কন্যাকে নিয়ে চিড়িয়াখানা ভ্রমণ পর্ব-৪।১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
গত কয়েকদিন ধরে কয়েকটা পর্বে আপনাদের সামনে চিড়িয়াখানার বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরছি। সেই ধারাবাহিকতায় আজকে আরো কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। চিড়িয়াখানায় হরেক রকমের পশু পাখি আছে। কিছু আছে খুবই পরিচিত। আবার এমন কিছু প্রাণী ও আছে যেগুলি আমাদের কাছে মোটেও পরিচিত না। এই ধরনের প্রাণী দেখলে বেশি ভালো লাগে। চিড়িয়াখানার ভেতর শুধু জীবিত প্রাণী নয়। একটি প্রাণী মিউজিয়াম ও আছে। সেই মিউজিয়ামটি দুই ভাগে ভাগ করা। এক ভাগে আছে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর মৃতদেহ সংরক্ষণ করা। আরেকটি ভাগে আছে বিভিন্ন রকমের জলজ প্রাণীর এ্যাকুরিয়াম।
এই প্রাণীটিকে আমরা সবাই চিনি। হাতিকে সবাই খুব পছন্দ করে। এই প্রাণীটি বিশাল আকার এবং প্রচন্ড শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও বেশ শান্ত এবং চুপচাপ। যদিও হাতি একবার ক্ষেপে গেলে তুলকালাম কাণ্ড বাধিয়ে নেয়। সবচেয়ে শক্তিশালী স্থল প্রাণী হচ্ছে হাতি। আমার মেয়ে হাতি দেখে খুবই খুশি হয়েছে।
এটা হচ্ছে অন্য আরেকটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার। আগে বাঘ আর সিংহ এইখানে পাশাপাশি খাঁচাতেই থাকতো। কিন্তু বর্তমানে বাঘ আর সিংহের জন্য অনেক বড় জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই প্রাণীটির নাম আমার মনে নেই। তবে এই প্রাণী দেখতে অনেকটা ঘোড়া এবং হরিণের মাঝামাঝি। দেখলাম বেশির ভাগ লোকজনই এই প্রাণীটিকে চেনো না।
এটি একটি সংরক্ষিত রয়েল বেঙ্গল টাইগার। মৃত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের চামড়া দিয়ে এই প্রাণীটি তৈরি করা হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি ছোট আকৃতির বাঘ।
এই মাছটিকে একুরিয়াম এর ভিতরে দেখেছিলাম। মাছটি দেখতে খুবই সুন্দর। যদিও মাছটির নাম এই মুহূর্তে আমার মনে নেই। কিন্তু দেখলাম সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে মাছটিকে দেখছে।
এটি একটি সংরক্ষিত মৃত চিতাবাঘ। উপরের বাঘটির মতো এটিও মৃত চিতা বাঘের চামড়া দিয়ে বানানো হয়েছে। এই মিউজিয়ামে এমন আরও বহু প্রাণীর আকৃতি বানানো আছে।
যদিও এদের পাশে নাম লেখা রয়েছে সামগ্রিক সবুজ কচ্ছপ। কিন্তু এটার গা দেখে বোঝার কোন উপায় নেই যে এটার নাম কেন সবুজ। কিন্তু বিভিন্ন রকম কেমিক্যাল দিয়ে মৃতকে কচ্ছপকে এভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। কচ্ছপটি বিশাল আকৃতির।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করছি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আর চিরাখানার সচিত্র তুলে ধরেছেন।উপস্থাপনা খুব মার্জিত ভাবে করেছেন।খুব সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন।অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মুহূর্তটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
এতোদিন পরে এই পরিবেশ গুলো দেখছি, আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। আসলে সত্যি কথা বলতে চিড়িয়াখানায় ঘোড়ার মজাই আলাদা। ছোটবেলা অনেক গিয়েছি বড় হয়ে বেশি যাওয়া হয়না। অনেক ভাললাগলো,, অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ভাই আপনার কন্যার জন্য তো মনে হয় আমরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছি। না মানে আমি বুঝালাম আপনি আপনার কন্যাকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় গিয়েছেন আর সেই সুযোগে আমরা ঘরে বসেই চিড়িয়াখানার সব সৌন্দর্য উপভোগ করে ফেলছি অ।নেক কিছু দেখলাম ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
প্রথমেই বলি আপনার পোস্ট এতদিন পাই নাই সত্যি মিস করেছিলাম আপনার পোস্ট। নিজের সন্তানকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার ফিলিং তাই ভিন্ন। আপনার সুস্থতা কামনা করছি দোয়া করি আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
❤️🙏🙏🙏
আমি তো জানতামই না, চিড়িয়াখানার পার্ট থাকবে,আমি আপনার পোষ্ট দেখে খুবই আনন্দিত, ভাই কে আপনার পোষ্ট পড়ে শোনালাম এখনি, আর সাথে ছবিও দেখালাম।
আমার ভাই এর বয়স ৯ বছর, আমার থেকে ১২বছরের ছোট।রাতে আমার সাথেই শোই। তো রোজ রাতে কিছু না কিছু গল্প শোনে,আজ তো আপনার পোষ্ট ই একটা গল্পের মতো শুনলো।
শুভ রাত্রি, ভালো থাকুন দাদা
আসলে এসমস্ত জায়গা দেখে বাচ্চারা একটু বেশি আনন্দ পায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার পরবর্তী গানের অপেক্ষায় রইলাম।
আচ্ছা ভাইয়া এটা কি গাধা?আমি কিন্তু জানিনা একদম ই,জাস্ট একটা আন্দাজ করলাম, এই আরকি।
কচ্ছপটা দেখেই কেমন যেনো লাগছে আমার কাছে।
না গাধা না। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনার চিড়িয়াখানা ভ্রমণ আনন্দ মুখর ছিল আশাকরি। চিড়িয়াখানার প্রাণীদের দৃশ্য পটভূমি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন বিষয়টি ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ভাইয়া আপনার কন্যাকে নিয়ে চিড়িয়াখানা ভ্রমণের প্রতিটা পর্ব আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। প্রতিটা পর্বের মত আজকের ফটোগ্রাফি অনেক ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই, আপনাকে সুন্দর সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ছোটবেলায় সবথেকে আকর্ষনীয় জিনিস প্রাণী ছিল হাতি। বাড়ির সামনে দিয়ে যেত আমরা দেখার জন্য প্রতিটি গ্রাম ঘুরে বেড়াতাম পিছে পিছে। খুবই ভালো ছিল মুহূর্তটা আপনি আবারো তুলে ধরলেন। পিকচারটা খুবই ভালো ছিল।সামুদ্রিক সবুজ কচ্ছপ এবং চিতাবাঘ দেখে খুবই ভালো লাগলো। যাইহোক এক কথায় আপনি সবকিছু সুন্দরভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন ভালো লাগলো ভাইয়। শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার পোস্ট দেখে আমিও চিড়িয়াখানায় ঘুরে আসলাম। আপনার ভ্রমন শুভ হোক সব সময় এইটাই প্রত্যশাই করি। আপনার মেয়ের প্রতি ভালোবাসা রইল। আপনার জন্য শুভকামনা ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।