Better Life With Steem || The Diary game || 16 September 2024 ||
পরিস্থিতি আমাদেরকে অনেক কিছু শেখায়। পরিস্থিতি আমাদেরকে মানুষ চিনতে শেখায় যেখানে চারপাশে অনেক আপন মানুষ দেখতে পাই, কিন্তু মাঝে মাঝে চিন্তা করি কোনটা মুখ আর কোনটা মুখোশ এটাই বুঝতে পারি না। কেউ একটু হেসে উঠলেই বিশ্বাস করে ফেলি, আর মনে মনে ভাবি সে হয়তো বা আমাদের জন্য সবচাইতে উত্তম ব্যক্তি।
অনেকদিন পর আকাশে সূর্যের দেখা পেয়ে অনেক বেশি আনন্দ পেয়েছিলাম। আবার ছোট ছেলেও সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকটা হাসি খুশি ছিল। যখন শুনতে পেয়েছিল কালকে ওর ডাক্তার আসবে ওকে মুসলমানি করার জন্য। মোটামুটি সব কিছু নিয়েই ও অনেক হ্যাপি। কিন্তু ও তো আর জানে না ওর কত পরিমানে কষ্ট হবে। ওর কষ্ট হবে এটা ওকে বুঝতে দেইনি, অনেকটা হাসি খুশি রাখার চেষ্টা করেছি। অনেকদিন পর অসুস্থ থেকে সুস্থ হয়েছে। আমার ওড়না গায়ে নিয়ে মেয়ের সাজার চেষ্টা করছে, তখন ওর দুইটা ফটোগ্রাফি তুলে রেখেছিলাম।
এরপর সকাল বেলা নিজের ঘরে যাবতীয় কাজ শেষ করে চানাচুর মুড়ি মাখা খেয়ে নিয়েছিলাম। তারপর বড় ছেলেকে সকালবেলা ভাত খাইয়ে দিয়ে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিলাম। আমি নিজের রান্না বান্না নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। রান্না করতেই অনেকটা সময় কেটে গেল, আসলে বৃষ্টি হলেও সমস্যা আবার রোদ হলেও সমস্যা। রোদ হলে অতিরিক্ত গরম যেটা সহ্য করা যায় না। বৃষ্টি হলে অতিরিক্ত কাদা যার মধ্যে আমরা হাঁটতে পারি না। মাঝে মাঝে চিন্তা করি আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে নিয়ে, আমাদেরকে নিয়ে খুব বিপদে পড়েছে।
যাইহোক রান্নাবান্না শেষ করে ঘরে এসে, গোসল করে দুপুরে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম এবং ছেলেকে দুপুরের খাবার খাইয়ে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ও ঘুমাবে না ও শুনেছে আজকে আমি বাজারে যাব, কিছু কাপড়চোপড় কেনার জন্য। ওর জন্যই কিনব তাই আর না ঘুমিয়ে আমার সাথে যাওয়ার জন্য, একেবারে রেডি হয়ে বসে আছে।
কি আর করব রেখে যাওয়া যাবে না। তারপর আসরের নামাজ পড়ে আমরা দুজন মিলে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাজারে গেলাম সেখানে গিয়ে মোটামুটি ওর জন্য জামা কাপড় কিনে নিয়েছিলাম। তারপর আসার সময় চটপটি নিলাম। বাসায় এসে আমরা সবাই মিলে খুব মজা করে চটপটি খেয়েছিলাম। একটু পরেই মাগরিবের আজান দিল নামাজ পড়ে নিলাম।
নামাজ পড়ে বড় ছেলেকে কিছুক্ষণ পড়তে বসালাম। ছোট ছেলে অনেক খুশি কেননা কালকে ডাক্তার আসবে বার বার আমাকে জিজ্ঞেস করছিল। কখন আসবে কখন আসবে, তারপর ওর সাথে কিছুক্ষণ মজা করে ওকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম। এরপর ওদেরকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে আমি নিজে কিছু কাজ করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
পরিস্থিতি আমাদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন করে দেয়, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মানুষ চেনা যায়, বর্তমান সময়ে মানুষ চেনা বড় কঠিন, মন্দ মানুষগুলো দেখতে মানুষের মতই হয়, আপনার সারাদিন কার্যক্রম থেকে খুব ভালো লাগলো, অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একদমই ঠিক বলেছেন খারাপ মানুষগুলো দেখতে অনেকটা মানুষের মত হয়। কিন্তু তারা আমাদের সাথে এমন কিছু আচরণ করে, দিন শেষে হয়তো বা নিজেরা অনেকটা ঠকে গিয়ে তাদেরকে চিনতে পারি। তবে চিনতে অনেকটা সময় লেগে যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার পোস্টটি খুবই সুন্দর এবং হৃদয়স্পর্শী! সত্যিই, আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ থাকে, কিন্তু তাদের আসল রূপ চিনে ওঠা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। ছোট ছেলের হাসি এবং তার মুসলমানি উপলক্ষে আনন্দ সত্যিই মিষ্টি একটি মুহূর্ত। আর ছবি দেখে প্রথমে আমি মেয়েই ভেবেছিলাম। পোস্ট পরার পর বুজতে পারি আপনার ওড়না মাথায় দিয়ে মেয়ে সেজেছে। আপনার রান্নাবান্না, নামাজ এবং ছেলেদের সাথে সময় কাটানোর ঘটনাগুলো দারুণ লেগেছে। আপনার জীবনযাত্রার এই দৃষ্টান্তগুলি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই আমাদের জীবনের বড় সৌন্দর্য। আপনার পরিবারের জন্য সুখ এবং সুস্থতা কামনা করি!