শততম হ্যাংআউটের অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
২০ মে, শনিবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
আমার মনে হয় গান গাওয়া ছেড়ে দিয়েছি প্রায় বছর খানেক হয়ে যাবে, শেষ পাঁচ ছয় মাস তো আমি তেমন একটা একটিভ নেই। একটা ভালোবাসার টানে একটা মায়ার টানে লিখা লিখি করার একটা নেশা থাকার কারণে সময় হলেই চলে আসি আমার বাংলা ব্লগে ।
আমি যদি বলি আমি একটা জিনিস অর্জন করতে পেরেছি সেটা হল কিছু মানুষের ভালোবাসা, এখনো মানুষ আমাকে মনে করে এখনো এডমিন মডারেটররা আমার কথা স্মরণ করেন এটাই বোধ হয় আমার সার্থকতা।
কেন জানিনা মিউজিক থেকে একটু দূরে সরে গিয়েছিলাম, নুর আপু , আরিফ ভাই সহ আরো অনেকেই অনেকবার বলেছেন কিন্তু তবুও কেন জানিনা হ্যাংআউট প্রোগ্রামে গান করা হয়ে ওঠে না।
কিংপ্রোস দাদা যখন আমাকে ডি এম করলো তখনই মূলত আমি জানতে পারলাম আমাদের শততম হ্যাংআউটের কথা, সত্যি বলতে এত সকালে বের হই এবং এত রাতে বাসায় আসি ডিসকাউন্ট চেক করা হয়ে ওঠেনা তাই একদিন পর আমি দাদার মেসেজটা পেলাম।
শততম শব্দটা শুনেই আনন্দে মনটা ভরে উঠলো, এবং আমাকে যখন পার্টিসিপেট করার জন্য ইনভাইট করা হলো মনটা ভরে গেল আরো একবার । বেশ অনেকগুলো মাস পরেই গিটারটা আবার হাতে নিলাম ধুলোবালি জমা ব্যাগ থেকে গিটারটা বের করলাম, ভাবতে থাকলাম কি গান করা যায়।
অফিস থেকে এসে ঠিক করলাম কোন গানটি করব এবং কর্ড গুলো বের করে একটু প্র্যাকটিস করে নিলাম। বৃহস্পতিবার এমনিতেও কাজের চাপ একটু বেশি থাকে, তবুও চেষ্টা করেছি তাড়াতাড়ি বাসায় আসার জন্য তাও দেরি হয়ে গেল, যখন সবাই গান করবে ঠিক তখনই আমার লোডশেডিং হলো।
এত খারাপ লাগছিল তখন আমার, পরক্ষণেই যখন আবার বিদ্যুৎ ফেরত আসলো এবং হঠাৎ করেই শুভ ভাই আমার নামটা ডাকলো, আমি ভেবেছিলাম আর একটু ওয়েট করতে হবে যেহেতু আমার নাম চলে এসেছে তাড়াতাড়ি গিটারটা হাতে নিয়ে মাইক অন করে ফেললাম।
নেটওয়ার্ক প্রবলেমের কারণে জানিনা গানটা সবার কাছে কেমন লেগেছে, তাছাড়া অনেকদিন পর গান করছি নিজের কাছেও একটু নার্ভাস লাগছিল। কিন্তু সবার ভালবাসা পেয়ে খুব ভালো লাগলো, সব কিছুর ভিড়ে একটা জিনিস মিস করছিলাম, তা হলো গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা দেওয়ার সেই মানুষগুলোকে, কি পাগলামি না করতাম। না ঘুমিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত কখনো বা শেষ রাত পর্যন্ত আড্ডা দিতাম, সেদিনের ওই গানটা আমাদের হারিয়ে যাওয়া সেই সকল ইউজারদেরকে ডেডিকেট করলাম।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
শততম হ্যাংআউট নিয়ে আপনার অনুভূতির কথা জানতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। ভাই আপনার গানটা অসাধারণ লেগেছিল আমার কাছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
শততম হ্যাংআউটকে ঘিরে আজকে আপনি আপনার অনুভূতি লিখে ফেলেছেন। সত্যি ভাই আপনি অনেক সুন্দর গান করেছিলেন আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছিল আপনার গানটা। অনেকদিন পর গান করলেও খুবই সুন্দর হয়েছিল। খুব সুন্দর ভাবে নিজের অনুভূতিটা এই পোস্টের মাধ্যমে লিখে ফেলেছেন। সম্পূর্ণটা পড়ে ভীষণ ভালোই লেগেছে আমার কাছে।
আসলে অন্য কাজে ব্যস্ত থাকলে নিয়মিত এখানে এক্টিভ থাকা একটু কষ্টকর। গান ছেড়ে দেয়ার পরও এডমিন মডারেটর ভাইয়ের অনুরোধে আপনি শততম হ্যাংআউটে সুন্দর একটি গান পরিবেশন করেছেন। আপনার গানটি বেশ ভালই লেগেছিল। শততম হ্যাংআউট নিয়ে আমাদের সকলের অনেক বেশি উৎসাহ কাজ করছিল। আপনার অনুভূতি পরে বেশ ভালো লাগলো।
এরকম ব্যস্ততার মাঝেও আপনি আমাদের মাঝে হাজির হওয়ার চেষ্টা করেন সবসময়। ঐদিন হ্যাংআউটে আপনি যে গানটি গিয়েছিলেন ওটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল শুনতে। আসলে এরকম গানগুলো শুনলে আমি একটু বেশি পছন্দ করি। নিজের অনুভূতিটা আজকে খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ১০০ তম হ্যাংআউটে গান করার জন্য আপনি ধুলোবালি জমা ব্যাগটি থেকে গিটার বের করেছিলেন। এবং আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটা গান নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। সব মিলিয়ে আপনার অনুভূতির কাজটা অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার কাছে।
শততম হ্যাংআউটের অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। গিটার বাজানোর পাশাপাশি আপনার গান শুনতে আমার খুব ভালো লেগেছে। এতো ব্যস্ততার মধ্যে আপনি এতো সুন্দর একটি গান আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন, সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।