ফুড ফটোগ্রাফি পোস্ট।
কিছুদিন আগে আমাদের শহরের একটি ফাস্টফুড শপ একটা কম্বো অফার দিয়েছিলো। সেই অফারে ছিলো একটা মিটবক্স, পটেটো ওয়েজেস, নাচোস আর কর্নডগ। অফারটা দেখে আমি মনে করেছিলাম খাবারটা খেতে খারাপ হবে না। তাই গিয়েছিলাম সেখানে এই খাবারটা খেতে। তবে খাওয়ার এক্সপেরিয়েন্স ছিলো একেবারেই খারাপ। বেশিরভাগ আইটেম ছিল ফাঁকিবাজি। শুধু কর্নডগটা মোটামুটি ভালো লেগেছিলো। এইখাবারের ছবিটা সেই রেস্টুরেন্ট থেকেই তুলেছিলাম।
কিছুদিন আগে ফুড পান্ডার মাধ্যমে অর্ডার দিয়ে এই সেট মেনুটা বাসায় আনা হয়েছিলো। অর্ডার করার আগে একটু টেনশনে ছিলাম যে খাবারটা কেমন হবে বা পরিমাণ কেমন দেবে। কিন্তু ডেলিভারি পাওয়ার পর দেখতে পেলাম খাবারটা পরিমানে এবং স্বাদে দুদিক দিয়েই অনেক ভালো ছিলো। ফ্রাইড রাইস, সুইট এন্ড সাওয়ার চিকেন কারি, ফ্রাইড চিকেন এবং ভেজিটেবল।
কিছুদিন আগে আমি ঢাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে কাচ্চি দরবার নামে একটি রেস্টুরেন্ট থেকে কাচ্চি খেয়েছিলাম। ফেসবুকে এই রেস্টুরেন্টের বেশ কিছু বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম। সেই সাথে অনেক ফুড ব্লগার তাদের ওখানে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে অনেক প্রশংসা করেছিলো। তখনই আমি চিন্তা করেছিলাম ঢাকায় গেলে এই রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া দাওয়া করবো। তবে তাদের কাচ্চি খেয়ে আমার কাছে তেমন আহামরি কিছু মনে হয়নি। সাদটা খারাপ না তবে তারা বিজ্ঞাপনে যে দাবিটা করেছিলো সেটা আমার কাছে সঠিক মনে হয়নি। তারা দাবি করেছিলো তারা কাচ্চিতে সবচাইতে বড় পিসের মাংস ব্যবহার করে। কিন্তু আমি কাচ্চিতে যে মাংস পেয়েছিলাম সেটার সাইজ অন্য আর পাঁচটা রেস্টুরেন্টের মতোই।
উপরের ছবি দুটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন দুই গ্লাস জুস। একটা হচ্ছে মিন্ট লেমোনেড আর অন্যটা হচ্ছে মাল্টার জুস। কয়েকদিন আগে আমি আমার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমরা দুজন এই জুস খেয়েছিলাম। জুসের দাম ছিল সেখানে বেশ রিজনেবল কিন্তু সাদ ছিলো অসাধারণ। আমরা দুজনে অনেক মজা করে জুস খেয়েছিলাম।
পরশুদিন আমি আমার স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে বাইরে গিয়েছিলাম ফুচকা খাওয়ার জন্য। তবে ফুচকা না পাওয়াতে পরবর্তীতে আমরা চিকেন চাউমিন খেয়েছিলাম। চিকেন চাউমিনটা খেতে ছিলো দারুন। আমার কাছে এতোটাই ভালো লেগেছিলো যে একটা শেষ হওয়ার পরে আমি আরো একটা অর্ডার করেছিলাম। সাথে আমরা ড্রিংস হিসেবে নিয়েছিলাম মাঙ্গ মিল্কশেক। ড্রিঙ্কসটাও আমাদের কাছে বেশ ভালো লেগেছিলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর, ঢাকা |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাই আপনার মতো আমারও খাবার সামনে আসলে ফটোগ্রাফি তোলার কথা মনে থাকে না। খাবার সামনে আসার সাথে সাথেই খাওয়া শুরু করে দেই। অনেকদিন পরে ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাই। ভাবিকে নিয়ে বাইরে গিয়েছিলেন সেখান থেকে চাওমিন আর মিল্কশেক খেয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আপনার করা প্রতিটি ফুট ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
তাহলে দেখছি ছবি তুলতে ভুলে যাওয়ার সমস্যা শুধু আমার একার না। হা হা হা...
হুম ভাই খাবার সামনে আসলে খাওয়া ছাড়া কিছু মনে থাকে না।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া অনেক সময় খাবারের ফটোগ্রাফি করার কথা একদমই মনে থাকে না। যাই হোক বিভিন্ন সময়ের করা এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। কিছুদিন আগে সোমা আপুকে নিয়ে ডক্টরের কাছে গিয়েছিলেন এবং পাশেই একটি জায়গায় জুস খেয়েছিলেন সেই ছবিটি দেখেও ভালো লাগলো ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলেই লোভ লেগে যায়। যদিও আমি বাইরের খাবার খাই না।কর্নডগ আমি বাসায় তৈরি করে খেয়েছিলাম।ভীষণ মজার হয়েছিল খেতে।আপনি বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে নানা রকমের খাবার খেয়েছেন।এটা ঠিক অনেক সময় ফটোগ্রাফি করার কথা মনেও থাকে না।ভালো লাগলো খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
আমি আবার ঠিক আপনার উল্টো। বাইরের খাবার খেতেই বেশি ভালো লাগে আমার। যদিও বাইরের খাবার যতটা সম্ভব এভয়েড করে চলাই ভালো।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে যে কয়েকটি ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন তা প্রতিটি ছিল অনেক লোভনীয়। তবে আমার ফেভারেট একটা খাবার হচ্ছে কাচ্চি বিরিয়ানি। আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে এই কাচ্চি বিরিয়ানি রেস্টুরেন্টের বিজ্ঞাপন অনেক দেখেছেন। তাই ঢাকায় গিয়েছিলেন ওই সময় এই রেস্টুরেন্ট থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়ে নিলেন এবং বেশ মজা উপভোগ করলেন। এছাড়াও আপনার পোস্টের মাধ্যমে যে দুটি জুস দেখতে পেলাম এই গরমে দেখেই খাওয়ার ইচ্ছে জাগছে। মনে হচ্ছে এখনি পেলে দুটাই একসাথে চেটেপুটে খেয়ে নিতাম। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেয়ার জন্য।
আপনার মতো কাচ্চি বিরিয়ানি আমারও ফেভারিট খাবার। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি যখন বেশি ব্যস্ত থাকি তখন আর খাবারের ফটোগ্রাফি করা হয়না। তাছাড়া যখন লোভনীয় খাবার সামনে থাকে তখন ফটোগ্রাফি করার কথা মনে থাকে না। কারণ তখন খাওয়ার দিকে বেশি নজর থাকে। যাই হোক এমন লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যা দেখে লোভ সামলানো কষ্টকর। আপনার ফটোগ্রাফির প্রতিটা খাবার আমার খুব পছন্দের আর জুস দেখে তো আরও বেশি খাওয়ার ইচ্ছে জেগেছে। যেই পরিমান গরম শুরু হয়েছে এমন জুস খেতে পারলে ভালো হতো। ধন্যবাদ ভাইয়া লোভনীয় সব ফুল ফটোগ্ৰাফি শেয়ার করার জন্য।
সবারই দেখছি আমার মত সমস্যা। আমি বেশিরভাগ সময় খাবারের ছবি তুলতে ভুলে যাই।
ভাইয়া খুব সুন্দর ফুড ফটোগ্রাফির পোস্ট শেয়ার করেছেন। ছবি গুলো অনেক সুন্দর করে তুলেছেন। বর্ণনাও দিয়েছেন সুন্দর। সবমিলে ভালো লেগেছে আমার। প্রতিটি ছবি সুন্দর, তারপরেও সুন্দরের সুন্দর লেগেছে দুই গ্লাস জুসের ছবিটি। ফুড ফটোগ্রাফি পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এটার স্বীকার আমিও কয়েকবার হয়েছি। অফার প্লেটার নিয়ে দেখি খাবারের যাচ্ছে তাই অবস্থা যেমন তেমন মান। কাচ্চি টা দেখে বেশ লাগছে। ড্রিংকস গুলো বেশ লোভনীয় লাগছে। বেশ চমৎকার করেছেন খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
ফ্রাইড রাইস, সুইট এন্ড সাওয়ার চিকেন কারি, ফ্রাইড চিকেন এবং ভেজিটেবল এর ফটোগ্রাফি টা দেখে লোভ সামনে রাখা মুশকিল। আমি এই ধরনের খাবারগুলো সত্যি অনেক পছন্দ করি। যাই হোক আপনি বেশ অনেকগুলো খাবারের ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন যেটা দেখে আমি খুবই আনন্দিত। আশা করি এভাবেই আমাদের মাঝে নতুন নতুন কনটেন্ট শেয়ার করে যাবেন ধন্যবাদ আপনাকে 💝💝❤️💯।
রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে যখন বেশি ক্ষুধার্ত থাকি,তখন খাবারের ফটোগ্রাফি করতে আমার মনে থাকে না। তাছাড়া এমনিতে খাবারের ফটোগ্রাফি করতে ভুল হয় না আমার। যাইহোক বিভিন্ন ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। বিশেষ করে চাউমিন এবং মাল্টার জুস দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুন খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন ভাইয়া। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি অনেক লোভনীয় ছিল। তবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু বিশেষ মুহূর্তে অনেক কিছু ফটোগ্রাফি নেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও সম্ভব হয় না। আবার অনেক সময় সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি নেওয়ার সুযোগ হয়। তবে আপনার শেয়ার করা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমার সব সময় বেশ ভালো লাগে।