Better Life With Steem || The Diary game || 11 December (ব্যস্তময় একটা দিন)

in Incredible India8 months ago
Picsart_23-12-12_11-30-43-877.jpg

আমরা মানুষ। সবকিছু মিলিয়ে আমাদেরকে চলতে হয়। কিন্তু ধৈর্য এমন একটা জিনিস, ধৈর্যের বাঁধ যখন ভেঙ্গে যায়। তখন মানুষ একেবারেই ভেঙে পড়ে। বেশ কয়েকদিন যাবত পারিবারিক সমস্যার কারণে নিজের কাছে মনে হচ্ছে। আমি নিজে ভেতর থেকে অনেকটা ভেঙ্গে গিয়েছে। তার উপরে ছেলের অসুস্থতার পরিমাণ যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। একদিন ভালো থাকলে তিন দিন খারাপ।ওর সাথে থাকতে থাকতে নিজের শরীরের অবস্থাও একেবারে খারাপ হয়ে পড়েছে। কিন্তু তারপরেও সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি, যেমন রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ।

প্রতিদিনের মতোই সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে নিলাম। চার পাশে কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না অন্ধকার। শীতের পরিমাণটা একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলে তা অনুধাবন করা যায়। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ নামাজের বিছানায় বসে রইলাম। কোন কিছুই ভালো লাগছে না মাঝে মাঝে চিন্তা করছি সৃষ্টিকর্তা হয়তোবা আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। তবে আলহামদুলিল্লাহ যাই হোক না কেন, সৃষ্টিকর্তার ইবাদত ছেড়ে দেয়া যাবে না।

IMG_20231211_112908_650.jpg
IMG_20231211_112908_669.jpg

ভেবেছিলাম একটু ঘুমিয়ে পড়বো, কিন্তু চোখে ঘুম নেই শুধু টেনশন, ছেলেটা কখনো ভালো হবে। তাকে আবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে, মায়ের সাথে চা বানানোর কাজে সাহায্য করলাম। এদিকে বড় ছেলের মাদ্রাসা খোলা তাকে নাস্তা বানিয়ে খাইয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম। আমি ছোট ছেলেকে একটু চা খাইয়ে নিলাম, নিজেও একটু চা খেয়ে ডাক্তারের সম্পূর্ণ রিপোর্ট গুলো রেডি করে নিলাম। কেননা একটু পরেই ওকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

IMG_20231211_112923_017.jpg
IMG_20231211_112922_829.jpg

দশটার সময় ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে রওনা দিলাম। ওখানে গিয়ে পৌঁছাতে প্রায় এগারোটা বেজে গেল। রাস্তায় গাড়ি পাওয়া যায় না, তার উপরে কুয়াশার কারণে গাড়ি ছাড়তে চায় না। যাক ডাক্তারের সিরিয়াল দিলাম, সিরিয়াল দেওয়ার পর কিছুক্ষণ বসে থাকার পর প্রায় 11:30 টার সময় ডাক্তার দেখালাম। ডাক্তার বলল সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে টেনশন এর কোন কারণ নেই। কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে কোন কিছুই ঠিক হচ্ছে না। কবে ঠিক হবে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই, ডাক্তার আবার ওষুধ পাল্টে দিয়েছে।

IMG_20231211_112923_248.jpg

সবগুলো ওষুধ কিনে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাড়ি পৌঁছাতেই প্রায় একটা বেজে গেল, বাড়ি পৌঁছে নিজে গোসল করে আগে নামাজ আদায় করে নিলাম। এরপর ছেলের হাতমুখ গরম পানি দিয়ে মুছে দিলাম। মা রান্না বান্না করে রেখেছে নামাজ পড়ে ভাত খেয়ে ছেলেকে ভাত খাইয়ে দিলাম। এবং ওর ঔষধ গুলো ওকে খাইয়ে দিলাম। ওষুধ খাওয়ানোর সাথে সাথে আবার বমি করে দিয়েছে। নিজের কাছেই খারাপ লাগছে। কেননা অনেক কষ্ট করে তাকে ভাত খাইয়ে ছিলাম। যাইহোক ওকে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম এবং ঘুম পাড়িয়ে দিলাম।

IMG_20231211_112915_928.jpg

ওকে ঘুম পাড়িয়ে আমি কিছু পোস্টে কমেন্ট করলাম। যেহেতু এটা আমার দায়িত্ব এবং কর্তব্য। আমাদের কমিউনিটিতে টুর্নামেন্ট চলছে তাই আমার কাজ আমাকে সঠিকভাবে করতেই হবে। এটা আমি বিশ্বাস করি, পোস্টে কমেন্ট করতে করতে আসরের নামাজের আজান দিয়ে দিল। আমি নামাজ পড়ে এসে দেখি ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেছে। এরপর ওকে চেষ্টা করেছিলাম হালকা পরিমাণ একটু চিড়া খাওয়ানোর জন্য।

IMG_20231211_112916_048.jpg

অবশেষে সফল হয়েছি, ওকে চিড়া খাইয়ে দিলাম আর একটা আপেল খাওয়ার পর, আমি ওষুধ খাওয়ালাম। এরপর ও আমাকে বলল আম্মু ঝাল কিছু খাবো। তখন আমি বললাম ঝালমুড়ি বানাই, এরপর ওর জন্য ঝালমুড়ি বানালাম, ও সামান্য পরিমাণ ঝাল মুড়ি খেয়েছে। একটু পরেই দেখি মাগরিবের আজান হয়ে গেছে। আমি নামাজ পড়ে এসে কিছুক্ষণ ওকে নিয়ে বসে রইলাম। কেননা ওর শরীরটা একেবারেই ভালো নেই।

IMG_20231212_112916_382.jpg

IMG_20231212_112916_669.jpg

এর কিছুক্ষণ পরেই আমি আমার ভেরিফিকেশন শুরু করেছি। বেশ কিছু পোস্ট ভেরিফাই করেছি এবং এশার নামাজ আদায় করে নিয়েছি। রাতের খাবার খেয়ে নিয়েছি প্রচন্ড ঠান্ডা লাগছিল। এরপরেও আরো কিছু পোস্টে কমেন্ট করতে করতে প্রায় আমার রাত ১১ টা বেজে গেল। এভাবেই আমার জীবন থেকে একটা দিন পার হয়ে গেল। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমার ধৈর্য বাড়িয়ে দেন। কেননা ধৈর্য ছাড়া আমি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো না। আমার সামনের পথ হয়তোবা আরও কঠিন হতে চলেছে। সবার সুস্থতা কামনা করে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

meraindia

কমিউনিটির জন্য ১০% বেনিফিশিয়ারি


png_20230827_214431_0000.png


The official accounts of the Incredible India community

Discord | Twitter | Telegram | Instagram


Htq.gif


20230831_233618_0000.png

Sort:  
Loading...
 8 months ago 

আপনার ছোট ছেলেটি অনেকদিন ধরে অসুস্থ এবং যতই ডাক্তার দেখাচ্ছেন সে সুস্থ হচ্ছে না। এটি নিয়ে আপনি অত্যন্ত দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন। মাঝে মাঝে আপনি হতাশ হয়ে যাচ্ছেন। তারপরও আপনার নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি আপনি অবিচল। এটি খুবই চমৎকার একটি ব্যাপার। আপনার ছেলেটির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যেন সে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। আপনিও খুশি মনে আপনার দিন পার করতে পারেন। আপনার লেখায় পড়লাম গ্রামে অনেক শীত পড়েছে। শহরে ও ভোরবেলায় বেশ ঠান্ডা ও কুয়াশা দেখা দিয়েছে। এ সময় বাচ্চাদের প্রতি বিশেষ যত্ন রাখবেন। সব মিলিয়ে আপনার প্রতিটি দিন ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

আপনার পোস্ট এর ভিতরের ফুলের ফটো গুলো অসাধারন ছিলো ‌।আর ছেলে মেয়ে অসুস্থ থাকলে বাবা মা ভালো থাকতে পারে না।আপনি আপনার মায়ের সাথে চা বানাতে সাহায্য করেছেন আর তা ছোট ছেলে কে খাইয়েছেন। আমাদের সাথে আপনার দিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ডাক্তার তো বলেই দিয়েছেন যে আপনার ছোট ছেলে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। অত চিন্তা করবেন না, আর নিজের শরীরের দিকেও খেয়াল রাখুন। ফুলগুলো খুব সুন্দর তবে এর নাম আমি জানি না। আপনার ছেলের অসুস্থতা সত্বেও আপনি যে স্টিমিটে এতটা সময় দিচ্ছেন এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 8 months ago (edited)

আমরা যতদিন এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকব ততোদিন সমস্যার মুখে আমাদের পড়তে হবে। সর্বপ্রথম সৃষ্টি কর্তার কাছে প্রার্থনা করি আপনার ছেলে যেন খুবই দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। এটা ঠিক যে একটি অসুস্থ মানুষের সাথে থাকতে থাকতে নিজের শরীরটাও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবু সব সময় সৃষ্টিকর্তার কাছে বলতে হবে যেমন আছি আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি তিনি আমাদের যেমন রেখেছেন খুবই ভালই রেখেছেন। এবং অসুস্থ যখন হয়েছে সুস্থ অবশ্যই একদিন হবে তাই চিন্তা করবেন না ভালো একটি ডাক্তার দেখান অবশ্যই ঠিক হয়ে যাবে।

 8 months ago 

আপু আপনার বাচ্চা তো মাশসাল্লাহ্‌ অনেক কিউট। এমন কিউট বাবুর মা আপনি, বলতে গেলে আপনি অনেক ভাগ্যবতী নারী। জীবনে রোগ বালাই বিপদ আপদ আসবেই তাই বলে নিরাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহ্‌ তা'লা রোগ বালাই দেন আবার তিনি এর প্রতিকার দেন। আর আপনার লিখা পড়ে ভালো লাগলো যে আপনি অনেক ধৈর্‍্য ধরেছেন এবং এখনো ধরে আছেন। একজন মাকে অবশ্যই ধৈর্য্যশীল হতে হয়। আপনার এবং আপনার বাবুর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো তারাতারি যেন আপনারা সুস্থ হয়ে ওঠেন।

আপনার প্রতিটিদিন শুভ হোক।

 8 months ago 

আপনি সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে ছেলেদের জন্য নাস্তা করে দেন তারপর ছেলেকে মাদ্রাসা পাঠিয়ে দিলেন ৷ তারপর সকাল দশ টার দিকে ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে চলে যান তারপর ডাক্তার দেখিয়ে মেডিসিন নিয়ে বাড়ি চলে আসেন ৷ আপনার ছেলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি সৃষ্টিকর্তার কাছে দেখবেন খুব তারাতারি সুস্থ হয়ে যাবে ৷

ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷ 🌺

আপনি প্রতিদিনের কাজ গুলো সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভাল লাগল।আসলে আমি মনে করি ছেলেদের থেকে মেয়েরা অনেক বেশি কষ্ট করে। রান্না করা ছেলে মেয়েদের লালন পালন করা এরপর পুরো সংসারের তদারকি করা সত্যিই কঠিন কাজ। আপনি আপনার সংসারের পুরো দায়িত্ব সুন্দর ভাবে পরিচালনা করেছেন। এটা অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয়।

আপনার প্রতি শুভকামনা রইল এবং অনেক ধন্যবাদ।

 8 months ago 

আপনার পারিবারিক সমস্যা দ্রুত সমাধান হোক এই দোয়া করি।সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দৈনন্দিন এর কাজ করা শুরু করেছেন। এখন সকালে বেশ বেলা করে সূর্যের দেখা মেলে কারন কুয়াশার কারনে এ অবস্থা। আপনার ছেলে এখনো সুস্থ হয় নি তা শুনে অনেক খারাপ লাগলো তাড়াতাড়ি তার সুস্থতা কামনা করছি। আপনার দিন ভালো কাটুক আপনার সব দুঃখ সুখে রূপান্তরিত হোক সবকিছু ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হোক এই দোয়া করি ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59453.81
ETH 2607.50
USDT 1.00
SBD 2.39