বন্ধু কাফির শুভ বিবাহ সম্পন্ন 🤞😍
নমস্কার,,
কাফি আমার স্কুল কলেজ লাইফের বন্ধু। আমাদের সকল শয়তানি সব একসাথেই হয়েছে বলা যায়। বর্তমানে ফ্রান্সে পি এইচ ডি করছে। কিছুদিন হলো দেশে এসেছে। আর যেদিন এসেছে পরদিনই আমার সাথে দেখা করেছে। এটা এক অন্য রকম ভালো লাগা। এবার প্রায় তিন বছর পর দেশে এসেছে। মাঝে মধ্যেই আড্ডা হচ্ছে আমাদের। তো আমি দুইদিন বাড়ি ছিলাম না। বোনের বাড়ি গিয়েছিলাম। হঠাৎ করেই কাফি ফোন করে জানালো যে ওর বিয়ে ঠিক করেছে। একদিন পরেই বিয়ে। তিন দিনের মধ্যে খুব দ্রুত সব আয়োজন করেছে পারিবারিক ভাবেই। আর আমাকে তো যেতেই হবে বন্ধুর বিয়েতে। না বলার কোন অপশন নেই এখানে একদম। আর মজার ব্যাপার হলো আমাদের এক স্কুল ফ্রেন্ডের সাথেই বিয়ে ঠিক হয়েছে। সত্যি বলতে শুনে খুবই ভালো লাগলো।
আমি এর আগে কখনো কোন মুসলিম বিয়ে দেখি নি এত কাছে থেকে। তাই আমার ভেতরে বেশ একটা কৌতূহল ছিল বিয়ে নিয়ে। আর সবটা ভালো ভাবে দেখার খুবই ইচ্ছে ছিল তাই। আমি আর আমার বন্ধু বিজয় দুজন একসাথে দুপুরের দিকে রওনা দিলাম। সব থেকে ভালো লাগছিল এটা ভেবে যে স্কুল লাইফের আরো কিছু বন্ধু বিয়েতে আসবে। অনেকদিন পর সবার সাথে দেখা হবে, কথা হবে। যাই হোক, বর আসার আগেই আমি আর বিজয় মেয়ের বাড়ি গিয়ে হাজির হই। তারপর দেখলাম সেখানে আরো কিছু বন্ধু বান্ধবী এসেছে। তারপর সবাইকে নিয়ে বেশ একটা আড্ডা শুরু হয়ে গেল। কত সব দুষ্টুমির গল্প। হাসতে হাসতে অবস্থা একদম টাইট।
তারপর একটা সময় কাফি এসে হাজির গাড়ি নিয়ে। আমরা বন্ধুরা সাথে সাথে গেটের সামনে দাড়িয়ে গেলাম। আমরা তখন মেয়ে পক্ষ, হিহিহিহি,,, বললাম আগে টাকা দে বেশি করে, তারপর বরপক্ষ। কাফি বেচারা মারাত্মক বিপদে পড়ে গিয়েছিল আমাদের কাণ্ডে। বেশ ভালো রকম টাকা খসিয়েছিলাম। বেচারা জামাই বলে, দাওয়াত দিয়ে আমি শত্রু ভাড়া করে নিয়ে এসেছি 🤪🤪🤪।
যাই হোক তারপর তো একসাথে সবাই বসে আবার আড্ডা দিতে শুরু করলাম। কাজী সাহেব আসলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আমি আর বন্ধু বিজয় একদম কাজীর পাশে গিয়ে দাড়িয়ে গেলাম। হিহিহিহি। বেশ মন দিয়ে সব খেয়াল করছিলাম। মজার ব্যাপার সবার প্রথমে মেয়ের কাছ থেকে কবুল নিয়ে আসতে হয়। এটা একদম জানা ছিল না আমার। তারপর তো কাফি কবুল বললো এবং সব শেষে মোনাজাত ধরে দোয়া করলো সবাই। আমরা যেহেতু স্কুল লাইফের ফ্রেন্ড ছিলাম সবাই। তাই প্রতি পদে পদে ফাজলামি চলছিল ওখানে। যেহেতু খুব ছোট পরিসরে বিয়ের আয়োজন ছিল, তাই আমরা বন্ধুরাই পুরো বাড়ি মাতিয়ে রেখেছিলাম বলা যায়।
প্রথম বার এমন বিয়ের একদম শুরু থেকে শেষ অবধি দেখলাম। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে পুরো অভিজ্ঞতাটা। এক এক ধর্মের এক এক রীতিনীতি। খুব মজার ব্যাপার গুলো। যাই হোক, কাফি বউ নিয়ে ওর গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা দেয়। আর আমরা বন্ধুরা সবাই সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিয়ে দেই।
এতো বিয়ে নিয়ে আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেন। কিন্তু আপনার বিয়ে নিয়ে কখন শেয়ার করবেন সেই ভাবনায় আছি। যাক অবশেষে বন্ধুর বিয়ে খাওয়া দাওয়া করে সম্পন্ন করলেন এটাই হল। তবে পেট ভরতি খেলেন তো? পেট শান্তি তো দুনিয়ায় শান্তি হা হা হা। আপনি তো দেখছি বন্ধু কাফির বিয়ে খুব সুন্দর ভাবে এনজয় করলেন। আপনার বন্ধু বিজয় এবং আপনি মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি সময় কাটালেন।
হ্যাঁ আপু খাওয়া দাওয়াও বেশ ভালো হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
যাইহোক আপনার মুসলিমদের বিয়ে দেখার একটা ইচ্ছা পূরণ হলো বন্ধুর মাধ্যমে, আমারও হিন্দুদের বিয়ে দেখার খুব ইচ্ছে কিন্তু আমার বন্ধুরা বিয়ে করছে না 😬😬 হাহাহা। গেটের সামনে গিয়ে যে কনেপক্ষ হয়ে গেলেন এটা বোধহয় বন্ধুর জন্য একটু কষ্টকর হয়ে গেছে, কারণ সাধারণত এই সময় ছেলে পক্ষের বন্ধুরা টাকা কমানোর জন্য বিভিন্ন কায়দা কৌশল বের করে।
ভাইয়া বেশ ভালোই তো বন্ধুর বিয়ে খাচ্ছেন সঙ্গে সঙ্গে নিজেও একটা করে নেন ।তবে একটা বিষয় বেশ মজার লেগেছে কন্যা পক্ষের সেজে আপনারা গেটে দাঁড়িয়েছেন এবং বন্ধুর কাছ থেকে টাকা আদায় করেছেন ।সত্যি বেশ মজার ছিল ।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে স্কুল লাইফের বন্ধু গুলো একসাথে হলে মনে হয় আবার যেন সেই ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছি। তাই এত দুষ্টুমি করে ফেলি। হিহিহিহি। অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনাদের দাওয়াত করে না নিয়ে গেলে তো আপনার বন্ধুর এত টাকা দিতে হতো না। সে তো ঠিকই বলেছে এমন বন্ধু হয় নাকি কারো। যাই হোক বেশ মজা করেছেন বোঝা যাচ্ছে। বিয়ে বাড়িতে কনে পক্ষ হওয়ার আনন্দ হলো গেটে দাঁড়িয়ে বরপক্ষের কাছ থেকে টাকা আদায় করা। আনন্দটা বেশ ভালোভাবে উপভোগ করেছেন। বন্ধুর বিয়ে খাওয়ার পোস্ট করলেই হবে? আপনার বিয়ের পোস্ট কবে দেখব ভাইয়া?
হাহাহাহাহা,,, আমার মত অগোছালো ছেলেকে কে বিয়ে করবে আপু? 😅। জেনেশুনে তো আর কেউ নিজের জীবন নষ্ট করতে আসবে না। এসব ভাবনা তাই একদম বাদ দিয়েছি আপু। দোয়া করবেন আমার জন্য 🙏।