গ্রাম্য হাটে আমার ঘোরাফেরা। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
আমি সময় সুযোগ পেলে প্রায়ই বন্ধুর সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই। বেশিরভাগ সময়ই শহরের আশপাশেই হয় সে জায়গা গুলো। আর একটা জায়গা আছে যেখানে আমার প্রায়ই যাওয়া হয়। সেটা হচ্ছে আমার এক বন্ধুর এলাকা। আমরা দু'বন্ধু মিলে সেখানে গিয়ে অনেকক্ষণ আড্ডা দিই। আশেপাশে ঘোরাফেরা করি। আমার একটা অভ্যাস হচ্ছে আমি যখনই গ্রামের দিকে যাই। তখন যদি আশেপাশে কোন গ্রাম্য হাট বাজার থাকে। সেখান থেকে একবার ঘুরে আসি।
গ্রাম্য হাট-বাজারগুলো আমাকে প্রচন্ড ভাবে আকর্ষণ করে। কেন করে তা জানিনা। হয়তো গ্রাম্য এই হাট-বাজার গুলি আমাকে নস্টালজিক করে দেয়। সেই শৈশবের স্মৃতি গুলো মনে করিয়ে দেয়। যখন স্কুলের ছুটির সময় দাদাবাড়ি নানা বাড়িতে যেতাম। যখন মামা চাচা দের সঙ্গে গ্রামের হাট বাজারে যেতাম। এই জিনিসটা আমি খুবই উপভোগ করতাম। কোন কিছু না কিনলেও গ্রামের হাট বাজারে ঘুরতে আমার খুবই ভালো লাগে।
গ্রাম্য হাট বাজার গুলির একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে এমন কিছু জিনিস পাওয়া যায় যেটা শহরের হাট-বাজারে সচরাচর পাওয়া যায় না। আর গ্রাম্য হাট বাজার গুলি এখনো সেই আগের মত বসে। মাটির উপরে কিছু একটা বিছিয়ে তার ওপরে পণ্যসামগ্রী রেখে বেচাকেনা করে। এগুলো দেখে আমার মনে হয় গ্রাম্য হাট বাজার গুলি এখনো পুরনো গ্রামীণ সংস্কৃতি ধরে রেখেছে। যদিও ক্রমেই এই ধরনের গ্রাম্য হাট বাজার গুলি হারিয়ে যাচ্ছে। কারণ এখন সব জায়গায় হাট বাজারের অবস্থা পরিবর্তিত হয়েছে।
এখন বেশিরভাগ গ্রাম্য হাট বাজারে শহরের জিনিসপত্র পৌঁছে গিয়েছে। এখন আর গ্রাম্য হাট বাজার গুলিতে কমদামে জিনিসপত্র পাওয়া যায় না। কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির কারণে তারা খুব সহজেই জানতে পারে যে শহরে কি দামে জিনিসপত্র বিক্রি হচ্ছে। যার ফলে তারাও সেই দামে জিনিসপত্র বিক্রি করার চেষ্টা করে। তবে গ্রাম্য হাট বাজার গুলির একটা সুবিধা হচ্ছে এখানে আপনি টাটকা অনেক কিছু পাবেন। যেমন নদী বা পুকুরের মাছ, বাড়িতে পালিত হাঁস মুরগি, নিজের খেতে ফলানো সবজি, গাছ থেকে সদ্য পেরে আনা টাটকা ফল এই সমস্ত জিনিস। আর একটা জিনিস খুবই কমন সেটা হচ্ছে মিষ্টি জাতীয় জিনিস। এটা প্রায় সব গ্রাম্য হাট বাজারেই থাকে।
গ্রাম্য হাট গুলিতে আরো কিছু জিনিস পাওয়া যায় যেটা সাধারণত নিম্নবিত্তরা বা গ্রামের সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে সেই সমস্ত জিনিসপত্র। আমার বন্ধুর এলাকার এই হাটে দেখি একটা জামা কাপড়ের ভ্রাম্যমান দোকান হয়েছে। দেখে আমি খুবই অবাক হয়েছি। কারণ এই ধরনের দোকান গ্রাম্য হাটে আগে দেখা যেত না আমাদের এলাকায়। তাছাড়া গ্রাম্য হাটে চুরি ফিতার দোকান একটা খুবই পরিচিত ব্যাপার। গ্রামের লোকজন এখানে বাজার করতে এসে বাড়ির মহিলাদের জন্য চুরি ফিতা কিনে নিয়ে যায়।
আসলে ছোটবেলা থেকে গ্রাম আমাকে প্রচন্ড টানে ছোটবেলা থেকেই আমার শহরে বেড়ে ওঠা কিন্তু তারপরও গ্রামের প্রতি এই প্রচন্ড টান আমি সব সময় অনুভব করি গ্রামের সবকিছুই আমার ভালো লাগে এজন্য আমি যখনই সময় সুযোগ পাই গ্রামে ছুটে যাই। গ্রামের কোলাহলমুক্ত নির্মল পরিবেশ, মেঠোপথ, ফসলের ক্ষেত, নদী-নালা, পুকুর সব কিছুই আমার ভালো লাগে। যতই সময় যাচ্ছে গ্রামের প্রতি এই আকর্ষণটা আমার আরো বাড়ছে। শহুরে কোলাহল আর আমার কাছে ভালো লাগে না। গ্রামের শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ আমার কাছে সবচাইতে ভালো লাগে। এজন্যই বারবার এই গানটার কথা মনে পড়ে
-
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
আপনার এই পোস্টটা দেখে আমারও গ্রামের বাজার যাওয়ার ইচ্ছা জাগল। গ্রামের বাজারগুলো খুবই জাঁকজমকপূর্ণ হয়। সবসময়ের জন্যই যেন একটা আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি থাকে। আর আপনার পোস্ট আর ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আপনার এই পোস্ট টি দেখে আমার নিজ গ্ৰামের কথা মনে পড়ে গেল। আসলেই গ্ৰামের হাট গুলো যে কতটা সুন্দর হয় সেটা আপনি আমাদের সামনে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রামে হাটের দোকানের ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। এই ছবিগুলো দেখে আমাদের গ্রামের হাটের দৃশ্য চোখে ভাসতেছে। গ্রামের হাটগুলো এমনি সুন্দর হয়। যেখানে আমাদের মতো নিম্নবিত্ত আর সাধারণ মানুষের বেশী ভিড় হয়। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এরকম একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য ।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া গ্রাম্য হাট সত্যিই আকর্ষণ করে। কারণ এখানে নানা ধরনের নানা ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। বিশেষ করে গ্রাম্য হাট এর জিনিসপত্রগুলো খুবই সুন্দর দেখায়। আপনার তোলা গ্রাম্য হাটের ছবি গুলো দেখতে বেশ দেখাচ্ছে। এই হাটে গিয়ে এমনি এমনি হাঁটতেও ভালো লাগবে সবকিছু দেখতে। আপনার তোলা সব ছবির মধ্যে জামা কাপড় বিক্রির যে ছবিটা সেটি দেখতে অনেকটা ভালো লাগলো কারন এরকম সচরাচর এখন কম দেখা যায়। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার গ্রাম্য হাট। অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য এবং আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
সব গ্রামের বাজারের দৃশ্য অনেকটা একই রকম। আমার বাড়ির পাশে একটি জায়গাই এইরকম গ্রাম্য বাজার বসে। অনেকটা এই বাজারের মতোই।
এবং আমিও আমার বন্ধুর সাথে মাঝে মাঝেই ঘুরতে বের হয়। ঐ সময়টা আমি খুবই উপভোগ করি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ইট বালু সিমেন্টের দেয়ালে মোড়ানো শহর থেকে একটু বেরিয়ে যখন গ্রামবাংলার কাছাকাছি যাওয়া যায় আমরা প্রত্যেকেই যেন নিজেকে নিজে খুঁজে পাই। সবগুলো ছবি আর লেখা আমার বেশ ভালো লাগছিলো দেখতে। গরম জিলিপি খাওয়ার মজাই আলাদা। আর সবচেয়ে বড় কথা গ্রামের এরকম বাজারে এই মানুষগুলোর কাছ থেকে একদম নির্ভেজাল জিনিস পাওয়া যায়।
একদম ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আসছে শীত,ভরে গেছে নতুন নতুন সবজি হাট-বাজারে। গ্রামের বাজারগুলোতে সব সময় টাটকা টাটকা সবজি পাওয়া যায়। যার স্বাদ অতুলনীয়। ধন্যবাদ ভাইয়া গ্রামের হাটে বাজারের সবজির দৃশ্য গুলো সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি যখন মাঝেমধ্যে গ্রামে যাই তখন এই হাট বাজার গুলো দেখি। তবে তা ভালো ভাবে দেখতে পারিনা কারণ সিএনজি অথবা কারে থাকি আর গাড়িও খুব জোরে চলে যার কারণে অল্পস্বল্প ই দেখতে পারি। শুধু মাত্র আপনার ছবিতে অনেক সুন্দর ভাবে আর খুঁটিনাটি দেখতে পাই তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া বাজারে তো দেখছি শীতের সবজিতে ভরে গেছে। পাতা কপি বাঁধাকপি এগুলোতো শীতের সবজি। একটি বাজারের বিভিন্ন স্থানে দোকানপাটের দৃশ্য গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
অনেক সুন্দর অনেক সুন্দর, গ্রামের বাজার আর নানা ধরনের সুন্দর পরিবেশের সাথে সুন্দর কিছু কথা বলেছেন। যা অনেক ভাল লেগেছে, প্রতিটি ছবি অনেক আকর্ষণীয় ছিল দাদা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।