বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সবথেকে বড় জয়
source
বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সবথেকে বড় জয় কোনটি?? এই প্রশ্নের জবাবে সম্ভবত সবথেকে বেশী উত্তর আসবে ২০০৫ সালের ১৮ই জুন কার্ডিফে পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাওয়া জয়টির কথা। বাংলাদেশ তখন এখনকার থেকেও অনেক বড় মিনোজ টীম। এতই অসম ম্যাচ ছিলো যে, ম্যাচের আগের দিন অস্ট্রেলিয়া দলের স্টার প্লেয়ার সাইমন্ডস অনুশীলন বাদ দিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই মাশরাফির দারুন এক ইনসুইংগারে বোল্ড হয়ে যান এডাম গিলক্রিস্ট। একটু পরে তাপস তুলে নেন রিকি পন্টিং এর উইকেট। এরপরে হেডেন-মার্টিন এর ৪৮ রানের পার্টনারশীপ, মার্টিন-ক্ল্যার্কের ১০৮ রানের পার্টনারশীপের উপর ভর করে ৪২ওভারে ১৬৫ এর মত রান করে অজিরা৷
আর শেষ ৮ ওভারে মাইক হাসি ও সাইমন ক্যাটিচের ঝড়ো ব্যাটিং এ তারা তোলে আরো ৮৪ রান। ৫০ ওভার শেষে অজিদের সংগ্রহ ২৪৯/৫. জিতার জন্য ২৫০ রানের টার্গেট বাংলা টাইগার্সদের। যা চিন্তা করাটাও সেইসময় অনেক দুঃসাহসের ছিলো আমাদের জন্য এবং টীমের জন্য।
source
১৫.৪ ওভারের মাঝে দুই উইকেট হারিয়ে যখন স্কোরবোর্ডে রান মাত্র ৫১,তখন ক্রিজে নামেন বাংলার প্রথম গ্লোবাল ক্রিকেট সুপারস্টার মোহাম্মাদ আশরাফুল। এরপরে ৭২ রানের মাথায় জাভেদ ওমরের আউটের পর ক্রিজে এসে আশরাফুলের সাথে জুটি বাধেন ক্যাপ্টেন হাবিবুল বাশার। এরপরে সিংগেলস, ডাবলস আর অড বাউন্ডারীতে রানের চাকা ঘুরতে থাকে। দলের রান ১৫০ পার করার পরেও আশা করার সাহস খুব কম সমর্থকেরই হচ্ছিলো। ৪৩ ওভারের মাথায় দলের রান ২০০ পার হয়ে যায়। ৭ওভারে ৫০ রান প্রয়োজন, এসময় দারুন খেলতে থাকা বাশার রান আউট হয়ে যান ৪৭ রান করে। ভেংগে যায় ১৩০ রানের অসাধারণ এক পার্টনারশীপ। এরপরে আশরাফুলের সাথে যোগ দেন আফতাব। ৪৬ তম ওভারের শেষ বলে মিড অনের দিকে ঠেলে দিয়ে এক রান নেওয়ার মাধ্যমে ১০০বলে শতক পুরন করেন মোহাম্মাদ আশরাফুল৷ মেহরাব হোসেন অপির পরে ২য় বাংলাদেশী হিসেবে ওয়ানডে শতক হাকান আশরাফুল। এরপরে রফিক আর আফতাব মিলে বাকী পথ পাড়ি দেন। ৪ বল হাতে রেখে ৫উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।