Better Life With Steem || The Diary game || 31 October
![]() |
---|
জীবন থেকে ভালো সময়টা খুব তাড়াতাড়ি পার হয়ে যায়। আর খারাপ সময় গুলো যেন পার হতে চায় না। বেশ কয়েকদিন যাবত অনেকটা টেনশনের মধ্যে দিন পার করতে হচ্ছে। জানিনা সৃষ্টিকর্তা কোথায় কি রেখেছে। তবে সবকিছু যেহেতু উনিই নির্ধারণ করে। নিশ্চয়ই ভালো কিছুই অপেক্ষা করছে। ভরসা রাখি সৃষ্টিকর্তার উপর যা করবেন আমার ভালোর জন্যই করবেন।
প্রতিদিনের মতোই সকাল পাঁচটার সময় ঘুম থেকে উঠলাম। নামাজ পড়ার পর আজকে একটু তাড়াতাড়ি নাস্তা তৈরি করার জন্য রান্নাঘরে চলে গেলাম। কেননা সকাল সাড়ে দশটার সময় ছেলেকে নিয়ে হসপিটালে যেতে হবে।
ছোট ছেলেটার হাতের মধ্যে দাদ এর একটা ছিন্ন দেখতে পাচ্ছি। যেটা দেখে আমার অনেক বেশি ভয় লেগেছিল। ঐদিন ওকে একবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। ডাক্তার যে ঔষধ দিয়েছে তা খাওয়ানোর পরে ওর সারা শরীরে এই দাদ আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যেটা গেছে আমি আরো বেশি ভয় পেয়ে গেলাম। সারারাত আমাকে একটু ঘুমাতে দেয় না শুধু কান্না করে।
![]() |
---|
![]() |
---|
তাড়াতাড়ি করে নাস্তা তৈরি করে বড় ছেলেকে নাস্তা খাইয়ে দিয়ে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিলাম। এরপর আমি রান্নাঘরে গিয়ে আমার রান্নার কাজ সম্পন্ন করে নিলাম। তখন সময় সকাল দশটা।
এরপর ছোট ছেলেকে রেডি করে নিলাম নিজের রেডি হয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করলাম প্রায় দশ মিনিট। দশ মিনিট পর গাড়ি পেলাম এরপর আমি হসপিটালে উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। দীর্ঘ প্রায় 30 মিনিট পর আমি হসপিটালের কাছে গিয়ে পৌঁছালাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
হসপিটালের ভিতরে প্রচন্ড ভিড়, এরপর কোনরকম টিকিট কেটে নিলাম। কিন্তু লাইন অনেক বড়। কি আর করব অপেক্ষা করতে হবে অপেক্ষা করতে করতে প্রায় সাড়ে বারোটা বেজে গেল। এরপর আমি ডাক্তার দেখাতে পারলাম, ওকে ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ নিলাম। কিছু বাজার করলাম এরপর বাড়িরে উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
বাড়ি এসে আগে ছেলেকে গরম পানি দিয়ে ওর শরীর মুছে দিলাম। কারণ ডাক্তার বলেছে ঠান্ডা পানি যেন ওর শরীরে না লাগাই। ওর শরীরে প্রচন্ড জ্বর শরীর মুছে দেয়ার পর ডাক্তার একটা ক্রিম বকে ব্যবহার করতে দিয়েছিল। ওই ক্রিম ওর সারা শরীরে মালিশ করে দিলাম। এরপর আমি সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ওকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম।এবং মোবাইল দিয়ে দিলাম যাতে ও মোবাইল দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে যায়।
![]() |
---|
নিজে যোহরের নামাজ আদায় করলাম। দুপুরের খাবার খেতে একদম ইচ্ছে করছিল না। আমি জার্নি করলে আমার কাছে কোন কিছুই ভালো লাগেনা, প্রচন্ড মাথা ব্যথা করে। তার পরেও অনিচ্ছাকৃতভাবে অল্প কয়েকটা ভাত খেয়ে নিলাম। ভাবলাম একটু ঘুমিয়ে পড়বো, কিন্তু সংসারের কিছু কাজ বাকি ছিল সেগুলো সম্পন্ন করলাম।
তিনটে নাগাদ আমার পোস্ট লেখা শুরু করলাম। এরপর পোস্ট করে আসরের নামাজের আজান দিল, সংসারে যাবতীয় কাজগুলো আবারও সম্পন্ন করলাম। করে আসরের নামাজ পড়ে নিলাম, পড়ার পর বড় ছেলে আসলো ও আজকে দুপুরে খেতে আসেনি, তাই ওকে খাবার খাইয়ে দিলাম।
ওরা কিছুক্ষণ মোবাইলে কার্টুন দেখল, দেখার একটু পরেই মাগরিবের নামাজের আজান হল। ছেলেকে বললাম অজু করে এসে নামাজ পড়ার জন্য, আমার কথা মতোই ও অজু করে এসে নামাজ পড়লো। ছোট ছেলে কান্না করতেছিল ওর জ্বরের পরিমাণ আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।আমি নামাজ পড়ে ওকে কোলে নিয়ে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম, বড় ছেলের পাশে! কারণ আমি তার পাশে না বসে থাকলে ও ঠিকমতো পড়াশোনা করেনা।
![]() |
---|
এরপর বড় ছেলেকে ভাত খাইয়ে দিলাম, ছোট ছেলেকে ভাত খাওয়ানোর অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কারণ ওকে ওষুধ খাওয়াতে হবে, কিন্তু ও ভাত খেতে কোনমতেই রাজি ছিল না। এরপর ওকে এক পিস কেক কোনমতে খাইয়ে ওষুধ খাইয়ে দিলাম। কিন্তু ওর জ্বরের পরিমাণটা কোনোভাবেই কম ছিলোনা, মনে হচ্ছিল আরো বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কি আর করব এরপর ডাক্তারের কাছে কল করলাম ডাক্তার বলল একটু ধৈর্য রাখুন, নিশ্চয়ই কমে যাবে। কিছুক্ষণ পরে আমি ওর গায়ে হাত দিয়ে দেখলাম জ্বরের পরিমাণটা একটু কমে গিয়েছে, ও ঘুমিয়ে পড়েছে। এরপর আমি কমিউনিটিতে ঢুকে কিছু পোস্ট ভেরিফাই করলাম। কিন্তু নেটওয়ার্কের এত সমস্যা যা বলে হয়তো বা বোঝানো সম্ভব না। এভাবেই আমার জীবন থেকে একটা দিন পার হয়ে গেল। সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখি হয়তোবা নতুন ভোরের সকাল আরো অনেক সুন্দর হবে। সবার সুস্থতা কামনা করে, আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
meraindia |
---|
আপনার ছেলের হাতে কি যেন উঠেছে আর আপনি এটা দেখে অনেক ভয় পেয়েছেন।। আসলে শরীরে কোন রোগ হলে আর সেটাতো না চিনতে পারা যায় সত্যি সেটার জন্য অনেক চিন্তা হয়।। আপনি একটা ছেলের জন্য সারা রাত ঘুমাতে পারেননি।। এটাই হলো একজন প্রকৃত মা যে সন্তানের অসুস্থর জন্য ঘুম হয় না।।
আপনি আজকে হসপিটালে গিয়েছিলেন আর সেখানে অনেক মানুষ আসলে বর্তমান সময় মানুষ একটু বেশি অসুস্থ হয়।। সেজন্য হসপিটালেও যেয়ে সময় মত ঔষধ পাওয়া যায় না অনেক অপেক্ষা করার পরে ওষুধ নেওয়া যায়।।
Normally here in Kolkata no Govt. hospital doctor will share his no to the patient party. At least you can call the doctor in need. Hope your son's condition has improved. Wish his speedy recovery.
আপনার একটা দিনের কার্যক্রম পরে বুঝতে পারলাম আপনার দিনটি খুব একটা ভালো কাটেনি। আর সন্তানেরা অসুস্থ হলে অবশ্যই মায়েদের কোন কিছুই ভালো লাগেনা। এটা আমি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারি। সন্তানেরা অসুস্থ হলে কোন কাজেও মন বসে না এমনকি কোন কাজও ঠিকভাবে করা যায় না। যাই হোক দোয়া করি আপনার ছোট ছেলে যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আপনার লেখা পড়েই বুঝতে পারলাম যে আপনার মনটা মোটেও ভালো নেই। কারণ আপনার বাচ্চাটি অসুস্থ।আসলে সন্তান অসুস্থ থাকলে কোন মায়েরই মন ভালো থাকতে পারে না।
আপনি বাচ্চাকে আজকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছেন এবং সেখানে দীর্ঘ সময় আপনাকে বসে থাকতে হয়েছে। এ কাজটি সত্যিই অনেক বিড়ম্বনার। এরপরে সাংসারিক সব কাজেও আপনাকে সময় অতিবাহিত করতে হয় ।
এরপরও আপনি আপনার কমিউনিটির প্রতি দায়িত্ব ভুলেন না। নিয়মিত এই কাজগুলো আপনি করে যাচ্ছেন।
আপনার সন্তানের জন্য আমি অনেক দোয়া করি যাতে সে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। আপনিও ভালো থাকবেন। নিজের শরীরের যত্ন নেবেন।
আমি আপনার সম্পূর্ণ লেখাটি পড়লাম। আপনি ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করেছেন। তারপর সকালে রান্না করেছেন। তারপর আপনার বাচ্চাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছেন। সেখানে থেকে ফিরে বাচ্চাকে গরম পানি দিয়ে গা হাত পা মুছে দিয়েছেন।
তারপর আপনি আপনার বাচ্চার গায়ে ঔষধ লাগিয়ে দিয়েছেন। আপনার বড় ছেলে মাদ্রাসা থেকে আসার পর খাবার খাওয়া দিছেন। তারপর সন্ধ্যা সময় বাচ্চাদের নামাজ পড়েতে বলেছেন এবং পড়তে বসিয়েছেন। তারপর বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে আপনি কমিউনিটি কিছু কাজ করেছেন।
আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে দুয়া করি আপনার বাচ্চা যেন অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে যায় এবং আপনার পরিবারের সব বিপদ দূর হয়ে যাক।
যাইহোক আপনার দিনলিপি পড়ে অনেক ভালো লাগল আপনার ছোট বাচ্চার বিষয়টা ছাড়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। আপনার পরবর্তী পোস্টের জন্য অপেক্ষা রইলাম। ভালো থাকবেন আপনি সেই দুয়া করি সবসময় সৃষ্টিকর্তার কাছে।
আপনার দিন লিপি টি পড়ে জানতে পারলাম যে আপনার ছোট ছেলের শারীরিক অবস্থা ভালো না।ওকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছেন আপনি।
তারপর ও তো সংসারের কাজকর্ম ফেলে রাখার উপায় নেই।সব মিলিয়ে জীবন। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। আপনার ছোট ছেলের জন্য দোয়া রইল। ভালো থাকবেন সবসময়।
দাদ জিনিসটা খুবই খারাপ। বছর দুয়েক আগে আমার হয়েছিল। তবে আমারটা বেশ দ্রুতই চলে গিয়েছিল। আমাকে ওষুধ আর ক্রিম লাগানো পাশাপাশি কিছু নিয়মাবলিও দিয়েছিলো। যেমন,আলাদা টাওয়েল, চিরুনী ব্যবহার করা, প্রতিদিন এর পরনের কাপড় সাবান দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার ইত্যাদি। আপনার ছেলের দাদ যদি এর মাঝে কমে যায়তো ভালো নাহলে ভালো একজন স্কিনের ডাক্তার দেখান।ও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এই দোয়া করি। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো আপনাদের জন্য
বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে মায়ের মন টা যে কতটা খারাপ থাকে সেটা মায়েরা এই জানে, আমি দোয়া করছি আপনার ছেলেটা খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। একটা জিনিস বেশ ভালো লেগেছে আপনার ছেলে অসুস্থ মন খুবই খারাপ তবুও খুব সুন্দর ভাবে আপনার পোস্টে উপস্থাপনা করেছেন সত্যিই খুব ভালো লেগেছে আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।