Better Life with Steem|| The Diary Game|22 December 2023||my life style
Hello everyone
কেমন আছেন বন্ধুরা। আমি মোটামুটি আছি, তো চলে আসলাম , আমার একটি দিনের কার্যক্রম গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমার সাথে এমনটি হয় কেন ,বলুন তো বন্ধুরা। কেন বলছি একথা তা জানতে চান, শুনতে চান। তাহলে থাকুন আমার সাথে। পুরো পোস্ট জুড়ে
সকাল বেলা
প্রতিদিনের মতো ই সকালে ঘুম থেকে উঠে, ফ্রেশ হয়ে , নিজের প্রয়োজনীয় কিছু কাজ সেড়ে , সকালের নাস্তা টা ও সেড়ে নেই। তারপর ফুরফুরা মন নিয়ে বাসার যাবতীয় কাজ ছেড়ে নেই। কারণ হলো, আমার পাশের বাসায় এনগেজমেন্ট। তাই আমার বুয়া বলেছিল, আমাদের সবার নাকি ওদের বাসায় দুপুরে দাওয়াত, 🤪🤪🤪। আমি বাসার প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটা করতে বাইরে গিয়েছিলাম। তাই আমার সাথে দেখা হয়নি ভাবির।তো আমার কাজের মেয়ের কাছে বলে গিয়েছেলি।
তাই স্বাভাবিকভাবে দুপুরের রান্না নেই, সেই সুবাদে আমি বাসার অন্যান্য কাজগুলো গুছিয়ে নিয়েছি। কারণ দুপুরের রান্না একটা বড় কাজ, যখন দুপুরের রান্না না থাকে সেই সময় অনেক কাজ করা যায়। তাই নয় কি বন্ধুরা।
কিন্তু দুঃখজনক কথা হল, পাশের ভাবি, এসে বলল, "ভাবি আজ আমার ননদের
এংগেজমেন্ট, "দোয়া করবেন, বিয়েতে আপনাদের সবাইকে দাওয়াত দিব 😭😭🤩😭😭।হায় হায় একি বলল , আমি ভেবেছিলাম, আবার বলতে এসেছে যে ,আমরা সবাই মেনে দুপুরে ওদের বাসায় যাই।আর বলে কি বিয়েতে দাওয়াত করবে।
এই ছিল বুঝি মোর কপালে 😭।
এর মানে কি বলুন বন্ধুরা, আমি আশায় ছিলাম দুপুর ওদের বাসায় খাব। সেজন্য বাসায় রান্নাই করিনি। ফুরফুরা মন নিয়ে যাবতীয় কাজ ছেড়ে দিলাম। সাজুগুজু করে পাশের বাসায় যাব। একটু ভালো-মন্দ খাব। আশায় গুড়ে বালি 🤣।
দুপুর বেলা
কি আর করা, ঢেকি স্বর্গ গেল ও বাড়া বানে। তাই জট পট ফ্রিজ থেকে মাছ নামিয়ে নিলাম, দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে রান্না শুরু করে দিলাম ।মনের দুঃখে ডাইনিং এ বসেই খেলাম না। কারণ আমার ডাইনিং আর পাশের বাসার ডাইনিং পাশাপাশি ,মুখরোচক খাবারের গন্ধে মনটাই খারাপ হয়ে গেল ।
তাই বেড রুমে নিয়ে খাবার খেয়ে নিলাম । ভেবেছিলাম একটু ছাদে যাব, কিন্তু দেখলাম মেঘলা মেঘলা আকাশ। তাই আর ছাদে না যেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি প্রায় সন্ধ্যা।
সন্ধ্যা বেলা
সন্ধ্যায় তেলের পিঠে আর ফল দিয়ে নাস্তা ছেড়ে নিয়েছিলাম। নাস্তার পর একটু মোবাইল নিয়ে বসলাম কিছু কমেন্ট করব বলে, তখন পাশের বাসার ভাবি মিষ্টি আর ফল নিয়ে এসেছি আর বিয়ের দাওয়াত দিয়েগেল। ১২ জানুয়ারি বিয়ে। জানিনা সেদিন আবার কি হয়। দোয়া করবেন এর পূর্ণাবৃত্তি যেন না ঘটে,🫣🫣🫣🫣🫣।
রাতের বেলা
ওদের জন্য রাতের খাবার গুছিয়ে নিলাম। এবং আমি পাশের বাসা থেকে দেওয়া মিষ্টি আর রুটি দিয়ে রাতের খাবার সেরে নিলাম। একটু মোবাইল ঘাটাঘাটি করে দেশের পরিস্থিতি দেখলাম। ওষুধ খেয়ে এগারোটার দিকে শুয়ে পড়বো।
এই ছিল আমার আজকের সারাদিনের কার্যক্রম।
অন্তর জ্বালা বুঝানোর মত কেউ নেই। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। সদা হাস্য উজ্জ্বল মানুষটির মনে যে কত কষ্ট, তা কি কেউ আর বুঝে গো বন্ধুরা।
বন্ধু বলতেএই প্ল্যাটফর্ম, এ প্লাটফর্মের সকল সদস্য । তাই মনের সব কথা খুলে বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি । আবারো আসব নতুন কিছু নিয়ে একটু নতুনভাবে।
এই যে বন্ধুরা, মনের যত নিচ্ছেন তো ঠিকঠাক ভাবে,
নিজেকে নিয়ে একটু ভাবুন, সময় দিন ,তথা মনের যত্ন নিন। এত প্যারা নিয়ে কি হবে বলুন তো। সমস্যা আছে সেই তো সমাধানের জন্য। আছে না একজন সব ঠিক করে দেওয়ার জন্য ।বিশ্বাস রাখুন, ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ভেবেছিলেন দুপুরে পাশের বাড়িতে দাওয়াত খাবেন কিন্তু সেটা আর হলো না।কারন দাওয়াতই পান নাই। আসলে কপালে না থাকলে যা হয়।
আপনার লেখা পড়ে মজা পেলাম।
চমৎকার একটা লেখা শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
আসলে, আমরা কাজের মেয়ে শুনতে ভুল
শুনেছে। তাই এর খেসারত দিতে হয়েছে আমার। সত্যি কথা বলতে কি, অন্যের কথায় উপর ভিত্তি করে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। এই গল্পের মরালিটি তাই। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে ।ধন্যবাদ
আপনাকে।
অভিমত প্রকাশ করার মতো বা মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার মতো মানুষের খুব অভাব। এটা আপনি সঠিক বলেছেন যে এই প্লাটফর্মে আমরা আমাদের অনেক কথা ভাগ করে নিতে পারি।
এ বিষয়গুলো খুবই খারাপ যে দাওয়াত না করেই আশা দেয়া ভবিষ্যৎ অনুষ্ঠানের জন্য। আপনার দিনলিপিতে উপস্থাপিত খাবারের ছবি গুলো লোভনীয় ছিল।
আপনাদের সবার বাড়িতেই এক বার করে হামলা করতে হবে মনে হচ্ছে। কেউ আমার দলে হতে চাইলে জানাবেন। দলে ভারী হলে সুবিধাই হবে।
অবশ্যই দিদি চলে আসেন। দলবেঁধে আসলে আরো ভালো এই সুবাদে দেখা তো হয়ে যাবে। আর খাবার এটা কোন ব্যাপার না ।সবাই মিলে একসাথে রাধঁবো পিকনিকের মতো। বাহ দারুন
হবে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
পাশের বাসাই এনগেজমেন্ট থাকার জন্য ভেবেছিলেন আজকে আপনাদের সবাইকে দুপুরবেলা দাওয়াত করবে কিন্তু দুঃখের বিষয় দোয়া চেয়ে গেলো এবং বলে গেলো বিয়েতে আপনাদের দাওয়াত করবে আসলেই এটি খুবই খারাপ হয়েছে আজ আপনার সাথে কতো আশা করে বসেছিলেন দুপুরে দাওয়াত খেতে যাবেন কিন্তু সেই আশা টি পূরণ হলো না আপনার। যাইহোক আফসোস করে লাভ নেই বিয়েতে দাওয়াত তো পাবেন বলে গিয়েছে আশায় থাকুন বিয়ে কবে হয়।
হ্যাঁ ভাইয়া বিয়েতে দাওয়াত করেছে। ১২ ই জানুয়ারির বিয়ে। বিয়ের দাও তো পেলাম ঠিক আছে কিন্তু আজকের দাওয়াত টা মিস হয়ে গেল আসলে ভাগ্যে না থাকলে কিছু করার নেই।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আহারে আপু আপনার কষ্ট দেখে আমার খুব খারাপ লাগলো। আপনার পোস্টা আমি পড়ছি আর ☺️মুচকি মুচকি হাসছি☺️ যে পোস্টটা পড়ে খুব মজা পেয়েছি। আপনি ভেবেছিলেন যে আপনাদেরকে দাওয়াত করে গেছে। তাই আপনি রান্নাবান্না না করে খুব আনন্দের সাথে নিজের ঘরের কাজ শেষ করে নিলেন।তারপর পরে জানতে পারলেন তার ননদের এনগেজমেন্ট হবে। তারপর তাড়াহুড়া করে রান্না করতে গেলেন। আসলে কারো বাড়ি যদি আমাদের দাওয়াত দেয় আমরা মনে করি যে একদিন আমরা ছুটি পেলাম রান্না ঝামেলাটা করতে হবে না। ঠিক তেমনি আপনি রান্না চিন্তাটা মাথায় না থাকার কারণে ঘর ঘোচাতে লাগলেন আনন্দ করে। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনে কার্যক্রম গুলো আমাদের সাথে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন ।
হে আপু, অনেক খুশি হয়েছিলাম যখন ভাবলাম আজকে দুপুরে রাধতে হবে না । পরক্ষণেই তখন জানতে পারলাম দাওয়াত দিবে বিয়েতে ,আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। খারাপ লেগেছিল। যাইহোক এত কষ্ট হলে রান্না করে নিয়েছিলাম ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন,, সারাদিনের কার্যক্রম গুলো, দাওয়াত খান আপনি 🤔 ভাবলাম আমরা ও দাওয়াত পাবো। তেলের পিঠা গুলো বেশ দেখতে হয়েছে,, কিন্তু এত গুলো মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে কেমন একটা হয়,, ঢেকি স্বর্গ গেল ও বাড়া বানে।😒বাড়া টা আবার কি, আমরা তো জানি ধান ভানে। দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে রান্না শুরু করে দিলাম ।বাহহহ আপনি তো বেশ মজার মানুষ,, ভালো লাগলো,, অসংখ্য ধন্যবাদ।
এটি একটি আঞ্চলিক ভাষা। তাই আপনি বুঝতে পারেননি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য। হ্যাঁ একটু ঝামেলা হয়েছিল তারপর রান্না সেরে নিয়েছি। জাস্ট মজা করলাম। দুঃখ দিতে সবাই জানে। হাসাতে কজন পারে।
আপনার পোস্ট পড়ে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ার মত অবস্থা। খুব মজা পেলাম। আপনার কমিক টাইমিং ও দারুন। আপনার লেখাটি পড়ে আমার একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল। আমার এক চাচি তার মেয়ের বিয়ে খুব বড়লোকের ঘরে ঠিক করেছিলেন। কতটা বড় লোকের ঘরে সেটা আমাদেরকে দেখানোর জন্য গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যেতেই হবে বলে বাধ্য করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াতই দেননি। কারন ওনার উদ্দেশ্য ছিল শুধু হবু জামাইয়ের বাড়ি দেখানো। আপনার ঘটনাটি পড়ে আমার ওই কথা মনে পড়ে গেল। তবে দিনশেষে আপনি বেশ সামলে নিয়েছেন। খুব ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
যাক আমি সার্থক। এই কান্তি লগ্নে যে একটু হাসাতে পারলাম। এখন তো আপু হাসি খুঁজেই পাওয়া যায় না। শুধু স্ট্রেজ আর স্ট্রেজ । তবে বেশ খুশি হয়েছিলাম দুপুরে রাঁধতে হবে না তাই।
যাক আপনার অতীত স্মৃতি মনে পড়ে গেল আমার পোস্ট টি পড়ে অনেক বড় পাওয়া। আমার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
ইস আপু আপনার কষ্ট দেখে আমারো খারাপ লাগলো। দাওয়াত টা পেলেন না। সমস্যা নাই বিয়েতে হয়তো দাওয়াত দেবে। আমরা প্রত্যেকেই কম বেশি দাওয়াতের আশা করি। নিকট আত্মীয় পাড়া পরশী কিংবা বন্ধু বান্ধবের বিয়ে হলে ভাবি যে দাওয়াত বুজি পাবো। কিন্তু দাওয়াত না পেলে কেন জানি মন খারাপ হয়ে যায়।
যাইহোক আপু আপনার সম্পূর্ণদিন অনেক দিধা দন্দে কেটেছে। এমন দিনের যেন আর পূনরাবির্তী না হয় এই কামনা করছি। ভালো থাকবেন।
বিয়েতে তো দাওয়াত দিয়েছি ঠিকই। আজ তো আর পেলাম না। রান্না তো ঠিকই করতে হলো। একদিন রান্না না করতে পারা যে কি আনন্দের ।তা যারা আমরা প্রতিদিন রান্না করি তারাই
উপলব্ধি করতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
যা কত আশা করেছিলেন এদিকে দুপুরের দাওয়াতটা ফসকে গেল। বিয়েতে একবারে সব সুদে আসলে শোধ তুলে নেবেন। একদিকে তেলেভাজা আর অন্যদিকে ফল, আহা কি কম্বিনেশন! পাশের বাসা থেকে মিষ্টিগুলো তো বেশ ভালোই দিয়েছিলো। আমাকে কেন যে কেউ কিছু দেয় না। ধুর ভাল লাগে না ছাই। আবার কথা হবে বাই।
আরে না, বন্ধু । কথা কি আর বন্ধ করা যাবে। কথা চলবে চলছে ,তো চলবে। তবে ভরসা রাখুন, অতি শীঘ্রই আশপাশ থেকে প্রচুর খাবার আসবে। ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আসলে মন্তব্যগুলো পরলে না পোস্ট লেখা স্পিড আরো বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
ওরে আপু কি অবস্থা কি ভাববেন আর কি হলো ভেবেছিলেন পাশের বাড়িতে দুপুরের দাওয়াতের মাঝে খাবারটা সেরে নিবেন তবে সেটা আর হলো কই। 😂
তবে চিন্তার কোন কারণ নেই আপনার জন্য অনেক অনেক প্রার্থনা রইলো আপনি যেন বিয়ের দাওয়াতটা খেতে পারেন,,, আর হ্যাঁ পাশের বাসার আন্টি আবার আপনাকে মিষ্টি আর ফল দিয়ে গিয়েছে সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন। 😀
আরে তা বিয়ের দাও তো দিয়েছি। আমি তো শুনেছি এংগেজমেন্টও দাওয়াত দিবে। তাইতো দুপুরে রান্না করিনি পরে যখন বুঝলাম ঘটনা উল্টো। তখন ঝটপট রান্না সেরে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।