জেনারেল রাইটিংঃ আমাদের সাহিত্য
আসসালামু ওয়ালাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভাল আছেন। এখন ফেব্রুয়ারি মাস। বাংলাদেশে চলছে একুশে বইমেলা। তাই আমিও ভেবেছি, ফেব্রুয়ারি মাসে আমার বাংলা ব্লগে আমি কেবল বই নিয়েই লেখালেখি করব। এই লক্ষ্যে আজ থাকছে আমাদের সাহিত্য নিয়ে কিছু ব্যক্তিগত অভিমত।

বলা হয় শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আর এই শিক্ষা কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়। বরং শিল্প-সাহিত্য এবং অন্যান্য সৃষ্টিশীল শিক্ষা। একটি দেশ কতটা উন্নত তা বোঝা যায় দেশটিতে সৃষ্টিশীল কর্মের পরিবেশ কি পরিমানে রয়েছে তার ওপর। আমাদের দেশের সাহিত্য ভান্ডার যথেষ্ট সমৃদ্ধ। যদিও বর্তমানে খুব আলোচিত সাহিত্য আমরা এখন আর পাইনা। তবে একটা সময় ছিল যখন কিছু জ্ঞানীগুণী মানুষ আমাদের সাহিত্য ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাদের সৃষ্টিশীল রচনা আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে, আমাদেরকে পথ দেখিয়েছে, আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জুগিয়েছে।
যুগেযুগে বাংলাদেশের প্রায় সকল প্রকার সাহিত্যচর্চাই চর্চিত হয়েছে। আরাকান রাজসভার কবি আলাওল থেকে শুরু করে, বিলেতের প্রবাসী কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত, শামসুর রহমান, সুফিয়া কামাল প্রমুখ ব্যক্তিত্ব আমাদের বাংলা কবিতা ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন যুগযুগ ধরে। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, আবু ইসহাক, শহীদুল্লাহ কায়সার, শওকত ওসমান, জহির রায়হান, হুমায়ূন আহমেদ প্রমুখ সাহিত্যিক উপহার দিয়েছেন অগণিত কালজয়ী সাহিত্য। রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাস, পল্লী কবি জসিমউদ্দিন; তারা আমাদের বাংলা কবিতাকে নিয়ে গিয়েছেন অন্য এক উচ্চতায়। সৈয়দ মুজতবা আলীর রম্য রচনা পড়ে হেঁসে কুটিকুটি হয়নি এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর।
ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, হুমায়ুন আজাদ আমাদের উপহার দিয়েছেন প্রবন্ধ সাহিত্য। প্রমথ চৌধুরীর মত লেখকরা চলিত রীতির প্রবর্তন করেছেন। আমাদের রয়েছে মাসুদ রানার মত গোয়েন্দা সিরিজ এবং রকিব হাসানের হাত ধরে এসেছে কিশোর গোয়েন্দা সিরিজ তিন গোয়েন্দা। হাল আমলে জাফর ইকবাল, নাজিমুদ্দিনরা আমাদেরকে ভালো ভালো সাহিত্য উপহার দিচ্ছেন নিয়মিতই। আমাদের বাংলা সাহিত্য ভান্ডারে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন পলক। আহমেদ ছফার মত কালজয়ী সাহিত্যিকদের কথা না বললেই নয়। ফররুখ আহমেদের মত কবিও আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন অনাদিকাল পর্যন্ত।
ওপার বাংলার কথা যদি বলি, তাহলে তো কোন কথাই নেই। নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, সমরেশ বসু; নামের কোন শেষ নেই। সত্যজিৎ রায়ের কথা আলাদা করেই বলতে হয়। তারা বাংলা ভাষার সাহিত্যকে নিয়ে গিয়েছেন এক অনন্য উচ্চতায়, যা বলার অপেক্ষাই রাখেনা। এ কারণেই দুই বাংলায় যখন বইমেলা শুরু হয়, বাংলার আপামর জনতার মধ্যে একটি সাড়া জেগে ওঠে।

বাংলা সাহিত্যের সকল প্রথিতযশা কবি এবং সাহিত্যিকের নাম করে তাদের অবদান সম্বন্ধে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। বহু কবি সাহিত্যিক বাংলা সাহিত্য কে সমৃদ্ধ করে গেছেন বহু যুদ্ধ ধরে। আমরা যদি চর্যাপদ থেকে শুরু করি, তবে দেখব বাংলা ভাষা এবং সাহিত্যের সেবা প্রতি যুগে বিভিন্ন লেখকেরা তাদের গুণ দিয়ে করে গেছেন। বাংলা ভাষা এমন একটি ভাষা যার সাহিত্য সব মিলিয়ে ভীষণ সমৃদ্ধ। দারুন সুন্দর পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো।
দারুণ বলেছেন দাদা। আমাদের বাংলা ভাষা আসলেই অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।