কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।
সেদিন সকালে একটি জরুরী কাজে বাইরে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে মনে করলাম একবার বাজার থেকে ঘুরে যাই। মূল উদ্দেশ্য ছিল কিছু সবজি আর ফল কেনা। কিন্তু বাজারে যাওয়ার পর মনে হল মাছ বাজার থেকে একবার ঢু মেরে আসি। নির্দিষ্ট কোন মাছ কেনার জন্য নয়। গিয়েছিলাম মূলত ঘুরে ফিরে দেখতে। আর যদি কোন মাছ পছন্দ হয় তাহলে সেটা কিনতে। মাছ বাজারে কিছুক্ষণ ঘোরাফেরার পর দেখতে পেলাম বাজারে বেশ ভালো সাইজের কিছু বাইম মাছ উঠেছে। এই মাছটি আবার আমার বাসার সবাই পছন্দ করে। পছন্দ হওয়ায় কিছু বাইম মাছ কিনে ফেললাম। বাসায় নেয়ার পর সেই বাইম মাছ রান্না করা হলো আলু বেগুন সহকারে। আজ আপনাদের সাথে সেই রেসিপিটি শেয়ার করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছ রান্না

উপকরণ সমূহ

উপকরণ সমূহ | পরিমাণ |
বাইম মাছ | ২ টি |
বেগুন | ২ টি |
আলু | ২ টি |
পেয়াজ কাটা | ১/২ কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৭ টি |
পেঁয়াজ বাটা | ২ টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১ চা চামচ |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
হলুদ গুড়া | ১ চা চামচ |
শুকনা মরিচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
জিরাগুঁড়া | ১ চা চামচ |
ধনিয়া গুড়া | ১ চা চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
রন্ধনপ্রণালী
প্রথম ধাপ
প্রথমে কড়াইতে কিছুটা তেল নিয়ে কিছুক্ষণ গরম করি। তারপর তার ভেতরে কেটে রাখা পেঁয়াজ গুলি দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নেই।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন কড়াইয়ের ভেতর সমস্ত কাটা মসলা এবং বাটা মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিই। মনে রাখবেন যত বেশি কষাবেন ম আপনার তরকারির স্বাদ ততো ভালো হবে।
তৃতীয় ধাপ
এখন কষানো মসলার ভিতর মাছ গুলো দিয়ে দিই।
চতুর্থ ধাপ
মাছগুলো কিছুক্ষণ কষানোর পর কড়াইয়ের ভেতরে কিছুটা পানি যোগ করি। তারপর কিছুক্ষণ রান্না করি। রান্না হয়ে গেলে মাছগুলো কড়াই থেকে তুলে একটি বাটিতে রেখে দিই।
পঞ্চম ধাপ
মাছ উঠিয়ে নেয়ার পর কড়াইয়ের ভেতর যে মসলা থাকবে তার ভেতর কেটে রাখা আলু বেগুন গুলি দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিই। তারপর সেখানে সামান্য পানি যোগ করে অল্প কিছুক্ষণ রান্না করি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন কড়াইয়ের ভেতর কেটে রাখা কাঁচা মরিচ এবং জিরার গুড়া যোগ করি।
সপ্তম ধাপ
এখন তুলে রাখা মাছ গুলি কড়াইয়ের ভেতর দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করি। ব্যাস হয়ে গেলো আমাদের মজাদার আলু বেগুন দিয়ে মাছের ঝোল। এখন গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন। সাথে যদি হয় এক টুকরো লেবু তাহলে তো কথাই নেই।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নভা 2i |
ফটোগ্রাফার | @rupok |
Support
@heroism Initiative by Delegating your Steem Power
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
@rupok
টপ ক্লাস একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই আমাদের এদিকে এতো বড় বাইম মাছ তো পাওয়ায় যায়না।পাওয়া গেলেও সেগুলো অনেক ছোট।আপনার রেসিপি দেখে জিভে জল এসে গেল ভাই দারুন ছিল ধন্যবাদ শেয়ার করাএ জন্য।
বাইম মাছের সাইজ আসলেই অনেক ভাল ছিলো। এইজন্যই দেখেই পছন্দ হয়ে গেলো। খেতেও ভালো হয়েছিলো।
এই মাছগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপযোগী পুষ্টিকর রয়েছে, আজকের আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছের রান্নার রেসিপি চমৎকার ছিল, খুব সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের সামনের আজকের রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল প্রাণপ্রিয় ভাই।
এই ধরনের রান্না শরীরের জন্য উপকারী। আমরা সাধারনত ভুনা ভাজা খেতে অভ্যস্ত। তবে সেগুলো শরীরের জন্য মোটেই ভালো না।
আপনার এই ছবিটা দেখে মনে হয়েছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছ রান্না রেসিপি দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
তরকারিটা খেতে বেশ মজা হয়েছিলো। গরমের দিনে দুপুরে গরম ভাতের সাথে এধরনের তরকারি আর সাথে যদি লেবু থাকে। তাহলে আর কিছু লাগেনা।
ওয়াও ভাইয়া আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছের রেসিপি দেখতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। আপনার রেসিপি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে ভাইয়া। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
খেতে ভালোই হয়েছিল। দুপুরবেলায় গরম ভাতের সাথে এধরনের তরকারি খারাপ লাগে না।
ভাই বাইম মাছ আমার খুবই প্রিয় মাছ। আর এই প্রিয় মাছ আপনি অত্যন্ত সুস্বাদু করে তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছ রান্না সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। আমার জানামতে আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছ রান্না করে খেলে অনেক অনেক মজার হয়ে থাকে। আপনার তৈরি রেসিপি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। মনে হচ্ছে গরম গরম ভাতের সাথে এই রেসিপিটি খেতে পারলে খুবই ভালো লাগতো। এতো সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমার বাসাতেও প্রায় সকলেই বাইম মাছ খেতে খুবই পছন্দ করে৷ আর আমিও বাইম মাছ খেতে খুবই পছন্দ করি। কিন্তু কখনো এভাবে আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছ রান্না করে খাওয়া হয়নি। আমার বাসায় বাইম মাছ বেশিরভাগ সময়ই ভুনা করে রান্না করা হয় । তবে আপনার রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আমি অবশ্যই এই রেসিপিটি ট্রাই করে দেখবো। ধন্যবাদ।
আপনি অনেক সুস্বাদু একটি মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন ।বাইম মাছ সাধারণত নদী তে পাওয়া যায় । আরজে মাছ নদীতে পাওয়া যায় সে মাছের স্বাদ অন্য এক রকম। আপনি বাইম মাছ দিয়ে মজাদার একটি রেসিপি করেছেন যা আমার খুব প্রিয়। এত সুন্দর একটি রেসিপি নিখুত ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আলু বেগুন দিয়ে খুব সুন্দর করে বাইম মাছের রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।ভাইয়া বাইম মাছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি গুণ থাকে ।তাই এইমাছ সবার খাওয়া। উচিত আমার কাছে তো বেশ ভালো লাজে।আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে খুবই মজাদার ছিল ।খুব ইচ্ছে করছে একটু তুলে খেয়ে ফেলি।কিন্তু খেতে পারব না ।যাইহোক আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই মাছের রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
বাইম মাছ খেতে আমি একদমই পছন্দ করি না এবং কখনো আমি এই মাছ খাইও নাই। আজকে আপনার তৈরি আলু এবং বেগুন দিয়ে বাইম মাছের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে আসলেই অনেক সুস্বাদু।আপনার তৈরি রেসিপির তরকারি কালারটা অনেক সুন্দর হয়েছে যা দেখে যে কেউ খেতে ইচ্ছা পোষণ করবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া আমাদের মাঝে বাইন মাছের এত সুন্দর একটি রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য।
বাইম মাছ খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দিকে ভাই সত্যি কথা বলতে জল এসে গেছে জিভে। সেই সাথে আপনার উপস্থাপনা গুলো অনেক ভাল ছিল।খুব সুন্দর করে সবকিছু র্বণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি বাইম মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।