বন্ধু ফেরদৌসের সাথে ঘুরতে গিয়ে আরো দুই বন্ধুর সাথে অপ্রত্যাশিত আড্ডা।
যাই হোক এর ভেতরে একদিন ব্যাটে বলে মিলে গেলে আমি আর ফেরদৌস বিকেলে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। সাধারণত আমরা বিকালের দিকে ফেরদৌসের মোটরসাইকেলে করে ঘোরাফেরা করি। তবে এই দিন প্রথমে আমি আমার বাসা থেকে বের হয়ে ইউসুফ ভাইয়ের চায়ের দোকানে গেলাম। পরে সেখান থেকে ফেরদৌসের সাথে হাঁটতে হাঁটতে পদ্মার পাড়ের দিকে যেতে লাগলাম। অবশ্য আমি প্রথমে ফেরদৌসকে বলেছিলাম আমরা অটোতে করে পদ্মার পাড়ে চলে যাই। কিন্তু ফেরদৌস প্রস্তাব করলো চলো আজকে আমরা হাঁটতে হাঁটতে যাই। আমিও চিন্তা করলাম বেশ কিছুদিন হলো আমার হাঁটাহাঁটি একেবারেই হচ্ছে না। তাই ফেরদৌসের প্রস্তাবটা আমার কাছে পছন্দ হলো। তখন আমিও রাজি হয়ে গেলাম।
তারপর দুই বন্ধু হাঁটতে হাঁটতে পদ্মা পাড়ের উদ্দেশ্যে যেতে লাগলাম। তবে সেদিন বিকেলে ছিল অত্যন্ত গরম। আমি আবার অল্পতেই অনেক ঘেমে যাই। তাই আমার হাঁটতে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো। কিছুদূর যাওয়ার পর খেয়াল করে দেখলাম ঘেমে আমি পুরোপুরি ভিজে গিয়েছি। যাইহোক তারপরেও গ্রামীণ নিরিবিলি পরিবেশের ভেতর দিয়ে হাঁটতে খারাপ লাগছিল না। আমরা যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম সেই রাস্তার পাশ দিয়ে একটি খাল বয়ে গিয়েছে। সেই খালটি গিয়ে মিশেছে পদ্মায়। আমরা খেয়াল করলাম সেখানে এখন বেশ কিছু মানুষ বিভিন্ন জায়গায় মাছ ধরছে। বছরের এই সময়টাতে খালটাতে অনেক পানি আসে। তাছাড়া বছরের বেশিরভাগ সময়ই খালটা শুকনো থাকে।
মানুষজনের মাছধরা দেখে আমরা পরিকল্পনা করলাম আমরাও একদিন মাছ ধরতে আসবো। যাইহোক আমরা দুজন ধীরেসুস্থে পদ্মার পাড়ের উদ্দেশ্যে হাঁটছিলাম। হাঁটতে হাঁটতে একটা সময় পদ্মার পাড়ে পৌঁছে গেলাম। তারপর নদীর পাড় ধরে কিছুদূর হাঁটার পরে হঠাৎ করে আমাদের আরো দুই বন্ধু হারুন এবং রনির সাথে দেখা হয়ে গেলো। ওদের সাথে দেখা হওয়াতে আমরা চার বন্ধু মিলে পদ্মার পাড়ে তৈরি করা একটি বেঞ্চে বসে আড্ডা দিতে লাগলাম। হঠাৎ করে আরো দুই বন্ধু পেয়ে আমাদের বেশ ভালো লাগছিলো। চার বন্ধু এক জায়গায় হওয়াতে আড্ডায় মশগুল হয়ে গেলাম। নদীর পাড়ে বসে আড্ডা দিতে দিতে আমরা বাদাম এবং আইসক্রিম খেলাম।
সেদিন ছিল শুক্রবার শুক্রবারে সাধারণত আমাদের শহরের পদ্মার পাড়ে প্রচুর লোক সমাগম হয়। তবে এদিন লোক সংখ্যা কিছুটা কম দেখতে পাচ্ছিলাম। আমরা প্রথমে বুঝতে পারিনি আসলে কি সমস্যা। আড্ডা দেয়া শেষ করে যখন আমরা আরো সামনের দিকে আগাতে লাগলাম তখন খেয়াল করলাম আমরা যেদিকটাতে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম সেদিকে আসার রাস্তার কিছুটা অংশ পানিতে ডুবে রয়েছে। এই দৃশ্য দেখে লোকসমাগম কম হওয়ার কারণটা বুঝতে পারলাম। সাথে এটাও বুঝতে পারলাম যে পদ্মা নদীর পানি আরো বেড়েছে। অবশ্য এই লেভেলে প্রতিবারই পানি আসে। কয়েক দিন পর আবার নেমেও যায়। আমরা সেই পানির ভিতর দিয়েই সামনের দিকে আগাতে লাগলাম। পানি অবশ্য খুব বেশি ছিলো এমনটা নয়। নদীর পাড়ে মানুষের চলাচলের জন্য যে জায়গাটুকু তৈরি করা হয়েছে সেখানে কিছু অংশে গোড়ালি সমান পানি হবে। এই কারণেই দর্শনার্থীরা পদ্মার পাড়ে এসে আমরা যেদিকে বসে ছিলাম সেদিকে যেতে পারছিল না। আমরা যখন আড্ডা শেষ করে উঠলাম ততক্ষণে মাগরিবের আজান দিয়ে দিয়েছে। তাই সেদিনের মতো আড্ডা শেষ করে বাড়ির পথ ধরলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাই আপনি আপনার বন্ধুর সাথে পর্দার পারে ঘুরতে গিয়েছেন এবং আপনাদের অটোতে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু আপনার বন্ধুর প্রস্তাবে পায়ে হেঁটে পদ্মার পাড়ে গিয়েছেন জেনে খুশি হলাম। এতো সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
একসময় আমি এবং আমার বন্ধু লিখনও বিকেল হলেই ওর বাইক নিয়ে ঘুরতে বের হতাম। কিন্তু এখন লিখন এক শহরে আর আমি আরেক শহরে। আপনার এই লাইনটা দেখে ঐটা মনে পড়ে গেল। আপনি এবং আপনার বন্ধু ফেরদৌস দারুণ সময় কাটিয়েছেন পদ্মার পাড়ে। সঙ্গে আরও দুই বন্ধু হারুন এবং রনির সঙ্গে দেখা। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা।।
আপনারা দুজন এ সময়ে বাইকে করে ঘোরেন কিন্তু সেদিন ফেরদৌস ভাইয়া হেঁটে যাবে বলে দুজন হেঁটে পদ্মার পাড়ে চলে গেলেন।সেখানে গিয়ে আরো দুজন বন্ধুকে পেয়েছেন।চারজন মিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো।মাগরিবের আজান হলে আপনারা বাসায় চলে গেলেন।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষন ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
সব সময় বাইক নিয়ে ঘুরলে কি আর ভালো লাগে। তাই তো ফেরদৌ ভাই সুন্দর একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যাক আপনারা হাটতে হাটতে নদীর পাড়ে চলে গেলেন। আর সেখানে যেয়ে আবার আরও দুই বন্ধুর সাথে দেখা হলো। তারপর আপনারা বেশ ভালো সময় কাটালেন আড্ডা আড্ডায়। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
@rupok আপনিও আপনার বন্ধু এক সময় একসাথে সময় কাটাতেন।এখন প্রয়োজনের তাগিদে আর একসাথে সময় কাটাতে পারছেনা।
হঠাৎ করে এক জনের সাথে ঘুড়তে গিয়ে আর দুজন বন্ধুকে দেখে আপনার খুব ভালো লাগলো। আসলে বন্ধুত্বের অনুভূতি গুলি এমন ই হয়। পোস্ট টি পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময়।