশনাল হয়ে গেছিলাম। যাইহোক নাটকটির এত সুন্দর রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন শেষ দিকের ইমোশনাল অংশগুলো সবাইকেই ইমোশনাল করে দিয়েছে বলে আমি মনে করি, অসংখ্য ধন্যবাদ এত চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন আপনি। আর আপনি খুবই ভালোভাবে এই নাটক এর রিভিউ করেছেন। এই নাটকটি আমি এখনো দেখিনি। তবে সময় করে অবশ্যই আমি এই নাটকটি দেখে নিব। অসম্ভব সুন্দর হয়েছে এই নাটকটি ৷
যদি নাটক দেখার অভ্যাস থাকে বা নাটক দেখতে ভালোবাসেন তাহলে অবশ্যই দেখবেন দেখার আহ্বান থাকলো ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ উপস্থাপন করেছেন ভাই। কালকে এই নাটকটি দেখলাম। আমি মুশফিক আর ফারহানের নাটক বেশি পছন্দ করি।নাটকটি দেখে খুব ভালো লাগছিল। তবে পরের কাহিনী টা দেখে একটু কষ্ট পেয়েছি। ধন্যবাদ ভাই নাটকটির রিভিউ করার জন্য।
এটা ভালো লাগলো আপনার দেখেছেন প্রথমদিকের অংশ মোটামুটি ভালো ছিল এবং শেষের দিকে অংশ এসে একটু বেশি ইমোশনাল হয়ে যায়।
মুশফিক আর ফারহান হলো একজন ভালো মানের অভিনেতা। তিনি সব ধরনের অভিনয়ে পারদর্শী। তার নাটকগুলো কিন্তু আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে এই নাটকটি আমি অনেক বার দেখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সময়ের জন্য আর হয়ে উঠেনি। বেশ সু্ন্দর করে নাটকটির রিভিউ করেছেন ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন তারা দুজনই চমৎকার অভিনয় করে এবং তাদের অভিনয় স্কেলটা খুবই ভালো, তারা যেমন রোমান্স করেছে তারা ঠিক তেমনি কমেডি করেছে আবার ঠিক তেমনি ইমোশনাল একটা টাচ দিয়েছে।
অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন ভাইয়া। যদিও নাটকটি আমি দেখিনি। তবে রিভিউ এর মধ্যে দিয়ে বেশ ভালো লাগলো নাটকটি। তবে লাস্ট মুহূর্তের কাহিনী টা একটু কষ্ট করে ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ফানি রোমান্স এন্ড ইমোশনাল এর কম্বিনেশনে যদি আপনি কোন নাটক করতে চান তাহলে আপনি এটা দেখতে পারেন, আশা করি এই তিনটা জিনিস আপনি নাটকের মধ্যে পাবেন।
ফারহান এবং তানজিম তিশা অনেক সুন্দর অভিনয় করে। আমার কাছে সব সময় তাদের নাটক গুলো দেখতে ভালো লাগে। কলিজার আধখান নাটকটা আমার এখনো পর্যন্ত যদিও দেখা হয়নি, তবে রিভিউ পোস্ট পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। এই নাটকটার মধ্যে খুবই ইমোশনাল ব্যাপার ছিল যা অনেক খারাপ লেগেছে। সময় পেলে নাটকটা দেখে নেব।
নাটকের মধ্যে খুব চমৎকার ভাবে কমেডি রোমান্স এই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে, আপনি দেখতে পারেন যদি আপনার নাটকের এই ধরনের ধাপগুলো ভালো লাগে।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। আসলে এই নাটকের মধ্যে গ্রামের কিছু দৃশ্য দেখা গিয়েছে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে আমাদের দেশের মানুষের এটাই সবথেকে বড় সমস্যা প্রথমেই কবিরাজের সহানুপূর্ণ হয়। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আগে প্রচুর এরকম বাচ্চা চুরির ঘটনা হয়তো, এখনো হয় কিনা জানিনা। তবে নাটকটা বলবো না ইউনিক ছিল কারণ এরকম ঘটনা আমি দেখেছি আগেও কিন্তু নতুন ভাবে ফুটে উঠেছে।
খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। পুরো নাটকের রিভিউ পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। যদিও নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
যেহেতু এই বইটা পড়েছেন নাটক নিয়ে দেখে ফেলেছেন নিশ্চয়ই, যদি দেখে না থাকেন অবশ্যই দেখে নেবেন যদি নাটক দেখতে পছন্দ করেন।