মাসতুতো বোনের বিয়েতে যাত্রা
নমস্কার,,
ইচ্ছে ছিল সকাল দশ টার মধ্যেই রওনা দিয়ে দেব মাসির বাড়ির দিকে। কারণ মাসতুতো ছোট বোনের বিয়ে। এমনিতেই একদিন দেরি করে ফেলেছি। ওদিকে মাসি আর ছোট বোন মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। আর এদিকে আমার সকাল দশটা যেন দুপুর বারোটা না বাজে সেজন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেও আমি বরাবরের মতোই ব্যর্থ হয়ে গেলাম। বেশ লেট করে ফেললাম। আসলে শীতের দিনে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে বের হতে হতে কিভাবে যে লেট হয়ে যায় এটা বোঝাই যায় না। কি আর করার দুগ্গা দুগ্গা করে বেরিয়ে গেলাম।
মাসির বাড়ি গোবিন্দগঞ্জ। আমাদের শেরপুর থেকে ডাইরেক্ট বাস পেতে একটু অসুবিধা হলেও মোটামুটি পাওয়া যায়। ভাড়া টা একটু বেশি নেয় এই যা। আর দুইবার বাস পাল্টানোর ঝামেলা আমার একদম ভালো লাগে না। তো বাস স্ট্যান্ডে এসে দেখি রংপুর রোডের গাড়িগুলো খুবই কম। পরে জানতে পারলাম রংপুর বিভাগে নাকি গাড়ি ঢুকতে দিচ্ছে না। কি যেন একটা ঝামেলা হয়েছে। আমার তো মাথায় হাত। তারপরও দেখতে থাকলাম গাড়ি পাওয়া যায় কিনা। মোটামুটি চল্লিশ মিনিট পর একটা ঢাকার গাড়ি পেলাম যেটা পঞ্চগড় যাবে। কিন্তু গাড়িটা লোকাল একদম। আমার তো দেখে পছন্দই হলো না। কিন্তু উপায় তো আর নেই হাতে। চিন্তা করলাম উঠে পড়ি, না হলে পরে বাস না পেলে আরেক ঝামেলায় পরতে হবে।
লোকাল বাস গুলো খুবই বিরক্তিকর লাগে আমার কাছে। এরা এমন ভাবে যাত্রী নেয় মনে হয় সুযোগ পেলে যেন বাড়ি থেকেও ডেকে নিয়ে আসবে। আসলে ওখানে বলার কিছুই নেই। সব জেনে বুঝেই তো বাসে ওঠা। হাহাহাহা। আমিও এই সময়টা কে একটু কাজে লাগানোর চেষ্টা করলাম। পোস্ট কিছুটা লিখে এগিয়ে রাখলাম। আর তার সাথে কিছু কমেন্টস ও। আসলে এই সপ্তাহে বিয়ের জন্য তো খুব একটা অ্যাক্টিভ থাকা হবে না একদমই। তারপরও যেটুকু পারা যায় চেষ্টা করলাম।
যাই হোক আমার বাস টা একটু তো লেট করেছিলোই, আবার জ্যাম ছিল কিছুটা। তাই সময় টা আরো বেশি লেগে যায়। অবশেষে দুপুরের পর আমি আমার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলাম। বাকি কথা পরে হবে। আপাতত বাড়ির কাজে হাত লাগাতে হবে। হিহিহিহি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
লোকাল বাসে উঠতে চান নি কিন্তু কপালে তো ওই লোকাল বাসই ছিলো। ঠিক বলেছেন লোকাল বাস ওয়ালাদের যদি বলা হয় একজন আসছে তাহলে তারা না আসা অব্দি অপেক্ষা করবে। আমার ও একদম ভালো লাগে না এই বাস। তাছাড়া আমার তেমন একটা উঠা পরেও না। যাক সুস্থ মত পৌঁছেছেন তাই অনেক।
ঐ যে আপু, কপালের লিখন, না যায় খন্ডন। তবে ঐ দিন রংপুর বিভাগে অবরোধের মাঝেও গাড়ি পেয়েছিলাম এটাই বড় কথা। অনেক ধন্যবাদ আপু।