অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি (দ্বিতীয় পর্ব)।
এভাবে ঘন্টাখানেক পার হওয়ার পর সে তার বসের কেবিনে গেলো। তিনি গিয়ে দেখতে পেলেন তার বস কোন একটি কাজে মগ্ন রয়েছেন। ফরিদ সাহেব মৃদু গলা খাঁকারি দিয়ে রুমে প্রবেশ করলো। বস ফরিদ সাহেবকে দেখে বললেন আপনার এতক্ষণে আসার সময় হল ? ফরিদ তখন বললো স্যার আপনি গতকালকে যে ফাইল দিয়েছিলেন সেটা একবারে কমপ্লিট করে নিয়ে তারপর আপনার কাছে আসলাম। তখন তার বস বলল ও ফাইলটার কাজ শেষ করেছেন? ফরিদ বললো জি স্যার।
তখন তার বস তাকে বললেন ফরিদ সাহেব আপনি যে প্রতিদিন অফিসে লেট করে আসা শুরু করেছেন। এটা নিয়ে অফিসের বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলা শুরু করেছে। এভাবে তো অফিস চলতে পারেনা। প্রত্যেকটা অফিসের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন আছে। এগুলো মেনে চলার সবার জন্য অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু আপনার কারণে এই অফিসের ডিসিপ্লিন নষ্ট হচ্ছে। আমি এর আগেও আপনাকে বিভিন্ন বার সাবধান করেছি। এবার শেষবারের মতো বলে দিচ্ছি। আপনি যদি কালকে থেকে অফিসে লেট করে আসেন। তাহলে ওই দিনের বেতন কাটা হবে। সেটা আপনি ১০ মিনিট লেট করে আসেন আর এক ঘন্টা লেট করে আসেন।
ফরিদ মনে মনে কিছুটা খুশি হলো। কারণ সে চিন্তা করেছিল হয়তো তার বস আরো খারাপ কিছু বলবে। ফরিদ যখন বিদায় নিয়ে চলে আসছিল তখন তার বস পেছন থেকে তাকে ডাক দিলো। ডাক দিয়ে তার হাতে একগাদা ফাইল ধরিয়ে দিয়ে। তারপর তাকে বলল আজকে আপনি অফিস থেকে যাওয়ার আগে এই ফাইলগুলো কমপ্লিট করে আমার কাছে জমা দিয়ে যাবেন। এত গুলো ফাইল দেখে ফরিদের মেজাজ খারাপ হলেও তিনি হাসিমুখে তার বসকে বললেন জি স্যার। আমি সব কাজ শেষ করে আপনার কাছে ফাইল জমা দিয়ে তারপর বাড়ি যাবো।
ফরিদ সাহেব যখন তার টেবিলে ফিরছিল তখন তিনি মনে মনে চিন্তা করছিলেন আজকে রাত দশটা বাজবে বাড়ি ফিরতে। তাই তিনি টেবিলে ফিরে তার স্ত্রীকে ফোন করে বিষয়টা জানিয়ে রাখলেন। পাশের টেবিলে বসে থাকা তার কলিগ তাকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন কি ব্যাপার? আজকেও বস আপনাকে ঝাড়ি দিয়েছে নাকি? মুখ দেখে তো মনে হচ্ছে আপনার মেজাজটা খুবই খারাপ। তখন ফরিদ তাকে বলল আর বলবেন না। ব্যাটা এক নম্বরের বদমাইশ। এতগুলো ফাইল দিয়ে আমাকে বলে আজকের ভেতরে কাজ শেষ করে তার টেবিলে জমা দেওয়ার জন্য। এতগুলো ফাইল দেখতে গেলে আমার আজকে আর বাড়ি ফেরা হবেনা। দেরি করে অফিসে আসার কারণে সে আমার সাথে এই শয়তানিটা করলো।
পাশের টেবিলের কলিগের সাথে কথাবার্তা শেষ করে ফরিদ দুপুরের খাওয়ার সময়টুকু বাদে টানা কাজ করলেন। এদিকে তার বস সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে অফিস থেকে বের হয়ে গিয়েছে। তাকে বলে গিয়েছে ফাইলগুলোর কাজ শেষ করে যেন তার টেবিলে রেখে আসে। এই কথা শুনে ফরিদ সাহেবের মেজাজটা প্রচন্ড খারাপ হয়েছিলো। কিন্তু তারপরেও সে তার কাজ করতে লাগলো। কাজ শেষ করে যখন ফরিদ অফিস থেকে বের হলো তখন রাত বাজে সাড়ে দশটা।
অফিসে সে আর দারোয়ান বাদে আর কেউ ছিলনা তখন। অফিস থেকে বের হয়ে ফরিদ রিক্সার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও রিক্সা না পেয়ে ফরিদ হেটে মেইন রোডের দিকে আগাতে লাগলো। হালকা শীত পড়ে যাওয়ায় একটু রাত হলে এখন রিকশার সংখ্যা রাস্তায় খুবই কমে যায়। ফরিদের অফিসটা মেইন রাস্তা থেকে একটা গলি ধরে কিছুটা সামনে আগালেই। ফরিদের অফিস থেকে মেইন রাস্তায় আসার পথে হাতের ডানে একটা ডাস্টবিন পড়ে। সে যখন সেই ডাস্টবিন অতিক্রম করছিল তখন হঠাৎ করে সেখান থেকে একটি শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলো। (চলবে)
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
গল্পে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি ভাইয়া। ডাস্টবিন থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে তার মানে আরো অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে। অফিসের কাজ করতে করতে যেহেতু ফরিদ সাহেবের অনেকটা রাত হয়ে গিয়েছিল তাই তো সে বাড়ি ফিরতে বেশ দেরি করেছে। তবে দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার গল্পটি পড়ে আমার একটি বাস্তব জীবনে দেখা একটি গল্পের কথা মনে পড়ে গেল। যাই হোক ফরিদ সাহেব অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় রাত করে বাসায় ফিরে। আর বাসায় ফিরার পথে সে ডাস্টবিনে একটি বাচ্চার কান্না শুনতে পায়, এখানে তো ক্লাইমেক্স রাখলেন ভাইয়া। আগামী তে কি যে আছে, সেটাই ভাবছি।
ব্যস্ততার কারণে পড়া হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এই পর্ব না পড়লে তৃতীয় পর্ব পড়লে অনেক কিছু বুঝতে পারব না, তাই আসা পড়তে এত পরে।গল্পটা বেশ মজার লাগছে। ফরিদ সাহেব কাজের চাপে দেরি করে বাসায় ফিরে।ফরিদ সাহেবের অফিস থেকে মেইন রাস্তায় যাওয়ার পথে হাতের ডানে একটা ডাস্টবিন পরে।ফরিদ সাহেব হঠাৎ সেখান থেকে এক বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনতে পায়।আপনি এখানেই গল্পটা শেষ করলেন। যাক পরের পর্ব এখনি পড়ে নিচ্ছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।