দই চিড়ার রেসিপি
হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা |
---|
এই গরমে অতি মজাদার ও স্বাস্থ্যসম্মত একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি বন্ধুরা। এই গরমে চিড়া যে কি পরিমাণ উপকার তা বলে বোঝানো যাবে না। আর আজকের রেসিপিতে যে দই টি ব্যবহার করেছি সেটা আমি আমার নিজের হাতে তৈরি করেছি।আমি গরম আসলেই বেশিরভাগ সময় নিজের হাতের তৈরি দই খেয়ে থাকি। তাছাড়া আমি দুধ জাতীয় খাবার হজম করতে পারি না ।তাই দুধের পরিবর্তে দই টা ই বেশি খেয়ে থাকি ।আর দই হাড় ক্ষয় রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।বিশেষ করে মেয়েদের বেশি বেশি দই খাওয়া উচিত । কারণ মেয়েদের হাড় ক্ষয়ের সমস্যা পুরুষের তুলনায় বেশি হয়।
এখন আমি উপস্থাপন করছি এই রেসিপিতে আমি কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি এবং এর পরিমাণটাই বা কতটুকু ছিল।
উপকরণ | ও পরিমাণ |
---|---|
চিড়া | ১বাটি |
গুড় | পরিমাণ মতো |
কলা | ২টা |
দই | ১কাপ |
লবণ | পরিমাণ মতো |
প্রথম ধাপ: |
---|
এই রেসিপির প্রথমে যে কাজটি করতে হবে, তাহলো ভাল মতো চিড়া গুলোকে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর কিছুক্ষন পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে করে চিড়া গুলো নরম হবে। এরপর যে কাজটা করতে হবে,তা হলো এর মধ্যে পরিমান মতো দই, কলা এবং গুড় নিয়ে নিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ: |
---|
এ পর্যায়ে এসে সবগুলো উপকরণ ভালো করে মেখে নিতে হবে। তারপর কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিলে ভালো হয়। আর যদি আপনি ইচ্ছে করেন সাথে সাথে খেয়ে ফেলতে ও পারেন। তবে ফ্রিজে রেখে দিলে খেতে একটু বেশি ভালো লাগে ।এই গরমে ঠান্ডা খাবার খেলে আলাদা একটু স্বাদ পাওয়া যায়। তাই আমি কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম।
তৃতীয় ধাপ: |
---|
ফ্রিজ থেকে বের করে , ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করতে হবে এই দই চিড়া । এই দই চিড়া শরীরকে ঠান্ডা রাখতে অনেক সাহায্য করে। তাই এই গরমে প্রায় প্রতিদিনই এই খাবারটি সকালে বা বিকেলে অনায়াসে খাওয়া যায়। আমার কাছে খুব ভালো লাগে যতদিন গরম থাকবে আমি এই রেসিপিটি নিজেও খাই এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্য তৈরি করে দেই।
তাছাড়া চিড়া, দই ,কলা ,সব মিলে একটা সুষম খাবার তৈরি হয়, যা শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণে অধিক ভূমিকা পালন করে। এই গরমে নানা ধরনের পেটের সমস্যা দেখা দেয়। আরে দই চিড়া এই ধরনের সমস্যা সমাধানে অধিক বেশি কার্যকর।
তাই আমি মনে করি আপনারাও সময় সুযোগ করে এটি তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন। আর এটি যেহেতু স্বাস্থ্যসম্মত একটি খাবার। তাই কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।তবে যাতে ডায়াবেটিস রয়েছে তারা হয়তো গুড় টা বাদ দিতে পারেন।
বন্ধুরা এই ছিল আমার দই চিড়ার রেসিপি । যা আপনারা খুব অল্প উপকরণ দিয়ে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং বেশি বেশি করে তরল জাতীয় খাবার পাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে, আল্লাহ হাফেজ।
বাংলাদেশের যা গরম পড়ছে তার জন্য উপযুক্ত একটি খাদ্য রেসিপি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, সাধারণত আমরা জানি চিড়া খেলে আমাদের শরীর অনেক ঠান্ডা থাকে তার সাথে আছে আবার দই এবং একটি কলা যা গরমের জন্য অনেক উপকারিতা শরীরের জন্য, খুব সুন্দর একটি রেসিপি উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি আপনার দই চিড়ার রেসিপি টা খুব সুন্দর হয়েছে। দই চিড়া খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আর আমার মনে হয় দই চিড়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। বিশেষ করে এই গরমে দই চিড়া শরীরের জন্য খুব ভালো।
সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বর্তমান যে গরম পড়ছে আর এই গরমে দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারিতা ৷ তাছাড়াও আপনি দই চিড়ার রেসিপি আমাদের মাঝে উপাস্থাপন করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো ৷
যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
গরমের সময় খাওয়ার খাওয়ার জন্য একটা পারফেক্ট জিনিস হল দই চিড়া আর কলা।
দইকে বলা হয় সুপার ফুড। এটা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটা খাবার এবং চিড়া আমাদের দেহে কার্বোহাইড্রেটের অভাব পূরন করে আর এর সাথে যোগ হয় কলার পুষ্টিগুণ।সব মিলিয়ে একটা চমৎকার খাবার।
দই নিজে বানিয়ে খাওয়াটা খুবই ভালো। আর এটা বানানোটাও এমন কঠিন কিছু না।
মাঝে মাঝে আমিও দই বানিয়ে থাকি। তবে দুই ছেলেটা আমার বাসায় খুব একটা খাওয়া হয়না কারণ আমার ছেলের কেউ পছন্দ করে না।
তবে আমার হাজবেন্ডের খুব প্রিয় একটা খাবার। সে রোজার সময় প্রায়ই খায় তবে এবছরটা কিভাবে যেন মিস করে গেছে।
চমৎকার একটা খাবারের রেসেপি আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সব সময়।
" আসলেই আপু এই গরমে দই বানানো কোন ব্যাপারই না তাছাড়া আমাদের বাসায় কমবেশি সবারই পছন্দের তালিকায় থাকে থাকে এই খাবারটি। তাই সময় সুযোগ মতো বানিয়ে নেওয়াটাই ভালো।
যখন জানলাম আপনি নিজের হাতের দই খেতে পছন্দ করেন তখন মনে দই বানানোর রেসিপিটা জানার ইচ্ছা প্রকাশ করছি আপনার নিকট।
শুনেছি গরমের সময় চিড়া ভিজিয়ে খেলে নাকি শরীর ঠান্ডা থাকে। ভালো লাগলো আপনার দই চিড়ার রেসিপি পড়ে সেই সাথে বোনাস হিসাবে দই এর কিছু গুনাগুনও বলেছে যেটা জানতে পেরে ভালো লাগলো।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
,* ইনশাল্লাহ একদিন তুমি বানানোর রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তবে খুব বেশি কঠিন কাজ নয় একটু কৌশল অবলম্বন করলেই বানিয়ে ফেলা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।