পিরামিড এর জানা অজানা রহস্য (পার্ট-২)
আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছে গত পোস্টে আমি আপনাদের কাছে শেয়ার করেছিলাম পিরামিড এর রহস্য নিয়ে আজ পর্ব দুই এ অনেক কিছু নিয়ে আরো আলোচনা করবো।
গত পোস্টে আমরা পিরামিড এর জানা অজানা রহস্য নিয়ে অনেক কিছুই জেনেছি। কিন্তু আমি যদি বলি এর রহস্য আরো আছে যা পোস্ট লিখেও হয়তো শেষ করতে পারবো না। কারন প্রতি নিয়ত ও এখন এই পিরামিড এর খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। পিরামিড শব্দের অর্থ কী আমরা কেউ কি জানি ? হয়তো জানি হয়তো বা কেউ জানি না । পিরামিড শব্দের অর্থ হচ্ছে ফারাও খুফুর পিরামিড।
মিশরের রহস্য ও এই পিরামিড এর ইতিহাস প্রায় ৪,৫০০ বছরের ও বেশি প্রাচীন। মিশরের এই পিরামিড কিভাবে তৈরি হয়েছে তা আগের গল্প এ আমি আপনাদের জানিয়েছি। আজ জানবো কেনো এই পিরামিড তৈরি করা হয়েছে এবং কি কি ভাবে কাজে লাগে এই পিরামিড কে থাকতো এই পিরামিড এ। পিরামিড তৈরি হয়েছে মিশর দেশে। আর এই মিশরীয় ভাষায় পিরামিড বলা হয়।
পিরামিড বলার কারন হচ্ছে মানুষ কে যখন কবরস্থ করা হতো বা মৃত দেহকে দাফন করা হতো তখন তারা সাধারণ থেকে একটু ভিন্ন ভাবে দাফন করতো তা হচ্ছে মমি করে রেখে দিতো । মমি শব্দ টা হয়তো আপনারা অনেকেই শুনেছেন মমি করা হয় যেভাবে তা হচ্ছে মৃত দেহকে সাদা কাপড়ের ফিতা দিয়ে পুরো শরীর পেঁচানো হতো এটাকে বলা হয় মমি করা। তারপর দাফন করার জন্য ত্রিভুজাকৃতি মকবরা তৈরি করে রেখে দিতো।
মকবরা হচ্ছে ত্রিভুজাকৃতির একটি বক্স এর মতো আর এই মকবরা কে বলা হয় পিরামিড। মিশরের রাজা যাকে মানা হতো সেই রাজার বংশ বা তারপরে যে রাজা হবে সেই মিশরের তার পুরো বংশকে ফ্যারাও করা হতো। তাদের সবাইকে মমি করার কারন হচ্ছে মৃত দেহকে পচানোর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই মমি করা হয়। মমি করার প্রক্রিয়া হচ্ছে সর্বপ্রথম তারা মৃত ব্যক্তির নাড়ি ভুরি সহ আরো বিভিন্ন অঙ্গগুলি বের করে নেওয়া হতো।
যেমন: কিডনি,ব্রেন,লিভার,যকৃৎ ইত্যাদি মানবদেহের এইসব কিছু শরীর থেকে আলাদা করে নেওয়া হতো। কিন্তু মানবদেহের অভ্যন্তরীন অঙ্গ বলতে শুধু মাত্র হৃৎপিণ্ড কে শরীরের ভিতরে রেখে দেওয়া হতো। এর কারনে মিশরীয় লোকেরা বিশ্বাস করতো যে মানুষের হৃদপিণ্ড যদি তার শরীরে রেখে দেয়া হয় তাহলে মানুষের আত্মার বাসস্থান সেখানেই থেকে যায়। কারণে তারা মৃতদেহের মধ্যে হৃদপিণ্ডটিকে অক্ষত রেখে মৃত শরীরের বিশেষ বচনরত মসলা মাখিয়ে মমি করে রেখে দিত।
মমি করার সময় সেই মৃত দেহের মানুষ যেসব জিনিসপত্র আছে যেমন খাট বিছানা কাপড় আরো এমন যাবতিয় জিনিস পত্র সব কিছু সেই মমির সাথে রেখে দেওয়া হতো। এর কারন হচ্ছে তারা সকলেই মনে করতো যে রাজার মমির সাথে কবরস্থ করা হতো ফ্যারাও এর পুনঃ জন্মের আশায়। তারা আশায় থাকতো সে অবশ্যই মৃত ব্যক্তি আবার ও ফিরে আসবে এই মিশরীয় সংস্কৃতির প্রথা যুগ যুগ ধরে চলে আসছিল।
source
মমি করা টা সবার জন্য না হলেও রাজা মানে ফ্যারাও দের মৃতদেহ কে কবরস্থ করার জন্য বিশেষ বড় আকারের রাজ প্রাসাদ সমতুল্য বড় রকমের মকবরা তৈরি করা হতো বা পিরামিড তৈরি করা হতো। শুধু মিশর দেশে নয় অন্যান্য দেশে ও এই পিরামিড এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। হয়তো এই কথাটা আমরা অনেকেই জানি না। কিন্তু মিশরের মধ্যে প্রায় ১৩৮ এর কাছাকাছি পিরামিড পাওয়া গেছে।
আজকে এই পর্যন্তই আশা করি সবারই আমার এই গল্প টা ভালো লাগবে সাথে থাকুন এবং কমেন্ট করে জানান কেমন হয়েছে আমার এই গল্প। ধন্যবাদ সবাইকে।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme 7i |
Camera | 64MP Quad camera |
Location | Bogura, Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @sabbir-raj |
@sabbir-raj,
বন্ধু, আপনার লেখার প্রশংসা করছি, কিন্তু এই লেখাটিতে আপনার সৃজনশীলতা নেই। এটা ঐতিহাসিক একটি স্থাপনা। তাই আপনি যেহেতু, ঐতিহাসিক তথ্য বিষয়ক লেখা পুনরায় উপস্থাপন করছেন, এখানে key hash tag হিসেবে learnwithsteem ব্যবহার করুন। এবং ঐ সময়ের জীবন যাপন ও এখানে উপস্থিত, তাই lifestyle সাথে যুক্ত করুন।
অর্থাৎ learnwithsteem lifestyle steemexclusive bangladesh club5050.....etc. hash tag এভাবে দিন।
বিস্তারিত জানতে আমাদের টিউটোরিয়াল ক্লাসে অংশগ্রহণ করুন। story hash tag মুছে দিন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমি চেষ্টা করবো
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, সংশোধন করে দেওয়ার জন্য।
আপনার প্রথম পর্বে আমি পিরামিড সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছিলাম আপনি তার তৃতীয় খন্ড আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং আরো অনেক কিছুই সেখানে উল্লেখ করেছেন।।।
খুবই ভালো লাগলো আপনার দ্বিতীয় খন্ডটি পড়ে।।