আ _{^{মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।}}

মোবাইল ছাড়া আসলেই বর্তমান যুগে আমরা অসহায়, বেশ কয়েকদিন আগের কথা আমি পোস্ট করেছিলাম আপডেট দেয়ার কারণে আমার মোবাইলটা নষ্ট হয়ে যায়।

বিভিন্ন কারণে সময় হয়ে উঠছিল না টেকনিশিয়ান দেখানোর জন্য, যেহেতু আপডেটের পর সমস্যা হচ্ছে তাই আমি চেষ্টা করেছিলাম ঠিক করার জন্য, কিন্তু নিজে আর ঠিক করতে পারলাম না তারপর পরিচিত একজনের কাছে নিয়ে গেলাম।

চমৎকারভাবে যেইদিন মোবাইল সার্ভিসিং এর জন্য গিয়েছিলাম মোবাইল যখন অফ করে দোকানদারকে দিয়েছিলাম ঠিক তখনই আমার এক সিনিয়র বড় ভাই একটা চাকরির ইন্টারভিউর জন্য আমাকে কল করে কিন্তু তখন আমার ফোন বন্ধ।

বাসায় এসে যখন কম্পিউটার অন করলাম ফেসবুকের ইনবক্স দেখে জানতে পারলাম বিষয়টি, যদিও সিওর ছিল না আমাকে বলেছিল পরের দিন সকালে জানাবে। এখন প্রায় রাত বারোটা তাই সিওর কিছু বলা যাচ্ছে না।

পরেরদিন দুপুর বারোটার সময় আমাকে বলা হয় মাওনা আসার জন্য, বর্তমানে এখন একটা অফিসে রয়েছি সেখান থেকে তো ছুটি ম্যানেজ করে বের হতে হবে লাঞ্চের সময় বের হয়ে আসলাম।

ওই সময়টা খুবই অসহায় লাগছিল নিজের কাছে কারণ কেন যেন আমাকে নিজের কাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে হচ্ছে না।

তখন আমার কাছে এন্ড্রয়েড মোবাইল নেই।

তখন আমার কাছে ইন্টারনেট নেই।

আমার একটা সিম ডিজেবল ছিল।

হাতে একটা নরমাল বাটন ফোন।

সেটাই ঠিকঠাক ইন্টারনেট চলছিল না।

মাঝপথে ব্যাটারি লো হয়ে যায়।

যাত্রাপথে প্রচন্ড বৃষ্টি।

হাতে এন্ড্রয়েড ফোন থাকলে এবং ইন্টারনেট থাকলে বারবার ঠিকানা জিজ্ঞেস করতে হয় না নিশ্চিন্তে একটা জায়গায় চলে যাওয়া যায়। আমাকে একজনের নাম্বার দেয়া হয় তার সাথে কথা বলতে বলতে তিন ঘন্টার যাত্রা শেষ করলাম, বাস থেকে যেখানে নামলাম সেখানকার মানুষ বলছে আপনাকে যেতে হবে আরো অনেকটা দূর।

এখান থেকে বাস দিয়ে যেতে হবে কিংবা রিক্সা দিয়ে যাওয়া সম্ভব কিন্তু ভাড়া দিতে হবে দেড়শ টাকা। এমন একটা পরিস্থিতি সময়টা খুব কম রিক্সা দিয়ে রওনা হলাম, তারপর কাগজপত্র কিছু প্রিন্ট করলাম যখন ফ্যাক্টরির সামনে গেলাম, তখন আমাকে জানানো হলো এক্সপেরিয়েন্স আছে কিনা? আমি সম্পূর্ণ অবাক হয়ে গেলাম কারণ নতুন হিসেবে আমাকে নেয়া হবে, মোটামুটি আমাদের দুজনের চাকরি কনফার্ম একজন সকালে চলে গেছে আর আমার বিভিন্ন প্রবলেমের কারণে এখন এসে পৌছালাম।

কি আর করার বড় ভাইকে ফোন করলাম চলে যাচ্ছি, তিনি বলল যাওয়ার পথে তার অফিসটা ঘুরে যেতে এবং তার সাথে একটু কথা বলতে, সেখান থেকে রওনা হলাম তার অফিসের দিকে। অফিসের লোকেশন টা জানি না তবে বাস থেকে নামার পর তাকে কল করলাম কলটা রিসিভ করার পরে আমার মোবাইলটা বন্ধ হয়ে গেল।

এই মুহূর্তে নিজেকে এতটা অসহায় লাগছিল বলে বোঝানোর মত নয়, আজকের সারাটা দিন নষ্ট হয়ে গেলো, আমি জানি আমার ফোন করার পর মোবাইল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিনি অনেকবার ফোন করেছেন কিন্তু কি আর করা।

রাগে দুঃখে কষ্টে আমি দশ টাকার ঝালমুড়ি কিনলাম 😒😄 আর নিজেকে বললাম এটা হল হাজার টাকার ঝালমুড়ি, কারণ অলরেডি প্রায় হাজার খানিকের মতোই খরচ হয়েছে কিংবা তার একটু কম। ঝালমুড়িওয়ালা বলল মাঝে মাঝে আসবেন আমার ঝাল মুড়ি খেতে। আমিও মজা করে বললাম মামা সেই ঢাকা থেকে এসেছি শুধু মাত্র ঝাল মুড়ি খেতেই আর কোন কাজ নেই এখন আবার চলে যাচ্ছি, পুরো ঘটনা বলার পর সেও বুঝতে পারলাম দুজনেই একটু হাসলাম।

কি আর করার মনের দুঃখে আমিও বাসার দিকে রওনা হলাম। হয়তোবা ইন্টারভিউ টা দিলে চাকরিটা হয়ে যেত, তবে এইটা ভেবে নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছি যা হয় ভালোর জন্যই হয়। হয়তোবা একদিনের মধ্যেই মোবাইলটা ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু এই দিনটা আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকে। যদি আমার কাছে ব্লগিং করার একটা ক্যামেরা থাকতো ঐদিনটা আমি রেকর্ড করতাম সত্যিই আমার চেহারাটা ঐদিন দেখার মত ছিল হাহাহা।

_{আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।}

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---