আ _{^{মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি,আজকে আমরা একটা ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম সেখানকার অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব।}}

কালকে দুজন ম্যাডামকে আমরা বিদায় জানিয়েছিলাম, বিদায় সংবর্ধনা যেহেতু ঐদিন আমাদের ক্লাস ছিল না আমরা শুধুমাত্র এই কাজের জন্যই এসেছিলাম, দীর্ঘ একটা সময় অতিবাহিত করেছিলাম। বসে বসে প্ল্যান করলাম কি করা যায় তারপর সিলেক্ট করে ফেললাম ফ্যাক্টরি ভিজিট করলে কেমন হয়, যদিও অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম কিন্তু ওই যে একটা কথা আছে হুট করে প্লান করলে সেটা সম্ভব। হঠাৎই প্লান করলাম এবং সময়ও খুব কম নিলাম কারো মতামত গ্রহণযোগ্য ছিল না আমরা কালকে যাচ্ছি ফ্যাক্টরি দেখতে এটি ফাইনাল।

এক কথাতেই সবাই রাজি হয়ে গেল তো আর কি ইউনিভার্সিটি থেকে পারমিশন নেয়া হয়ে গেল এবং সেখান থেকে আমরা যে ফ্যাক্টরি দেখতে চেয়েছিলাম সেটা সম্ভব হয়নি কিন্তু একটা গার্মেন্টস দেখার সুযোগ হয়ে গেল।

পূর্বে আমার কিছু অভিজ্ঞতা ছিল গার্মেন্টস সম্পর্কে, তবে সেটা খুবই ছোট একটা ফ্যাক্টরি ছিল আমি বেশ কয়েকদিন সেখানে কাজ করেছিলাম, এখানে এসে দেখি পুরোই চিত্রটা অন্যরকম। এতটা গোছানো এবং ছোট ছোট জিনিসের জন্য আলাদা আলাদা সেক্টর ছিল। যাই হোক আজকের এখানে আসাটা সার্থক।

আজকের ছবিগুলো একটু অগোছালো ছিল তাই পোষ্টের মাঝখানে মাঝখানে ছবিগুলো দিতে পারছি না, কারন আমরা বেশিরভাগ সময়ই ভিডিও ধারণ করেছি। তবুও চেষ্টা করব ছবিগুলোকে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।

কাটিং সুইং ফিনিশিং এর মধ্যেও যে ছোট ছোট সেকশনগুলো রয়েছে আমরা সবকিছু ঘুরে দেখলাম। বেশ কয়েকজন আন্তরিকতার সাথে আমাদেরকে দেখাচ্ছিলো তাদের সেকশনগুলোতে কি কি কাজ হয়, এছাড়াও সর্বক্ষণিক আমাদের সাথে দুইজন ছিল যারা পুরো ফ্যাক্টরি আমাদেরকে ঘুরিয়ে দেখিয়েছে।

চমৎকার একটা দুপুর কাটল বিকেলের মধ্যে আমাদের পুরো ফ্যাক্টরি দেখা শেষ পাঁচটার মধ্যে ফ্যাক্টরি ছুটি হয়ে যায় আমরা বের হয়ে আসলাম, বের হবার আগে গার্মেন্টস অথরিটির সাথে দেখা হল, আমি তার পজিশন জানিনা তবে অবশ্যই তিনি এই গার্মেন্টসের ভালো কোন একটা কর্মকর্তা আমার তাকে শ্রীলঙ্কান মনে হল কারণ প্রথমত তিনি সম্পূর্ণ ইংলিশে কথা বলল আমাদের সাথে এবং খুবই আন্তরিকতার সাথে আর তার রুমের মধ্যে শ্রীলঙ্কানতাকা ছিল।

বিদেশিদের এটাই একটা চমৎকার দিক তারা আন্তরিক হয়ে থাকেন, কারন তিনি আমাদের দেখার সাথে সাথেই দাঁড়িয়ে আমাদেরকে সম্মান করলেন, আমাদের উদ্দেশ্যে কিছুটা সময় কথা বললেন, আমরাও ইনভাইট করলাম আমাদের ক্যাম্পাসে ঘুরে আসার জন্য। সব মিলিয়ে দিনটা চমৎকার ছিল বাহিরে এসে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম, তারপর সবাই ইউনিভারসিটির বাসে করে বাসা দিকে রওনা হলাম।

এটা ছিল কাটিং সেকশন

আমরা ফাইনাল প্রোডাক্ট পেয়েছি এটা

আমাদের তরফ থেকে কিছু গিফট ছিল।

তিনি বেশ সময় নিয়ে আমাদের জন্য ম্যানুয়াল ভাবে হাতে প্যাটার্ন তৈরি করল।

_{আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।}

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---