"Better Life With Steem || The Diary game || 02 March (ব্যস্তময় একটা দিন)"
আযানের শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে গেল, তাড়াতাড়ি উঠে গিয়ে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম, বাহিরে এখনো অন্ধকার। তবে আমার অনেক কাজ আছে, কেননা আজকে বড় ননদের বাড়িতে ভাত রান্না করে নিয়ে যাব। উনার হাসবেন্ড বাহির থেকে এসেছে। আমাদের বাড়িতে এসে অবশ্য একদিন থেকে গিয়েছেন, কিন্তু আমার শাশুড়ির মন ভরেনি, আজকে জামাই এর জন্য ভাত রান্না করে নিয়ে যাবে। তাই সকাল থেকেই রান্নাবান্নার কাজ শুরু করতে হবে।
প্রথমত আমি ঘরের কাজ গুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। এরপর রান্নাবান্নার কাজ এক এক করে শুরু করেছি, সবাই উঠে নাস্তা খেয়ে আমাকে একটু সাহায্য করেছিল। আমার শাশুড়ি অনেক বেশি সাহায্য করেছে, রান্নাবান্না শেষ করতে আমার প্রায় দশটা বেজে গেল, এর মাঝে মনে পড়লো সবজি বাগানে যেতে হবে।
কিন্তু আমার শ্বশুরমশাই বলল উনি আজকে গিয়েছে এবং পানি দিয়ে এসেছে, আমাকে আর যেতে হবে না। যাক একটা কাজ করা থেকে বেঁচে গেলাম, এই জন্য কিছুক্ষণ নিজে মনে মনে হাসলাম। আবার চিন্তা করলাম, হেসে কাজ নেই, এখনো আমার অনেক কাজ আছে।
রান্নাবান্না শেষ করে সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে আসলাম ঘরে, এরপর এক এক করে টিফিন বক্সের মধ্যে খাবার গুলো ভর্তি করলাম। টিফিন বক্স গুলো রেডি করে আমি টেবিলের উপর রেখে দিলাম, এরপর নিজে গিয়ে গোসল করে নিলাম।
সবাই আমার আগেই গোসল করে রেডি হয়ে গেছে। আমি ছেলেদেরকে রেডি করে নিজে রেডি হলাম, এরপর গাড়ি খবর দিলাম গাড়ি আসার পর এক এক করে সবাই ঘর থেকে বের হয়ে, গাড়িতে উঠে বড় ননদের বাড়িতে রওনা করলাম।
ওখানে পৌঁছাতে আমাদের প্রায় ৩০ মিনিট সময় লেগেছে। ওখানে গিয়ে সবার সাথে কুশল বিনিময় করলাম, এরপর আমি আমার পোস্ট লিখেছিলাম অর্ধেকটা, বাকি অর্ধেক ওখানে গিয়ে সম্পূর্ণ করলাম, কিন্তু পোস্ট করার মত সময় পাইনি।
কালকে কোনরকম কমেন্টও করতে পারিনি, বিভিন্ন কাজে এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যেটা বলে বোঝাতে পারবো না। নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছি এবং ছেলেদেরকে খাবার দিয়েছি। ওরা বসে খাবার খেয়ে নিয়েছি টিভি দেখতে দেখতে।
খাবার খাওয়া হয়ে গেলে আমি দুইটা পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, এরপর আবার বড় ননদ বলছিল চিকেন তৈরি করার জন্য, আমি আবার ওনাকে সাহায্য করেছিলাম চিকেন তৈরি করতে। এরপর সবাই মিলে মজা করে সস দিয়ে চিকেন খেয়েছিলাম। যেটা খেতে অনেক বেশি মজা লেগেছে।
সবার সাথে গল্প মজা করতে করতে আসরের আযান দিয়ে দিল। তাড়াতাড়ি করে নামাজ পড়ে, রেডি হয়ে নিয়েছি রাস্তায় বের হয়ে গাড়ি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে আসতে আসতে মাগরিবের আযান দিয়ে দিল।
বাড়িতে এসে তাড়াতাড়ি করে ওযু করে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। এরপর ছেলেকে পড়তে বসলাম, ওকে কিছুক্ষণ পড়ানোর পর আমি ওকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়েছি। আজকে ওকে ওষুধ একটু তাড়াতাড়ি খাওয়াতে হবে, পায়ের অবস্থা একেবারেই খারাপ। একটু হাঁটাহাঁটি করেছে, তার জন্য পা ব্যথা করা শুরু করে দিয়েছে।
ওরা ঘুমিয়ে গেলে আমি ভেরিফিকেশন শুরু করেছি। সার্ভারের সমস্যার কারণে পোস্ট দেখতে অনেক বেশি সমস্যা হচ্ছিল। তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ সঠিকভাবে ভেরিফিকেশন করে, আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে একটা দিন পার হয়ে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
নোয়াখালী অঞ্চলের এটি একটি রীতি যে মেয়ের বাড়িতে প্রচুর খাওয়া দাওয়া পাঠাতে হয়। যতই নিজের বাড়িতে এনে আপ্যায়ন করুক সেটা কম মনে হয়। আপনার পরিবারেও ঠিক এমনটি হয়েছে। এটার জন্য আপনার উপর দিয়ে প্রচণ্ড ধকল গিয়েছে। তারপরেও সবকিছুই সামলে নিয়েছেন। আপনার প্রতিদিন ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
আপনার প্রতিটি পোস্ট পড়লেই বোঝা যায় যে, পরিবারের প্রতি দায়িত্ব জ্ঞান সম্পর্কে আপনি কতটা সচেতন। আপনি সারাদিনই পরিবারের সকলের দায়িত্ব পালন করতে ব্যস্ত সময় পার করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আপনি আজও আপনি সকালে উঠে রান্নার কাজ শুরু করেছিলেন।
আপু, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।।
সারাটাদিন বেশ ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে আপনার, সেই সকালে ঘুম থেকে উঠেছেন।।। আজ আপনার ননদের বাড়িতে রান্না বান্না করে নিয়ে গিয়েছিলেন কারণ তার হাজবেন্ড এসেছে বাহির থেকে।।
আর এজন্য আপনার শাশুড়ি আম্মা আজ আপনাকে রান্না সাহায্য করেছে,, এরপরে সমস্ত কিছু গুছিয়ে রেখে ননদের বাড়িতে গেলেন এবং বিকালে আবার ফিরেও আসলেন।। ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে।
আজ ননদের বাসায় খাবার নিয়ে যাবেন জন্যই সকাল থেকে অনেক বেশি কাজ করেছেন।। আর পোস্টে দেখতেই পারছি বেশ কিছু আইটেম রান্না করেছে।। অবশেষে চলে যান ননদের বাসায় এবং খাওয়া-দাওয়ার থেকে শুরু করে সবাই মিলে অনেক আনন্দ করে।।
ভালো লাগলো আপনার একটি দিনের কার্যক্রম পড়ে।।