এয়ারপোর্টে বিদায় বেলা
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
৩১ আগস্ট, বৃহস্পতিবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
যদিও পোস্টাটি কালকে করার কথা ছিল কিন্তু আমরা সবাই জানি সার্ভার ডাউন থাকার কারণে অনেকেই পোস্ট করতে পারেননি। ফোন দিয়ে আমি খুব একটা কমফোর্ট ফিল করি না লেখার ক্ষেত্রে তাই আর পোস্ট করা হয়নি, এমনিতেও মনটা খুব একটা ভালো ছিল না পুরো বাড়িটাই এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল যেখানে কাজের প্রতি মনটা একটু উদাসীন হবে। কালকে মামা দেশের বাহিরে চলে গেছেন, আমরা তাকে এয়ারপোর্ট বিদায় জানাতে গেলাম।
এয়ারপোর্টে এখন আসলে দেখার মত কিছু নেই, কেননা এখন আর বাহির থেকে কিছুই দেখা যায় না, আগে গেট পাশ নিয়ে যাওয়া যেত টাকার বিনিময়ে। এখন গেট পাশ ব্যবস্থাটাও বন্ধ হয়ে গেছে।
ভেবেছিলাম ভিতরের সব কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে ৬ নাম্বার গেট দিয়ে বের হয়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দিবে খাওয়া দাওয়া করবে এবং তারপর মামার ভিতরে যাবে। যেহেতু এটা তার প্রথম ফ্লাইট তাই বের হলো না, আমরা যখন শিওর হলাম সে আর বাহিরে আসবে না তখন আমরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আরেকবার বিদায় জানিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
বাসায় এসেও এক অন্যরকম কান্ড, সবাই ছাদে এসেছে কোন প্লেনে যাচ্ছে সেটা দেখার জন্য, যদিও বিষয়টা মজার আবার বেশ অনুভূতির একটা জায়গাও কাজ করছে। তাই ভিডিও কলে কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ টেক্সটে কনফার্ম হচ্ছিলাম কোন প্ল্যানটা হতে পারে। অবশেষে দশটার প্লেন এগারোটায় ছাড়লো। সবাই অধীর আগ্রহে ছিলো, হয়তো তাকে শেষবারের মতো দেখতে পারেনি তবে সে যে প্লেনে বসে ছিল ওইটা দেখেই মনটাকে শান্তনা দিয়েছে।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এয়ারপোর্টে বিদায় বেলা পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। এটা আপনার প্রথম জার্নি শুনে আরো বেশি ভালো লাগলো। তবে আপনি যখন বাড়িতে বিদায় নেওয়ার জন্য কল দিচ্ছিলেন তখন সবাই ছাদে উঠেছিল আপনি কোন প্লেনে যাচ্ছেন দেখার জন্য এটা বেশ মজার একটি ব্যাপার। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ তবে আমি যাইনি আমার মামা গিয়েছে, আমার আসলে বাহিরে যাওয়ার তেমন একটা ইচ্ছে ছিল না। আমার মামার খুব শখ তাই সে দিয়েছে তার শখটা পূরণ করতে।
ঢাকাতে আসার পর একদিন গেছিলাম এয়ারপোর্টে। কিন্তু ঐ দেখার কিছু নেই। বিদায় সবসময়ই অনেক কষ্টের হয়ে থাকে। আশাকরি আপনার মামা বিদেশে ভালো থাকবে। আর গতকাল এই সার্ভার ডাউন টা আমাকেউ বেশ ভুগিয়েছে।।
একটা সময় এয়ারপোর্টে অনেক কিছুই দেখার ছিল প্লেন দেখা যেত বসা যেত, এখন এত পরিমাণ সিকিউরিটি হয়ে গেছে পাসপোর্ট ছাড়া ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেয় না।