Better life with steem|| The Diary Game || 12 October 2024.
দুর্গা পূজার দিনগুলো খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়।এই না শুরু হলো আর আজ সপ্তমী পূজা।অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর পূজার সময়সূচি একদমই ভিন্ন। তাছাড়া এবছর নবমী পূজার পর পরই দশমী পূজাও শেষ হয়ে যাচ্ছে।তার মানে দশমীর দিনে কোন পূজা থাকছে না।যাই হোক যেহেতু পূজা পার্বণ তিথি অনুযায়ী হয় তাই আমাদের করনীয় কিছুই নাই। আমরা এবছর গ্রামের মন্দিরে পূজার অন্জলি দিব বাকি দিনগুলো।
সকাল সকাল স্নান সেরে আমি মন্দিরে চলে গেলাম।অন্য বছরের তুলনায় এবছর মন্ডপে লোকসমাগম ও কম।কিছু সময় অপেক্ষার পর পুরোহিত মহাশয় পূজা আরম্ভ করল।মন্দিরে আমার সমবয়সী বা কাছের লোকজন কেউ নাই বললেই চলে।অঞ্জলি প্রদান শেষ হলে কিছু সময় মন্দিরে অপেক্ষা করলাম।এরপর বাড়িতে এসে সকালের খাওয়া দাওয়া শেষ করে কিছু সময় ঠাকুরদার সাথে গল্প করলাম।ঠাকুরদা ১০০+ বয়সী লোক।তবে ইদানীং তার শরীরের ভার সে নিজেই আর বহন করতে পারছে না।তার সাথে গল্প করতে গেলেই সে দেশের অবস্হা সম্পর্কে জানতে চায়।
ঠাকুরদার সাথে গল্পের সময় তাকে আইসক্রিম খাওয়ার অফার করলে সে খেতে রাজি হয়।তাকে আইসক্রিম কিনে দেয়ার পর আমি আমার সহধর্মিণীসহ ছোট ভাইয়ের বউ ও কাজিনদের নিয়ে পুনরায় মন্দিরে যায়।আমরা সেখানে কিছু সময় পার করার পর গ্রামের পাশের একটা বিলের দিকে এগিয়ে যায়।সেখানে প্রাকৃতিক বাতাসের সাথে সবুজের সমারোহে কিছু সময় দাড়িয়ে থাকি।অন্যরা তাদের নিজেদের ছবি তুলতে ব্যস্ত থাকে।
আমরা সেখান থেকে বাড়ি ফিরে আসি।তারপর সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিই যে সন্ধ্যায় আমরা পুরো পরিবার পূজা দেখতে বের হবো।দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করে কিছু সময় বিশ্রাম নিই।এরই মধ্যে মনে হলো সেঝো কাকাদের বাড়িতে একটু বেড়িয়ে আসি।আগে আমরা পুরো পরিবার এই বাড়িতে বসবাস করতাম।এখন শুধু কাকা তার পরিবার নিয়ে এই বাড়িতে বসবাস করে।এই বাড়িতে আমি কয়েকমাস পূর্বে কয়েকটি ঢেড়স গাছের চারা রোপণ করি।গাছগুলো অনেক লম্বা হয়েছে।গ্রামের দিকে সাধারণত এই জাতের গাছ দেখা যায়না।
যাইহোক সেখান থেকে ফিরে এসে আমরা সবাই রেডি হয়ে নিলাম।দুইটি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও দুইটি বাইকে করে আমরা পুরো পরিবার ও কয়েকজন আত্মীয় একত্রে বের হলাম পূজা দেখতে।আমরা কলকলিয়া,পুটিয়া, ফকিরহাট এসব অঞ্চলে পূজা দেখতে লাগলাম। ফকিরহাট এসে মোটামুটি অনুভব করলাম পূজা হচ্ছে।বাকি মন্দিরগুলোতে শুনশান নিরবতা!ফকিরহাট এসে সেখানে পূজ মন্ডপের সমানের খাবারের দোকানগুলো থেকে সবার পছন্দমতো খাবার খেলো।এরপর রাত ১২ টা নাগাদ আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেলাম।এই ছিল আমাদের নবমী পূজা।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
দুর্গা পূজার এই আনন্দময় স্মৃতিগুলো মনকে খুব ছুঁয়ে গেল। গ্রামের মন্দিরে পূজা উদযাপন, ঠাকুরদার সঙ্গে সময় কাটানো এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে পূজা মন্ডপে ঘোরাঘুরি—সবকিছুতেই ঐতিহ্য আর ভালোবাসার একটা মিষ্টি ছোঁয়া আছে। প্রতিবারের মতোই পূজা যেন শুরু হয়ে শেষও হয়ে যায় চোখের পলকে, কিন্তু এমন স্মৃতিগুলো থেকে যায় অনেক দিন।