রাস্তা গিয়ে ঠেকলো সোজা মেলাতে 😊
নমস্কার,,
কয়েকদিন আগের কথা। বগুড়াতে দিদির বাসায় গিয়েছিলাম তখন। সন্ধ্যার পর একটু হাঁটাহাঁটি করার জন্য বেরিয়েছিলাম। হঠাৎ করেই কোথায় থেকে যেন কানে গান বাজনার শব্দ ভেসে আসছিল। নিশ্চয়ই কোন না কোন অনুষ্ঠান হচ্ছে। কৌতূহল বসতই এগিয়ে গেলাম শব্দ শুনে। গিয়ে দেখলাম সেখানে মেলা হচ্ছে। আমি তো রীতিমতো অবাক। কারণ অনেকদিন হলো মেলা চোখে পড়ে না। এখনকার মেলাগুলো অবশ্য আগের মত জাঁকজমকপূর্ণ হয় না। কোথায় যেন একটা কমতি থেকে যায় সব সময়।
চোখের সামনে মেলা হচ্ছে আর ভেতরে ঢুকবো না, সেটা তো হতে পারে না। ভেতরে ঢুকে চারপাশটা ঘুরতে লাগলাম। খুব বেশি ভিড় না হলেও মোটামুটি বেশ ভালই লোকজন ছিল। নাগরদোলা তে ছেলেমেয়েদের চিৎকার একদম ছোটবেলায় ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। সব থেকে বেশি অবাক লেগেছে যেটা , আচারের দোকানের সামনে একটাও মানুষজন ছিল না। অথচ যে কোন জায়গায় মেলাতে অন্য কোন দোকানের সামনে ভিড় না হলেও আচারের দোকানের সামনে ভিড় থাকবেই থাকবে। যাই হোক আমার কাজ ঘুরে দেখা, আমি সব দিকেই ঘোরাফেরা করতে শুরু করলাম।
একটা মঞ্চ বানানো হয়েছিল। ছোট বাচ্চারা বিভিন্ন ধরনের সংগীত পরিবেশন করে সবাইকে আনন্দ দিচ্ছিল। মিনিট দশকের মত চুপচাপ আমিও শুনলাম গান বাজনা। তারপর আবার এদিক সেদিক ঘুরতে লাগলাম। একটা জিনিস কিছুতেই আমার মাথায় আসে না সেটা হল মেলাতে সবসময় মেয়েদের ব্যবহার করা জিনিসই বেশি আসে কেন? ছেলেরা কি কোন জিনিসপত্র ব্যবহার করে না কখনো! নাকি দামে একটু সস্তা বলে সবাই চুরি ফিতা লিপস্টিক মাথার ব্যান্ড এগুলোই কিনে 😉!হিহিহিহি।
একটা দোকানের সামনে গিয়ে আমি আটকে গেলাম একদম। খুব সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের সব শোপিস সেখানে রাখা ছিল। আর সেখানকার বেশিরভাগ জিনিসই কাঠের তৈরি। আমি বেশ খানিকক্ষণ ধরে এটা সেটা নাড়াচাড়া করতে লাগলাম। আর একবার যখন হাত দিয়েছি কোন জিনিস নেব না, এমনটা তো হতে পারে না। যদিও পড়াশোনা উঠেই গেছে আমার জীবন থেকে। তবুও একটা কলমদানি নিয়ে বসলাম শখের বসে। আসলে দেখতে খুব ভালো লাগছিল কলমদানিটা।
সেদিন আবার আরেক কান্ড ঘটেছে, মানিব্যাগটা নিয়ে বের হইনি। আসলে আমি তো শুধু এমনি হাঁটার জন্য বের হয়েছিলাম সন্ধ্যা বেলায়। এরকম একটা মেলার দর্শন পেয়ে যাব এটা তো ভাবতেও পারেনি। টাকা টা বিকাশ দিয়ে পে করেছিলাম তাই। খানিক পরে দেখি এটা সেটা আরো অনেক জিনিস নিতে ইচ্ছে করছে। মনে মনে ভাবছি এটাতো কোনো ভালো লক্ষণ নয় আমার জন্য। হিহিহিহি। যত তাড়াতাড়ি এখান থেকে বের হব ততই আমার জন্য মঙ্গল। তারপর আর কি! ভদ্র লক্ষী ছেলের মত মাথা নিচু করে সুড়সুর করে বেরিয়ে গেলাম মেলা থেকে 😅।
বেশ সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। মেলায় যেয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। সেই ছেলেবেলায় কখন যে মেলায় গিয়েছিলাম মনেই নেই। ভাগ্য ভালো যে মানিব্যাগ বাসায় রেখে গিয়েছিলেন। তা না হলে তো মেলার সব জিনিসই একে একে কিনা হয়ে যেত।
হাহাহাহা,, একদম ঠিক বলেছেন আপু। এক দিক থেকে বেঁচে গেছি। অনেক ধন্যবাদ আপু 😊
খুব ভালো লাগলো ভাইয়া পড়ে। দিদির বাসায় গিয়ে ঘুরতে বের হয়ে মেলা পরে গেলো সামনে। মেলা হোক বা অন্য কিছু সামনে পরে গেলে না গিয়ে আর পারা যায় না।মন ও মানে না।কিন্তু গিয়ে তো আবার অনেক কিছুই পছন্দ হয়ে যায়। কিনব কিভাবে?? মানিব্যাগ তো ভুলে বাসায় ফেলে এলেন।যাই হোক জিনিসগুলো সত্যিই খুব সুন্দর। মেলায় বেশি মেয়েরাই যায়,তাই তারাই জিনিস বেশি কেনে।আবার ছেলেরা গেলেও তার বোন বা জিএফের জন্যই কিছু কেনাকাটা করে।আর এজন্য ই মেয়েদের জিনিসই বেশির ভাগ মেলাতে দেখা যায়। বুঝতে পেরেছেন?? সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
কষ্ট টা তো ওখানেই আপু। ছেলেরা প্রেমিকা বা বোনদের জন্য সব সময় কিছু না কিছু কিনে। কিন্তু মেয়েদের কখনোই প্রেমিক বা ভাইয়ের জন্য কিছু কেনার ইচ্ছে থাকে না। হিহিহিহি।
বাহ ভাই মেলাতে তো দেখি চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে মেলাতে যাওয়ার অনুভূতিতে সত্যি খুব অন্যরকম। মেলাতে তো দেখছি অনেক কিছু উঠেছে। সুন্দরভাবে গান উপভোগ করেছেন ভালো লাগলো। শোপিস গুলো সত্যি বেশ অসাধারণ । ধন্যবাদ আপনাকে এতো চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। ভালো থাকবেন সবসময়।
এখন আর কেউ আচার খায় না মনে হয়। আমাদের এখানেও রথের মেলায় দেখি যে আচারের দোকানের সামনে কোন লোক থাকে না।
আচ্ছা আমি আপনার কনফিউশন ক্লিয়ার করে দিচ্ছি। আসলে মেলাতে তো মেয়েরা যায় কেনাকাটা করার জন্য, তবে ছেলেরা যায় মেয়েদের দেখার জন্য, কেনাকাটা করতে তারা যায় না। এজন্য দোকানদাররা বুঝে শুনেই ছেলেদের কোন জিনিসপত্র রাখে না।😂
আপনার কমেন্টটা পড়ে যেন হাসি পেলাম 🤗🤗
হাহাহাহা,, হাসব না কাঁদব ভাই 🤪। অনেক গভীর আপনার অনুধাবন ক্ষমতা সত্যিই।
অসাধারণ একটি পোস্ট আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই সুন্দর পোস্ট দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। খুব সুন্দর ভাবে মেলা থেকে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করে এনেছেন এবং সেই সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো উপস্থিত বর্ণনা সাথে তুলে ধরেছেন দেখে খুশি হলাম।
খুব ভালো লাগলো এত সুন্দর একটা মন্তব্য পেয়ে ভাই। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়।