Better Life With Steem || The Diary game || 19 January

in Incredible India9 months ago
Picsart_24-01-20_17-52-35-529.jpg

নতুন একটা ভোরের জন্য সৃষ্টি কর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করেছি। প্রতিনিয়তই আমাদের জীবন থেকে একটু একটু করে সময় চলে যাচ্ছে। বুঝতে পারছি না সময়টা কখন পার হয়ে যাচ্ছে। কতটুকু ভালো কাজ করতে পারছি। সেটাও বুঝতে পারি না। তারপরেও চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সকাল বেলা

IMG_20240119_175154_443.jpg

নামাজ পড়ে এসে কিছুক্ষণ নামাজের বিছানায় বসে ছিলাম। কিছুক্ষণ পর আর বসে থাকতে পারলাম না। প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে তাই উঠে গেলাম। উঠে গিয়ে নিজের ঘরে যাবতীয় কাজ কমপ্লিট করলাম। বাহিরে তাকিয়ে দেখি কুয়াশার কারণে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ঘরের কাজগুলো শেষ করে এসে একটু বসে ছিলাম। কুয়াশা দিয়ে কাজ করার কারণে মাথাটা অনেক ব্যথা করতেছে।

এরপর ছেলেরা উঠে গেলে তাদেরকে ফ্রেস হতে বললাম। আমি ওদের জন্য একটু হরলিক্স বানিয়ে নিয়েছি। আসলে ঠান্ডার সময় অন্য কোন নাস্তা দিতেও ভয় লাগে। চা ওরা খেতে চায় না আমার মতই। হরলিক্স দিয়ে কেক খাইয়ে ওদেরকে বললাম শুয়ে থাকার জন্য। আজকে বড় ছেলের প্রাইভেট নেই কেননা শুক্রবার।

IMG_20240119_175159_033.jpg

ছেলেদের জন্য হরলিক্স

ওরা দুই ভাই বসে বসে আমার মোবাইলের মধ্যে কার্টুন দেখছিল। আমি নিজে গিয়ে সংসারের বাকি কাজগুলো শেষ করে, রান্নাবান্নার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। বাসায় মেহমান নেই তাই কাজের পরিমাণটাও একেবারেই কম।

রান্নার সবকিছু গুছিয়ে নিয়েছি, এমন সময় আমার শাশুড়ি বলল ছোট ননদ আসবে। সেজন্য রান্না একটু বাড়িয়ে করতে হবে। যাক আবার সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্নাবান্নার কাজ শুরু করে দিলাম। এর মাঝে আমি সবজি বাগানে গিয়েছিলাম, পানি দেয়ার জন্য। গিয়ে দেখি গাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে করলা ধরে আছে।

IMG_20240119_175154_960.jpg

আসার সময় করলা নিয়ে আসলাম। আজকে করলা ভাজি করব, তার সাথে আরো কিছু রান্না রয়েছে, সেগুলো করব। রান্নাবান্না করতে করতে আমার প্রায় বারোটা বেজে গেল।

দুপুর বেলা

রান্না সব কিছু গুছিয়ে ঘরে নিয়ে আসলাম। আজকে যেহেতু জুম্মার নামাজ রয়েছে। তাই তাড়াতাড়ি ছেলেদেরকে গোসল করিয়ে মসজিদে পাঠিয়ে দিলাম।ওরা দুইজন মসজিদে চলে গেলে আমি গোসল করে এসে, নামাজের বিছানায় বসে কিছুক্ষণ জিকির করলাম। এরপর নামাজ পড়া শেষ করলাম।

নামাজ পড়া শেষ করতে করতে ওরা চলে এসেছে। উঠে আগে ওদেরকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম। ওরা তরকারি একেবারেই খেতে চায় না। তাই ওদের জন্য ডিম ভাজি করে নিলাম।

IMG_20240119_175154_336.jpg
IMG_20240119_175154_913.jpg

খাওয়া-দাওয়া শেষ হয়ে গেলে ওদেরকে বলেছিলাম ঘুমিয়ে পড়ার জন্য। কিন্তু ওরা ওদের ফুফাতো ভাইয়ের সাথে খেলাধুলা নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমি সবকিছু গুছিয়ে রেখে নিজের পোস্ট লিখতে শুরু করলাম।

পোস্ট লিখতে লিখতে আমার প্রায় দুই ঘন্টা পার হয়ে গেল। সেই সাথে আমি কিছু পোস্টে কমেন্ট করলাম। পোস্ট লেখা শেষ করে, পোস্ট করতে করতে আমার প্রায় আসরের আযান দিয়ে দিল।

রাত

সন্ধ্যার পরে ওদেরকে নামাজ পড়তে বলেছিলাম। ওরা নামাজ পড়ে এসে দুই ভাই পড়তে বসেছে। বড় ছেলে ইয়াসিন সূরা পড়ছে, আমি ওকে একটু একটু করে বলে দিচ্ছি। ওকে একটু করে বলে দিতে দিতে এমনিতেই নিজের মুখস্থ আছে, আরও একটু ক্লিয়ার হয়ে গেল। ও নিজেও কিছুটা লাইন মুখস্ত করে নিয়েছে।

IMG_20240119_175154_208.jpg

এশার আযান দিয়ে দিলে আগে নামাজ পড়ে নিয়েছি। তারপর ওদেরকে রাতের খাবার দিতে বলেছি। কিন্তু ওরা বলছে ঠান্ডা লাগছে রাতের খাবার খাবে না। তাই আমি ওদের জন্য একটু নুডুলস রান্না করেছিলাম। তার সাথে শ্বশুর মশায়ের জন্য রুটি তৈরি করে নিয়েছি।

IMG_20240119_175148_113.jpg

ওদেরকে নুডুলস দিয়ে আমি ঔষধ খেয়ে নিয়েছিলাম। কারণ মাথা প্রচন্ড ব্যথা করতেছে। আসলে ঠাণ্ডার মধ্যে আমি কাজ করতে পারি না। কুয়াশা মাথায় লাগলে মনে হয় মাথাটা ফেটে যাবে, এরকম অবস্থা। তারপরেও কুয়াশার মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।

সাড়ে আটটার দিকে ওরা দুই ভাই ঘুমিয়ে পড়েছে। আমি আমার ভেরিফিকেশন শুরু করেছি। ভেরিফিকেশন করতে করতে আমার প্রায় রাত সাড়ে দশটা বেজে গেল। সবকিছু একবার ঠিক আছে কিনা দেখে নিয়ে আমি আমার লিংক সাবমিট করে দিয়েছি। এবং কিছু পোস্টে কমেন্ট করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মাথা ব্যথার কারণে কিছুই করতে পারছিলাম না। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে বলতেও পারবো না।

আর এভাবেই আমার জীবন থেকে একটা দিন পার হয়ে গেল। কিছু করার ট্রাই করতেছি, বর্তমান অবস্থা পরিস্থিতি একেবারেই খারাপ। যেমন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চলছে ঠিক তেমনি আমাদের জীবনেও চলছে নানা ধরনের সমস্যা। জানি একদিন সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।আল্লাহ হাফেজ।

Sort:  
 9 months ago 

হাড় কাঁপানো শীতে ঘুম থেকে উঠে ফজর নামাজ আদায় করে তারপর যাবতীয় সংসারে কাজগুলো করে নিলেন। ছেলেরা চা খায়না তার জন্য হরলিক্স এবং কেক খাইয়ে দিলেন। আসলে আপনি অনেক দায়িত্ববান একটি মা এবং গৃহিণী হিসাবে অনেক পারফেক্ট। আপনার ছেলেদেরকে ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত গড়ে তুলছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।
থ্যাংক ইউ আপনার সারা দিনের দিনলিপি গুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করলেন।

 9 months ago 

আমি জানিনা আমার দায়িত্ব গুলো আমি সঠিকভাবে পালন করছি কিনা। তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Loading...
 9 months ago 

আপু আপনার সারাদিনের দিনলিপিটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। একজন মা হিসেবে এবং একদম গৃহিনী হিসেবে আপনি পারফেক্ট। আপনার ছেলেদের একদম ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা করছেন দেখে আরো ভালো লাগলো। আমি আপনাদের সবার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।

শীতের দিনের নিজের এবং পরিবারের অন্যদের যত্ন নেবেন সেই কামনা করি। সবাইকে সুরক্ষিত রাখবেন ভালো থাকবেন।

 9 months ago 

আপনার দিনলিপি পড়ে আমার বেশ ভালো লাগল। আপনি ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করেছেন। তারপর আপনি কিছু কাজ করে বসে ছিলেন। বাইরে কুয়াশা ছিল তাই আপনার বাড়ির কাজ করতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। আর আপনি ঠিকই বলেছেন যে, কুয়াশার মধ্যে কাজ করলে মাথা ব্যাথা করে। আর আপনি আপনার সবজি বাগান থেকে কিছু টাটকা সবজি নিয়ে এসেছেন। যাইহোক আপু আপনার দিনলিপি পড়ে আমার বেশ ভালো লাগল। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

আমাদের আজীবন চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে বাকিটা সৃষ্টিকর্তার হাতে। আপনি আর আপনার ছেলেরা চা খেতে চান না আর আমি চা না খেয়ে থাকতে পারি না। আমরা পরিশ্রম করছি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি চলছে কিন্তু STEEM এর Price আর বাড়ছে না। কি আর করা যাবে, সবকিছুর সাথেই মানিয়ে চলতে হবে।

Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server

Manually curated by @ abiga554
r2cornell_curation_banner.png

Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia

 9 months ago 

সকালে ঘুম থেকে ওঠে কাজ করাটা আসলেই কঠিন আর যদি সাথে মাথা ব্যাথা থাকে তাহলেতো কথাই নেই।
ছোট বাচচাদের কি খাবার দেয়া যায় এত ঠান্ডায় এটা ঠিক করা আসলেই ঝামেলার কাজ।
আমার দুই ছেলেতো এখন যথেষ্ট বড় তারপরও খাবার নিয়ে ঝামেলা করে।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে আসলে সবার জীবনই নাজেহাল। গ্রামের তুলনায় শহরে জীবন যাপনের ব্যায় অনেক বেশি।আমি চেষ্টা করি ঢাকার বাইরে গেলে বাজার করে আনতে যতটা সম্ভব।
আপনার দিনলিপি পড়ে জীবনের কঠিন চিত্র চোখের সামনেই ওঠে আসলো।
ভালো থাকবেন সবসময়।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 
  • আমি পূর্বেই জেনেছি আপনার সবজি বাগান রয়েছে। প্রতিনিধি আপনি সবজি বাগানের পরিচর্যা করেন। আপনার হাতে দেখতে পেলাম করোলা। নিজের গাছের করোলা অন্যরকম
    একটা ব্যাপার। এই শীতে গরম গরম হরলিক্স মন্দ হয় না। রাতের বেলা নুডুলস খাইয়ে ওষুধ খাইয়ে দিলেন ছেলেদের। মোটামুটি ব্যস্ততার মধ্যেই কাটলো আপনার দিন। ধন্যবাদ আপনাকে কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য।
 9 months ago 

আসলে নিজের সবজি বাগান থাকলে মেহমান আসলে ইচ্ছেমতো বাড়তি রান্না করা যায়। কিন্তু বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসলে যতটুকু কিনে নিয়ে আসা হয় ততটুকুই রান্না করা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

 9 months ago 
  • আসলেই নিজের সবজি বাগান থেকে সবজি রান্না করলে নিজের ইচ্ছা মতো রান্না করা যায়। হঠাৎ করে মেহমান আসলে সমস্যা হয় না ।যতটুকু সম্ভব তুলে নিয়ে আসা যায় যখন তখন। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
 9 months ago 

এই হাড়কাঁপানো শীত সকাল বেলা সংসারের কাজ গুলো গুছিয়ে করতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়।আর আপনি যেহেতু গ্রামে থাকেন সেখানে তো শহরের তুলনায় অনেক বেশি ঠান্ডা।
আপনার সবজি বাগানের করলা গুলো বেশ তার তাজা লাগছে দেখতে।
বাচ্চারা আসলে কোনো খেলার সাথী পেলে সহজে ঘুমাতে চায় না।
মাথা ব্যাথা করলে যে কোনো কাজ করতে অনেক কষ্ট হয়,তাই ভালো করেছেন যে ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 62404.06
ETH 2426.64
USDT 1.00
SBD 2.65