র্যাগ ডে
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
২৩শে ডিসেম্বর, শনিবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
অবশেষে আমরা আমাদের ইউনিভার্সিটি লাইফ শেষ করলাম, এখনো অফিশিয়ালি শেষ হয়নি কারণ পুরো একটা সেমিস্টার বাকি রয়েছে যেখানে আমরা ইন্টার্নশিপ করবো। তবে যেহেতু বেশিরভাগ স্টুডেন্ট চাকরিজীবী তাই তাদের এটা নিয়ে খুব একটা মাথা ব্যথা নেই, আমাদের আর ক্লাস করতে হবে না কিংবা পরীক্ষার যানজট থাকবে না।
গতকাল তিনটা পরীক্ষা ছিল, পরীক্ষা শেষ করে আমরা সবাই একসাথে মজা করব এরকমটাই প্ল্যান ছিল। যদিও অতশত ব্যস্ততার মধ্যে আমি পুরো কাজের দায়িত্ব দিয়েছি অন্য সবাইকে, বলতে গেলে এখানে কোন কাজ আমি করিনি।
আমি খুবই খুশি হলাম আমার বন্ধুরা বেশ সুন্দরভাবে কাজটি করতে পেরেছে, কিছু ব্যস্ততার কারণে আমি অংশগ্রহণ করতে চাইছিলাম না। কিন্তু তারপর সবার হাসি মুখ দেখে আর মানা করতে পারলাম না তাই পরীক্ষা শেষেও থেকে গেলাম।
যাওয়ার আগে অনেকগুলো প্ল্যান ছিল তার মধ্যে একটি হচ্ছে আমরা একটা বোর্ড তৈরি করব সেখানে অনেক ধরনের ফেব্রিক থাকবে, যেন শিক্ষকরা এই ফেব্রিক গুলো ছাত্রদেরকে খুব কাছ থেকে দেখাতে পারে।
এর পুরো ক্রেডিটর চলে যাবে আমার সেই বন্ধুদের। দ্বারা প্রত্যেকটা জিনিস ম্যানেজ করেছে এবং রেডি করেছে। এরপর চলে আসলো আমাদের তো সেই দিনটি, একেক জনকে এক একটা দায়িত্ব দেওয়ার কারণে বেশ ভালোভাবেই কাজটি সম্পন্ন হয়েছে।
দুই ধরনের টি শার্ট অর্ডার করা হয়েছে সম্ভবত কেক চলে এসেছে পরীক্ষা শেষ করে আমরা ডিপার্টমেন্টে আসলাম এবং সবাই বেশ মজা করলাম। যেহেতু তখনো পরীক্ষা চলছিল অন্য ব্যাচের তাই আমরা হইচই করলাম না কিংবা গান বাজনা করলাম না।
আমরা টি-শার্টের মধ্যে বেশ আঁটি ঝুঁকি করলাম, সবাই সবার দুঃখ-কষ্ট ভুলে আবার একটা বার একত্রিত হয়ে দিনটিকে উদযাপন করলাম। সময় মত কেক কাটা হলো এবং আমরা সকল ফ্যাকাল্টির সিগনেচার নিলাম নিজেরাও সিগনেচার করলাম এক একজনের টি-শার্টে।
এরপর দ্বিতীয় যে আরেকটা টিশার্ট ছিল যেটা আমাদের বুফে খাওয়ার সময় ব্যবহার করব সেটি পরিধান করলাম এবং আস্তে আস্তে আমরা উত্তরা দিকে চলে আসলাম। এটা ভেবে ভালো লাগছে এখন আর শুক্রবারে ব্যস্ত থাকতে হবে না। আবার খারাপ লাগছে এতদিনের একটা অভ্যাস প্রতি শুক্রবার ক্লাস করা। যাই হোক নতুন একটা অনুভূতি নতুন একটা অধ্যায়ের শুরু করার পালা, আনন্দের সাথে আমরা দিনটি কাটালাম।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ইস্ দিনগুলো খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেছে 😕 হয়তো এই কথা মনে করে অনেকদিন কষ্ট হবে আপনার। যাইহোক ভবিষ্যতের পথচলা সুখকর হোক এই কামনা করছি। আপনারা বেশ জম্পেশ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে র্যাগ ডে পালন করছেন বোঝাই যাচ্ছে। তবে আপনাদের দেয়া উপহারটা কিন্তু অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার অনুভূতিগুলো গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।
চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব, তবে খুব বড় কিছু করতে পারিনি তবে চেষ্টা ছিল। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করে আমাকে সাপোর্ট করার জন্য।
আজকের যেই দিনটি আপনি অতিবাহিত করেছেন সেই দিনটি আপনার কাছে অনেক বেশি পরিমাণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। যখন পরবর্তীতে এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনি দেখবেন তখন এই স্মৃতি আপনার মনের মধ্যে একটি নাড়া দিয়ে উঠবে৷ আজকে খুবই সুন্দর ভাবে এই র্যাগ ডে পালন করেছেন৷ যা কিছুদিন আগে আমিও পালন করে এসেছি৷ যখন আমি এই ফটোগ্রাফিগুলো দেখি তখন আমার এই ছবিগুলো দেখে অনেক কষ্ট হয়৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য৷
তা তো অবশ্যই স্মৃতির পাতায় এটি স্মরণ থাকবে, সবার সাথে কাটানো শেষ একটা দিন। হয়তো বা আরো কিছুদিন দেখা হবে তবে সবাইকে একত্রে করা হয়তো কষ্ট হয়ে যাবে।
ভাইয়া আপনার পোস্ট দেখে পুরোনো দিনের কথা খুব মনে পড়ে গেল। আমরাও এভাবেই র্যাগ ডে পালন করেছিলাম আর সেদিন খুব আনন্দ হয়েছিল। সময় কত তাড়াতাড়ি চলে যায়। দেখতে দেখতে আপনারও ইউনিভার্সিটি লাইফ শেষ হয়ে গেলো। এই দিন আর কখনো ফিরে আসবে না কিন্তু এই মুহূর্ত সবসময় স্মৃতি হয়ে রয়ে যাবে। আপনার এই অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
মনে হচ্ছে এই তো কিছুদিন আগে স্কুলে বিদায় অনুষ্ঠান হল, সেই দিন কলেজের বিদায় অনুষ্ঠান হল দেখতে দেখতে আজকে ইউনিভার্সিটি শেষের দিকে। দিনগুলো সত্যি খুব তাড়াতাড়ি চলে যায়।