শীতের সকালে হাঁটাহাঁটি ও প্রকৃতি দর্শন।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


ঢাকা থেকে ফেরার পর থেকেই চেষ্টা করছি রেগুলার হাঁটাহাঁটি চালিয়ে যাওয়ার। তবে শীতকাল হওয়ার কারণে সকালের আরামের ঘুম ছেড়ে সহজে উঠতে ইচ্ছা করে না। এজন্য মাঝে মাঝেই সকালের হাটা চলা বাদ পড়ে যাচ্ছে। তবে ডাক্তার আমাকে বলেছে রেগুলার হাঁটাহাঁটি করতে। এর জন্য মনে কিছুটা অস্বস্তি কাজ করছে। প্রতিদিন সকালে উঠে যখন হাঁটার জন্য প্রস্তুত হই। তখন মনে হয় যে আজকের দিনটা থাক কালকে থেকে হাঁটবো। ওই সময়টায় হাঁটতে বের হতে বেশ কষ্ট হয়।

IMG_20230117_082041.jpg

ভোর বেলায় প্রচন্ড শীত থাকে বাইরে। তারপরও এর ভেতরে চেষ্টা করছি হাটাহাটি চালিয়ে যেতে। কারণ সকালের এই হাটাহাটি শরীরটাকে সুস্থ রাখতে এবং মনকে সতেজ রাখতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একবার যখন ঘর থেকে বের হয়ে হাঁটা শুরু করি তখন কিন্তু আর খারাপ লাগে না। বরং বলা যেতে পারে যথেষ্ট ভালো লাগে। কারণ ভোরের শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ, কোলাহলমুক্ত রাস্তাঘাট মনটাকে এমনিতেই ভালো করে দেয়। রাস্তাঘাটে খুব অল্প মানুষজন দেখা যায় তখন। মনে হয় শহরটা যেনো কেবল ঘুম ভেঙে আড়মোড়া ভাঙছে।

IMG_20230117_082417.jpg

হাঁটার সময়পাস দিয়ে মাঝে মাঝে দ্রুত বেগে দু একটি গাড়ি চলে যায়। তাছাড়া আর তেমন কোন সমস্যা নেই। অন্যান্য দিনের মতো আজকেও হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। শহরের এই শান্ত নিরিবিলি কোলাহল মুক্ত রাস্তায় হাঁটতে বেশ ভালই লাগছিল। অবশ্য আজকে হাঁটতে বের হতে কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। সকাল প্রায় আটটা বেজে গিয়েছিল। তবে শীতকাল হওয়ার কারণে তখনও রাস্তাঘাটে মানুষজনের আনাগোনা খুব একটা শুরু হয়নি। প্রথমে চিন্তা করেছিলাম আধাঘন্টা হাঁটবো। পরে হাঁটতে হাঁটতে কখন যে ৪০ মিনিট পার হয়ে গিয়েছিল বুঝতেও পারিনি।

IMG_20230117_082139.jpg

আমার প্রাথমিক লক্ষ্য থাকে ন্যূনতম ৪০ মিনিট হাঁটার। আজকে হাঁটাহাঁটির একপর্যায়ে প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছিল। এত সকালে বাসায় নাস্তার কোন ব্যবস্থা থাকে না। তাই চিন্তা করলাম বাইরে থেকে নাস্তা করে যায়। তখন চিন্তা করতে লাগলাম আশে পাশেই কোন জায়গা থেকে নাস্তা করব। কিছুক্ষণ পর মনে পড়লো কাছেই রয়েছে ঠাকুরের হোটেল। এটা আমাদের শহরের অত্যন্ত পুরাতন একটি হোটেল। খুবই ছোট্ট পরিসরে মাত্র দুটো রুম নিয়ে এই হোটেলটি চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে।

IMG_20230117_082624.jpg

শহরের যারা স্থানীয় বাসিন্দা তাদের প্রায় সকলের কাছেই এই হোটেলটি বেশ পরিচিত। বিশেষ করে যাদের স্টেডিয়াম পাড়ায় আনাগোনা আছে। যাই হোক হাঁটাহাঁটি শেষ করে সোজা গিয়ে বসলাম ঠাকুরের হোটেলে। এমনিতেই আমার বাইরে নাস্তা করতে বেশ মজা লাগে। তবে স্বাস্থ্যগত কারণে চেষ্টা করি হোটেল থেকে কম খেতে। যাইহোক হোটেলে পৌঁছে নাস্তা অর্ডার করলাম। নাস্তা বলতে খুবই সাধারণ খাবার। আমি সাধারণত ঠাকুরের হোটেল থেকে লুচি, ডাল, সবজি আর মিষ্টি দিয়ে নাস্তা করে থাকি। ওদের এই নাস্তাটা শহরের লোকজনের কাছে খুবই জনপ্রিয়। অর্ডার করার কিছুক্ষণের ভেতরেই টেবিলে নাস্তা পরিবেশন করল। তারপর ভরপেট নাস্তা করে ধীরেসুস্থে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  
 2 years ago 

সকালের হাঁটাহাঁটি শরীরকে সুস্থ রাখে এটা ঠিক তবে এই শীতের মধ্যে হাটাহাটি করা অনেক কষ্ট। আমিও হাটাহাটি করতাম আর আপনার মত এখন শীতের ভয়ে আর সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠা হয় না। হাটাহাটি শেষে একটু ক্ষুধা লেগে যায় তাই নাস্তা করলে মন্দ হয় না বিষয়টা, আমি নিজেও সকালবেলা হাটাহাটি করে বেশিরভাগ সময় পড়াটা আর ডাল খেতে পছন্দ করি।

 2 years ago 

সকালবেলায় হাঁটাহাঁটি করা সত্যিই অনেক উপকারী। কিন্তু এই শীতে সকাল বেলায় উঠতে ইচ্ছে করে না। যদি সকালবেলায় বাহিরে হাঁটাহাঁটি করা হয় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য যেমন উপভোগ করা যায় তেমনি শরীর ভালো লাগে। সুস্থ থাকতে হলে প্রত্যেকের উচিত নির্দিষ্ট সময় করে হাঁটাহাঁটি করা। ডাক্তার যেহেতু আপনাকে হাঁটাহাঁটি করতে বলেছে তাই কষ্ট করে হলেও আপনার জন্য হাঁটাহাঁটি করা খুবই জরুরী। যাইহোক একদিকে হাঁটাহাঁটি হয়েছে অন্যদিকে নাস্তাও করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালোই কেটেছে সময়টা।

 2 years ago 

আসল কিছু কাজ করার শুরুতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অলসতা কাজ করে। কিন্তু কাজটি করা শুরু করে দিলে তখন ভালো লাগে। আপনি ভোর বেলার নিরিবিলি কোলাহলমুক্ত পরিবেশে হাঁটাহাঁটি করার মাধ্যমে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। আসলে প্রতিদিনই আমাদের কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করা উচিত। আর আপনাকে যেহেতু ডাক্তারে হাঁটাহাঁটি করতে বলেছে তাহলে তো হাঁটাহাঁটি করতে হবেই। যাইহোক হাঁটাহাঁটি করতে করতে খিদা লেগে গেল তাই শেষে ঠাকুরের হোটেল থেকে নাস্তা করে বাড়ি ফিরলেন। আসলে সকালবেলায় বাইরে থেকে একটু নাস্তা হলে কিন্তু মন্দ হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

শীতকালে বিছানা ছেড়ে ওঠা খুবই কষ্টকর।যদিও নিরিবিলি রাস্তায় হাঁটতে ভালোই লাগে।শীতের সময় গ্রামের মানুষ ও ভোরে ওঠে পড়ে ঘুম থেকে আর কুয়াশার প্রকৃতি দেখতে ও ভালো লাগে বেশ।ঠাকুরের হোটেল নামটি বেশ সুন্দর, ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

সকালবেলা হাঁটাহাঁটি করা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকার। ডাক্তার হাঁটতে বলেছেন যখন হাঁটবেন ভাইয়া। তবে শীতের দিন সকালে উঠা সত্যি ই একটু কষ্টের। তবে উঠতে পারলে সকালে প্রকৃতির সৌন্দর্য যেমন উপভোগ করা যায় আবার হাঁটা ও হয়ে যায়। হাঁটাহাঁটি করে আবার নাস্তা ও করা হলো।খুব ভাল লাগলো ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ভাইয়া আমিও একসময় সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে হাটাহাটি করতাম। কিন্তুু এখন এমন অলস হয়েছি যে ঘুম থেকে উঠতে উঠতেই আটটা বেজে যায়। চিন্তা করতেছি আপনার মত সকালে হাটবো। আর হাটতে গেলে সাথে পানি নিয়ে গেলে ভাল হয়,কারন হাটতে হাটতে পানির পিপাসা আর খিদা লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

সকালে হাটাহাটি অভ্যস আমাদের প্রতিটি মানুষেরই করা উচিত,আর আমরা এত অলস হাটাহাটি করতে চাই না।আর শীতকাল হলে তো আরো না।তবে সকাল একবার হাটা শুরু করলে হাঁটতে আর খারাপ লাগে না।প্রকৃতির ছবি দেখলেই ভালো লাগে।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 58757.77
ETH 2554.49
USDT 1.00
SBD 2.52