বন্ধুর সাথে চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ।
গত কয়েকদিন হল ফেরদৌসের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হচ্ছিলো না। শুনতে পেয়েছিলাম ফেরদৌস একটু পারিবারিক কাজে ব্যস্ত রয়েছে। যাই হোক গতকাল সকালে ফেরদৌস ফোন দিয়েছিল কুশল বিনিময় করার জন্য। কথাবার্তার এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করল যে বিকেলে বের হবো কিনা? আপনারা তো জানেন বাইরে ঘোরাফেরা করতে আমার কাছে এমনিতেই অনেক ভালো লাগে। তাই ফেরদৌসের প্রস্তাবের সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলাম।
পরবর্তীতে আমরা আলোচনা করছিলাম কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়। ফেরদৌসের ইচ্ছা ছিল একটু দূরে কোথাও ঘুরতে যেতে। তবে শীতের দিনের বেলাটা ছোট হওয়ায় দূরে ঘুরতে যাওয়া একটু সমস্যা। কারণ আমরা যেখানেই ঘুরতে যাই চেষ্টা করি সন্ধ্যা হওয়ার আগেই শহরের কাছাকাছি চলে আসতে। তবে এবার যেহেতু ফেরদৌস দূরে যেতে চাচ্ছিল। তাই আমরা দুজন মিলে ঠিক করলাম সদরপুর জমিদার বাড়ি ঘুরতে যাব। অনেক আগে সেখানে আমরা কয়েক বন্ধু মিলে গিয়েছিলাম। জায়গা ঠিক করার পর দুজন পরিকল্পনা করলাম বেলা তিনটার সময় দুজন এক জায়গায় দেখা করব। তারপর সেখান থেকে জমিদার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবো।
কিন্তু আমাদের দুজনেরই নির্ধারিত স্থানে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়ে গেলো। যার ফলে সেই দিনের মতো জমিদার বাড়ি ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করতে হলো। তখন ফেরদৌস আমাকে জিজ্ঞেস করল কোথায় যাওয়া যায়। তখন আমি ফেরদৌস কে বললাম আমরা এর আগে কয়েকবার একটা নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম। প্রত্যন্ত এক গ্রামের ভেতরে জায়গাটা আমাদের সবার কাছে পছন্দ হয়েছিল। চলো সেখানেই যাওয়া যাক। পরিকল্পনাটা ফেরদৌসের পছন্দ হলো। তারপর দুজন সেই স্থানের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
তবে শীতের দিনের ঘোরাফেরার আরেকটা সমস্যা হচ্ছে রাস্তাঘাটে প্রচুর ধুলাবালি থাকে। আমাদের ইচ্ছা ছিল কোন একটি নিরিবিলি রাস্তা দিয়ে গ্রামের দিকে যাওয়ার। কিন্তু যে রাস্তায় আমরা যাচ্ছিলাম সেখানেই যন্ত্রদানব ট্রাকের দেখা পাচ্ছিলাম। আর সেই সাথে ছিল বিপুল পরিমাণ ধুলাবালি। ব্যাপারটা আমাদের জন্য যথেষ্ট বিরক্তিকর ছিল। যাইহোক শেষ পর্যন্ত আমরা এই ধুলাবালির ভিতর দিয়েই আগাতে লাগলাম আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত স্থানের উদ্দেশ্যে।
তবে সেখানে পৌঁছানোর আগেই একটি বাজারে নামাজ পড়ার জন্য কিছুক্ষণ বিরতি দিলাম। তবে যেহেতু তখনো আজান দেয়নি। তাই সেখানে একটি সিঙ্গারার দোকান দেখতে পেয়ে চিন্তা করলাম এখান থেকে সিঙ্গারা খাওয়া যাক। গ্রাম্য এই হোটেল গুলির সিঙ্গারার একটা অন্যরকম স্বাদ থাকে। আমরা যখনই সেই স্থানটিতে ঘুরতে যাই। যাওয়ার সময় এখান থেকে সিঙ্গারা খেয়ে যায়। যাই হোক সিঙ্গারা খাওয়া শেষ হলে আজান শুনতে পেলাম। তারপর আমি নামাজ পড়া শেষ করে দুজনে আবার আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত স্থানের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
সেই বাজার থেকে আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত স্থানটির দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। যার ফলে অল্প সময়ে সেখানে পৌঁছে গেলাম। জায়গাটিতে পৌঁছে আমার কাছে বেশ অন্যরকম মনে হলো। কারণ যখনই এই জায়গাটিতে আসি তখনই সেখানে বেশ পরিবর্তন দেখতে পাই। বছরের বিভিন্ন সময়ে সেই জায়গাটি বিভিন্ন রূপ ধারণ করে। এর আগে যখন এসেছি তখন সামনের নদীটিতে বেশ খানিকটা পানি ছিল। তবে এবার গিয়ে দেখলাম পানি প্রায় শুকিয়ে গিয়েছে। যার ফলে দুপাড়ের লোকজন হেটেই নদীটি পার হচ্ছে। জায়গাটি আমার কাছে বরাবরই অনেক ভালো লাগে।
নদীর পাড়ে ফসলের ক্ষেত আর সেখানে সব সময় লোকজনের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। জায়গাটিতে আমরা বেশ খানিকটা সময় কাটালাম। বিভিন্ন রকমের গল্প গুজব করলাম। এমন চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছেড়ে ফিরতে ইচ্ছা করছিল না। তাছাড়া নদীর পানির এ অবস্থা দেখে আমরা দুজনে পরিকল্পনা করলাম। নদীর পানি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে নদীর অপর পাড়ে গিয়ে দেখব সেখানে সেখানকার পরিবেশ কেমন? শুনেছি ওপাড়টা নাকি অনেক সুন্দর। এই পরিকল্পনা করে তারপর বাড়ির দিকে ফিরতে লাগলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
যাই হোক প্ল্যান ক্যান্সেল হয়ে গেল ও কিন্তু চমৎকার একটা জায়গা থেকে ঘুরে এসেছেন, দারুন একটা মনোরম পরিবেশ ছিল সেখানে, দারুন লাগছিল অল্প পানির মধ্যে দুটো নৌকা দেখে। আমি হলে তো নৌকার মধ্যে উঠে ছবি তুলতাম 😂😂
ভাইয়া আপনার বন্ধুর সাথে যে পরিকল্পনা করেছিলেন জমিদার বাড়ি যাওয়ার সেটা সম্ভব না হলেও সবুজ প্রকৃতির মাঝে দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন। গ্রাম্য পরিবেশে সবুজের সমারোহে দ্বারা বেষ্টিত থাকে। সেই পরিবেশটা বিকেল মুহূর্তে উপভোগ্য হয়ে থাকে। যেটা আপনারা খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন।
আপনি ঠিক বলেছেন শীতকালে রাস্তায় হাঁটতে গেলে একটাই প্রবলেম অনেক ধুলোবালি থাকে। যাই হোক যাওয়ার কথা ছিল এক জায়গায় কিন্তু অন্য জায়গায় গিয়েও দেখছি বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছিলেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝতে পারলাম জায়গাটা বেশ সুন্দর। আর হ্যাঁ বিকালবেলা এরকম জায়গায় গেলে আসলে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে বন্ধুর সাথে চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় অতিবাহিত করা প্রকৃতির মাঝে সতেজ নিঃশ্বাস নেওয়া প্রকৃতিকে আলিঙ্গন করা এক কথায় প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে বরাবরই আমার ভালো লাগে।।
সবুজে মোড়ানো সুন্দর পরিবেশে দুই বন্ধু মিলে সময় অতিবাহিত করেছেন।
যদিও গন্তব্য ছিল জমিদার বাড়ি কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে যেতে পারেননি তবে প্রকৃতির মাঝে ঘুরে আমার মনে হয় সময়টা ভালোই পার করেছেন।।
ফেরদৌস সহ আপনার ঘোরাঘুরি গল্প অনেক পড়েছি ৷ যা হোক তাহলে সদর জমিদার বাড়ি যাওয়া হলো না ৷ আর ভাই এখন শীতের সময়ে গ্রামের কাচা রাস্তা গুলো ধুলোময় আর বিশেষ করে মিনি ট্রাক গুলোর জন্য ৷ তবুও দুজনে মিলে প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন সেই ফটোগ্রাফি ৷ আর নদীতে এখন খুব একটা জল থাকবে না যেহেতু শীতের দিন ৷
অনেক ভালো লাগলো দুই বন্ধু মিলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মূহূর্ত গুলো ৷
আমিও মাঝে মাঝে প্রকৃতির কাছে ছুটে যাই। আপনি তো বন্ধুদের সাথে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।যদির নির্ধারিত জায়গায় শেষ পর্যন্ত না গেলেও যাওয়া হলেও প্রকৃতির মাঝে খুব ভালই সময় কাটিয়েছেন।
ভাইয়া অবশেষে নদীটি আপনাদের যাত্রা পথে বাধা হয়ে দাড়ালো। নদীতে পানি না থাকলে কেমন লাগে। নৌকা গুলো অসহায় হয়ে পড়ে আছে। রাস্তার ধুলাবালি থেকে এই সুন্দর পরিবেশটা অনেক সুন্দর। যায়হোক ভাইয়া পরে একদিন নদী শুকিয়ে গেলে ঐ পাড়ের দৃশ্যটা দেখাবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার ঘুরতে যাওয়ার পোস্টেগুলোতে এত ফেরদৌস ভাইয়ার কথা শুনেছি। শুনতে শুনতে মনে হয় তাকে দেখলেও চিনে ফেলব। যাই হোক দেরি হওয়ার কারনে জমিদার বাড়ি যাওয়া না হলেও এত সুন্দর প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে ঘুরলেন তাও কম কি। আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।