কন্যাকে নিয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানা ভ্রমন(পর্ব-১)। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
এবার যখন ঢাকা আসি তখন আমার মেয়ে আমাকে মনে করিয়ে দিলো যে তার ফুপু তাকে চিড়িয়াখানা ঘুরিয়ে দেখাবে বলে কথা দিয়েছে।চিড়িয়াখানা দেখার জন্য সে অস্থির। ছোট মানুষ বিভিন্ন রকমের জন্তু-জানোয়ারের কথা চিন্তা করে খুবই খুশি ছিলো।
কিন্তু বিধিবাম ঢাকা পৌছেই দেখি তার ফুপি অসুস্থ্য। যদিও তার আগ্রহের কথা চিন্তা করে তার ফুপা তাকে কথা দিল যে কয়েকদিন পরেই তাকে চিড়িয়াখানা থেকে ঘুরিয়ে আনা হবে।সে অধীর আগ্রহে দিন গুণছিল। এর ভেতরে একদিন যাওয়ার দিনক্ষণ ঠিক করা হলো। কিন্তু একটি সমস্যার কারণে আর যাওয়া হলো না। বোনের অসুস্থতার কথা চিন্তা করে আমারও সেখানে যাওয়ার আগ্রহ কম ছিলো।
এখন আমার বোন কিছুটা সুস্থ। তাই সে তার ভাস্তির মন রক্ষার জন্য আমাদের চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যাওয়ার ব্যবস্থা করলো। যেদিন ঘুরতে যাওয়ার কথা সেদিন সকালে আরেক বিপত্তি হলো। তাদের ড্রাইভার হঠাৎ করে জানানো সে আজকে আসতে পারবে না। এদিকে সবাই প্রায় তৈরি হয়ে বসে আছি। তারপর চিন্তা করলাম যাই হোক আজকে ঘুরে আসতে হবে। তারপর উবারে একটি গাড়ি কল করা হলো। সেই গাড়িতে করে আমরা রওনা হলাম চিড়িয়াখানার উদ্দেশ্যে।
আমার মেয়ে খুবই আনন্দিত ছিলো যাওয়ার পথে। যাহোক কোনরকম বিপত্তি ছাড়াই আমরা চিড়িয়াখানায় পৌঁছলাম। আমি এর আগেও একাধিকবার সেখানে গিয়েছি। যার ফলে আমার ভিতর আলাদা করে তেমন কোনো অনুভূতি ছিল না। কিন্তু আমার মেয়ের কথা চিন্তা করে আমি একটু দেখতে আগ্রহী ছিলাম যে সে কি পরিমান খুশি হয়।
যথারীতি টিকিট কেটে আমরা চিড়িয়াখানার মূল প্রবেশদ্বার দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। ভিতরে প্রবেশ করেই দেখলাম হরিণের মাঠ। সেটা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেয়া আছে। হরিণ দেখে সে খুবই খুশি। আবার ভয়ে সে খুব কাছে যেতে চাচ্ছেনা। তাকে অনেক বোঝানোর পর সে কাছে যাওয়ার সাহস পেলো।
আমি এবার চিড়িয়াখানায় গিয়ে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখতে পেলাম যে চিড়িয়াখানার ভিতরে বেশ কিছু প্রাণীর থাকার জায়গা পরিবর্তন হয়েছে। কিছু প্রাণীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। কিন্তু সবকিছু এখনো অনেক অগোছালো। প্রায় ১৮৭ একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত এই জাতীয় চিড়িয়াখানা। কিন্তু প্রতিটা জায়গায় পরিকল্পনাহীনতার তার ছাপ স্পষ্ট।
যদিও নতুন কিছু সুযোগ-সুবিধা দর্শনার্থীদের জন্য করা হয়েছে। যেমন পর্যাপ্তসংখ্যক পাবলিক টয়লেট। কিছু দূর পরপর বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা, বসার জন্য বেঞ্চ এই জিনিসগুলো খুবই প্রয়োজন। যখন আমরা চিড়িয়াখানায় পৌঁছলাম তখন প্রচন্ড গরম ছিলো। কিন্তু চিড়িয়াখানার ভেতর পৌঁছে কিছুটা স্বস্তি অনুভব করলাম। কারণ সেখানে প্রচুর গাছপালা আর জলাশয় থাকার কারণে চিড়িয়াখানার ভেতরের তাপমাত্রা অনেকটাই কম ছিলো।যেটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগছিলো।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে এই ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে সে। পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ছবি তোলার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
ভাইয়া, চিড়িয়াখানাটি খুব সুন্দর।দেখেই বোঝা যাচ্ছে,কিন্তু ১৮৭ একর জায়গা নিয়ে চিড়িয়াখানা তবে একটি জীব-জন্তুকেও দেখতে পেলাম না।😢আশা করি আপনার পরের পোস্টে সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাবো জীব ও জন্তুর।ধন্যবাদ আপনাকে।
পরবর্তী পোষ্টে জীবজন্তুর ছবি দেখতে পাবেন। ধন্যবাদ আপনাকে দিদি।
ভাই পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম। 😍😍😍
ভালোবাসা অবিরাম 🥰🥰🥰।
আমার বিশ্বাস আপনি এবং আপনার কন্যাসহ আর যারা ছিলেন তারা সবাই এই দিনটি খুব ভালোভাবে উপভোগ করেছেন সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই ব্যাপারগুলো আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। কারণ আমাদের দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরেই এই পাবলিক টয়লেটের বড়ই অভাব আর থাকলেও তাতে যাওয়ার কথা ভাবাও যায় না। আর বিশুদ্ধ পানির কথাতো ভাবাই পাপ যা চিড়িয়াখানায় রেখেছে। এবং এটা অনেক বেশি প্রশংসনীয়। আর চিড়িয়াখানাটিও দেখতে সুন্দর।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
প্রথমেই আপনার বোনের সম্পূর্ণভাবে সুস্থতা কামনা করছি আমি। আশা করি আপনি ও আপনার মেয়ে এবং পুরো পরিবার সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন সবাই মিলে। পরবর্তীতে জীবজন্তুর ছবিও দেখতে চাই।
চিড়িয়াখানাগুলোতে পশুপাখির পরিবর্তন করে কতৃপক্ষ। কিন্তু কিছু বিশ্রাগার বা বসার জায়গাগুলো সংস্কার করে না। জাতীয় চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার পর। তখন অনেকটা সুন্দর ছিল।যাইহোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আমার কাছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লেগেছে, প্রতিটি জাইগা আপনি ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন আমাদের সামনে।
সত্যিই আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে, অনেকদিন পর এই চিড়িয়াখানার চেহারা দেখতে পারলাম।
আশাকরি দিনটি অনেক ভাল কেটেছে আপনাদের। অনেক শুভকামনা রইল আপনি এবং আপনার মেয়ের জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
খুব সুন্দর ভাবে চিড়িয়াখানা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্ব দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ভাইয়া
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ভাইয়া বাচ্চারা এসব বিষয় আবার ভুলে না হাহাহহাহাহা। ভাইয়া আপনার শরির এর এখন কি অবস্থা??? আপনি ঠিক আছেন তো গত ৪ দিন হয়ে যায় আপনার কোন পোস্ত ও নেই শুনেছি জ্বর হয়েছে। জ্বর কমে নাই??
জ্বর এখন একটু কম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আলহামদুলিল্লাহ ভাই নিজের একটু যত্ন নিবেন।❤️❤️🙏🙏
খুব সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন আপনার মেয়েকে নিয়ে।যদিও আপনি পূর্বে বহুবার গিয়েছেন বিধায় আপনার তেমন একটা আগ্রহ ছিল না।তবে আপনার মেয়ের জন্য দিনটি অনেক ভালো কেটে গেছে।আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।