একটা বৃষ্টিময় দিন
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
২১ নবেম্বর, মঙ্গলবার।
আ *মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, *
.jpg)
ঐদিনের শুক্রবারের কথা হয়তো আপনাদের মনে আছে। বৃহস্পতিবার সকালেও তুমুল বৃষ্টি,প্রায় শীত নেমে যাবে এমন একটা ভাব। শুক্রবার আমাদের মেডাম পরীক্ষা।
ঘুম থেকে উঠে দেখি বেশ ভালই বৃষ্টি পড়ছে। ছাতা ব্যবহার করতে বেশ বিরক্ত লাগে তাই এমনি বেরিয়ে গেলাম।
পরবর্তীতে রিক্সা না পেয়ে হাঁটতে হাঁটতেই বাজার পর্যন্ত চলে গেলাম, যেহেতু পরীক্ষা তাই ইউনিভার্সিটির বাসের জন্য অপেক্ষা করা যাবে না। তাই কোন রকমে একটা বাসে উঠে গেলাম। বৃষ্টির কারণে একটা বিচ্ছিরি অবস্থা হয়ে গেল। এরকম দিনে কেউ কি ইউনিভার্সিটিতে যায়।
এরকম একটা পরিস্থিতি ছিল পরীক্ষা না থাকলে আমি বাসায় রওনা দিতাম। যাই হোক বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে দিনটা শুরু হল। ইউনিভার্সিটিতে কখনোই অলসতা সময় কাটে নি। ছোট ছোট কাজের জন্য এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে।
সকাল থেকে ২ টা পরীক্ষা দিলাম লাঞ্চের পর আরও একটি পরীক্ষা, এরপর বেশ ভালো একটা সময় বিরতি ছিলাম। আশেপাশের পরিবেশটা দেখার মত। এত পরিমাণ বাতাস এবং বাতাসের গতি অনায়াসে একটা মানুষকে ফেলে দিতে পারে।
চার থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে যেকোনো মানুষের কাঁপুনি ধরিয়ে দিতে পারে। বৃষ্টি তাই কেউ বাইরে যাচ্ছে না। ক্যাম্পাস কিংবা ক্যান্টিনের মধ্যেই সময় কাটাচ্ছে। পরিবেশটা বেশ ইনজয় করার মত, এত পরিমাণ বাতাস ছিল ঠিকভাবে ছবি তুলতে পারছিলাম না।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
.gif)
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
𝕋𝕙𝕒𝕟𝕜 𝕪𝕠𝕦 𝕖𝕧𝕖𝕣𝕪𝕠𝕟𝕖
আসলে কয়েকদিন আগে আমাদের এখানেও হালকা একটু বৃষ্টি হয়েছিল কিন্তু সেটা শুক্রবার ছিল কিনা মনে নাই আমার। যাই হোক আপনার মত আমারও অনেক সময় ছাতা ব্যবহার করতে বিরক্ত লাগে। বিশেষ করে হালকা হালকা বৃষ্টি হলে। আর হ্যাঁ এই বৃষ্টির দিনে যাতায়াত করতে একটু বিরক্তি হয়। তবে আপনি যেরকমটা বললেন যে আপনাদের ওইদিকে বেশ বৃষ্টি হয়েছিল আবার অনেক জোরে বাতাস হচ্ছিল। তবে ভালো বিষয় হচ্ছে আমাদের এখানে তেমন কোনো পরিস্থিতির শিকার হতে হয়নি। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খানিকটা বলা যেতে পারে নিম্নচাপের মত তবে নিম্নচাপ নয়, বাতাসের বেগ অনেক ছিল। একটা মানুষকে ছিটকে ফেলে দেয়ার মত। দিনটা বেশ ইনজয় করেছি তবে সকালে যাতায়াতে খুব কষ্ট হয়েছে।
তখন ঘূর্ণিঝড় মিধিল চলছিল তারজন্য সারা বাংলাদেশে বৃষ্টি হয়েছিল। এমন বৃষ্টি আর ঠান্ডা বাতাস মনে হচ্ছে যেন শীত শুরু হয়ে গিয়েছিল। আমি তো ভেবেছিলাম এই বৃষ্টিতেই হয়তো শীত শুরু হয়ে যাবে। আপনার মতো আমিও বৃষ্টির মধ্যেও ছাতা নিয়ে বের হতে পছন্দ করি না। আমার কাছেও ছাতা ব্যবহার করতে ভালো লাগে না। আপনি তো তাহলে বেশ বিপদে পড়েছিলেন। এঁকে তো বৃষ্টি তার উপর আবার আপনার পরীক্ষা যেতে তো হবেই। যাক বাহিরে গিয়েছেন বলেই এত সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে পেরেছেন। ধন্যবাদ এভাবে বৃষ্টি উপভোগ করার জন্য আর সেই মূহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
তখন যে ঘূর্ণিঝড় চলছিল এটা আমি জানিনা, আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে জানতে পারলাম ওই সময় কার জলবায় ব্যবস্থা। এজন্যই এতটা খারাপ অবস্থা ছিল পরিবেশের, তবে এখনো শীত ঢাকা শহরের ঢুকতে পারল না।
শীত কালে বৃষ্টি হলে খুব খারাপ অবস্থায় পড়তে হয়।গরমের বৃষ্টিতে ভিজতে মজা কিন্তুু শীতের বৃষ্টির একটি ফোঁটা খুব ভয়ংকর। বৃষ্টিভেজা দিনের গল্পটি বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
দিনের শুরুতে বৃষ্টি হলে খুব কষ্টের, স্কুল কলেজ অফিস এমন একটা সময়। ঐদিন যদি আমার পরীক্ষা না থাকতো আমি বাস থেকে নেমে যেতাম এতটা বিরক্ত লাগছিল।
আসলে পরীক্ষা থাকলে ফাঁকি দেওয়া যায় না। যেহেতু এত বৃষ্টি সাথে বাতাস ছিল তারপরেও সবকিছুকে তোয়াক্কা নাকরে চলে যেতে হয়েছে। তবে ইউনিভার্সিটি তে যাওয়ার পরের অনুভূতি গুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো। যখন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এমন পরিবেশে সবাইকে পাওয়া যায় তাহলে ভীষণ ভালো একটি সময় যাবে। অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনুভূতিগুলো শেয়ার করলেন। বেশ ভালই লাগলো আপনার সেই দিনের অনুভূতি গুলো পড়ে।
হ্যাঁ একদম মনের কথা বলেছেন পরীক্ষা না থাকলে ঐদিন আমি জীবনে উঠতাম না হাহাহা। ওই পরিবেশটা শুধুমাত্র ঘুমানোর জন্য। ঐদিন যেই ঘুম থেকে উঠে কাজে গিয়েছে কিংবা কোথাও বের হয়েছে প্রত্যেকে আফসোস করেছে।