ধৈর্য পরীক্ষা
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
২৩ আগস্ট, বুধবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
আপনাকে কোন একটা কিছু অর্জন করতে হলে ধৈর্য পরীক্ষা দিতে হবে, যদি সেই অর্জন করা বস্তুর একটা বিশেষত্ব থাকে তবে আপনার ধৈর্য পরীক্ষাটাও বিশেষভাবেই দিতে হবে।
যখন আপনি কোন কিছু শিখতে যাবেন যখন আপনি কিছু অর্জন করতে যাবেন আপনাকে স্থির হয়ে যেতে হবে, অনেকেই ভেবে চঞ্চল হতে হবে অনেকেই ভাবে জানতে হলে প্রশ্ন করতে হবে। আমি মনে করি জানতে হলে আগে বুঝতে হবে, বোঝার চেষ্টা করতে হবে। আর আপনি তখনই একটা জিনিস সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারবেন যখন আপনি ধীর মনোভাব এবং মন থেকে চঞ্চলতা দূর করতে পারেন।
খানিকটা সাধারণ প্রচলিত কথার বিপক্ষে গেল কথাটা? একটা উদাহরণ দেয়া যায়, ক্লাসের সব থেকে চঞ্চল বাচ্চাটা ক্লাসের সব থেকে বেশি প্রশ্ন করা বাচ্চাটা আসল অর্থই কিন্তু অনেক কিছু শিখতে পারে হয়তোবা, কিন্তু যেই ছাত্রটা স্থির শান্ত, শেখার আগ্রহ রয়েছে এবং মনোযোগ দিয়ে শোনেন, শিক্ষক কিন্তু তাকে নিজে ইচ্ছে করেই শেখানোর চেষ্টা করে তুলনামূলক সব থেকে বেশি প্রশ্ন করা কিংবা চঞ্চল সে বাচ্চাটার থেকে, বলছি না যে প্রশ্ন করা যাবে না, বলছি না যে চঞ্চল হওয়া যাবে না।
আমি মূলত বোঝাতে চাচ্ছি আপনাকে শিখতে হলে, মনোযোগ দিয়ে শোনার ক্ষমতাটা অর্জন করতে হবে, সামনের পক্ষের মানুষের কথা বলার মধ্যে আপনি যদি প্রশ্ন করে দেন অনেক সময়ই ওই মানুষটা আপনার সাথে কথা কন্টিনিউ করতে ইতস্তত বোধ করবেন, আগ্রহটা কমে যাবে। তাই সবসময় চঞ্চলতা দেখালে হয় না সব সময় প্রশ্ন তর্কে জড়ানো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
আপনি যত ধৈর্যশীল হবেন, আপনি যত স্থীর হবেন, আপনি যত ঠান্ডা মেজাজের হবেন আপনি তত নতুন ভাবে চিন্তা করার শক্তি নিজের মধ্যে অর্জন করতে পারবেন।
বাস্তব একটা উদাহরণ যদি দেই, চাকরির অনেক ইন্টারভিউতেই ইচ্ছে করে ক্যান্ডিডেটদের ঘন্টাখানেক বসিয়ে রাখে, তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করা হয় কোন মানুষটা ধৈর্যশীল। ওই ঘন্টাখানেক বসে থেকে এই মানুষগুলো কি করছে, এই বিরক্ত কর অপেক্ষার মুহূর্তে তাদের প্রতিক্রিয়া দেখেও কিন্তু ভাইবা বোর্ডের মার্ক খানিকটা এগিয়েও থাকতে পারে।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
.gif)
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমার মনে হয়,জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করা উচিত।তাহলে কাজে যেমন ভুল কম হয় তেমনি সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছে সফল হওয়া যায়।ধৈর্য ছাড়া কোনো কাজ সফলভাবে করা সম্ভব নয়।আপনি সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।ভালো লাগলো পড়ে, ধন্যবাদ ভাইয়া।
বেশ সুন্দর লেখেন তো । আসলে ধৈর্য্য না থাকলে কোন কাজেই সফলতা আসে না। তাই ধৈর্য্য ধরে আমাদের অবশ্যই সব কাজে এগিয়ে যেতে হবে। আর মনে রাখতে হবে ধৈর্য্য ধরার ফলে যে সফলতা আসে তার মজা কিন্তু বেশ লাগে। সুন্দর করে লিখেছেন আজকের পোস্টটি।
আপনিও খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনি তো অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেয় সব সময়। অনেকেই রয়েছে সেই ধৈর্যের পরীক্ষায় টিকে যায় আবার অনেকে ই পারে না। আমাদের জীবনের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমাদেরকে ধৈর্য ধরে তারপরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই আমরা নিজেদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। কথায় আছে ধৈর্যের ফল সব সময় মিষ্টি হয়। আর আমরা যদি ধৈর্য ধরে এগিয়ে যাই তাহলে ধৈর্যের ফলটা অনেক সুন্দর হবে।
ধৈর্য পরীক্ষায় যে জিতে গেল সেই তো সফলতা অর্জন করতে পারে। সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি ধন্যবাদ।
মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবার কাছ থেকে ধৈর্যের পরীক্ষা নেয়, তবে সবাই ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে পারে না। যে মানুষ ধৈর্য ধরে থাকতে পারে তার ধৈর্যের ফল খুবই সুন্দর হয়। আজকে আপনি ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন, আপনার লেখা এই পোস্ট পড়তে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। প্রত্যেকটা কথা বাস্তবিকভাবে তুলে ধরেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ধৈর্য ধরলে কখনো বিফল যায়না, ধৈর্যের ফল সব সময় মিষ্টি হয়। আপনার অসংখ্য ধন্যবাদ এত তাড়াতাড়ি একটি মন্তব্য করার জন্য।
এটা ঠিক যেকোনো কিছু শিখতে হলে, যে শিখাচ্ছেন তার কথা মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। তারপর কোনো প্রশ্ন থাকলে সেটা করতে পারে। তাই দশ কথার এক কথা হচ্ছে প্রথমেই নীরব শ্রোতা হতে হবে। শুধু শিখার বিষয় না,কেউ যদি কারো সাথে কোনো কথা শেয়ার করতে আসে, তখন কথা গুলো না শুনে যদি নিজেই এটা সেটা জিজ্ঞেস করতে থাকে, তাহলে যে বলবে তার বলার আগ্রহ একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে। সুতরাং ধৈর্য অবশ্যই থাকতে হবে। যাইহোক এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার কমেন্ট দেখে মনে হচ্ছে আপনি সম্পূর্ণ পোস্ট করেছেন, কেননা আপনি পোষ্টের মূল বিষয়বস্তু বুঝতে পেরেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।