অবশেষে বৈশাখের প্রথম বৃষ্টির দেখা পাওয়া গেল
নমস্কার,,
বিকাল তখন সাড়ে পাঁচটা বাজবে হয়তো। মা সবে দুপুরের খাবার খেতে বসেছে। আর আমি এক মনে কম্পিউটার চালাচ্ছি। হঠাৎ করেই পাশের রুম থেকে দেখি মা চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিয়েছে। আমার নাম ধরে ডেকে বলছে তাড়াতাড়ি ছাদে যাও। কাপড় গুলো তুলে নিয়ে আসো। ঝড় উঠে এলো। আমি রীতিমতো থমকে গেলাম। পরে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলাম সত্যিই ভীষণ মেঘ করেছে এবং ঝড়ো বাতাস উঠেছে। দৌড়ে চলে গেলাম ছাদে। কাপড়গুলো তুলে সিঁড়ির ঘরে রেখে দিলাম। তবে এতদিন পর এমন প্রশান্তির ঝড়ো বাতাস উঠেছে এটা ফেলে কি নিচে যাওয়া যায়!! আবার উঠে দাঁড়িয়ে গেলাম ছাদে। হঠাৎ কই থেকে এত মেঘ হয়ে বাতাস আসতে শুরু করল আমি নিজেও বুঝতে পারলাম না। মুহূর্তেই যেন চারপাশ বদলে গেল।
তবে বাতাসের সাথে ভীষণ পরিমাণে ধুলো ছিল। বলা যায় ধুলো ঝড় হচ্ছিল একরকম। বৃষ্টি তখনও নামেনি। কিন্তু তীব্র বাতাসে আশেপাশের বাড়ির আমের গাছ থেকে ছোট ছোট আমগুলো ধুমধাম করে পড়ে যাচ্ছিল। এই জিনিসটা দেখে অবশ্য আমার নিজের বেশ আফসোস হচ্ছিল। খানিকক্ষণ এর মাঝেই তীব্র বজ্রপাত শুরু। আমার ইচ্ছে বৃষ্টিতে ভিজবো আমি। এ বছরের প্রথম বৃষ্টি। নিচে থেকে মা ডাকাডাকি শুরু করে দিয়েছে। বৃষ্টিতে ভেজা যাবে না কারণ নতুন মেঘ ডাকছে। হঠাৎ কোন একটা অঘটন ঘটে যেতে পারে। আসলে আমাদের একটা আত্মীয় বেশ কিছু বছর আগে এরকম বজ্রপাতে মারা গিয়েছিল। তারপর থেকে মনে ভয়টা একটু বেশি।
যেভাবে বাতাস হচ্ছিল এবং মেঘ ডাকছিল ভাবলাম ভীষণ বৃষ্টি হবে হয়তো। কিন্তু সেটা আর হলো না। কথায় আছে যত গর্জে তত নাকি বর্ষে না। আমাদের এখানেও সেটাই হলো। খুব ধীরে ধীরে বৃষ্টি শুরু হল। কিছুটা সময় একটু জোরে নেমেছিল বটে তবে সেরকমও না। তখন একদম ঘোর সন্ধ্যা হয়ে গেছে চারপাশে অন্ধকার। তাই বৃষ্টির কোন ছবি আর তোলা হয়নি। শুধু ঘরে এসে জানালার পাশে বসে পাশের বাড়ির টিনের উপরে বৃষ্টির ঝিরিঝিরি শব্দটাকে আপন মনে অনুভব করলাম। কিছুটা সময়ের জন্য স্থির হয়েছিলাম সবকিছু থেকেই।
মোটামুটি ঈদের দিন থেকে বেশ ঠান্ডা ছিল আবহাওয়াটা। তীব্র গরম এবং তাপদাহ ছিল না একদমই। কিন্তু বৃষ্টিটা ছিল না। আজ বৃষ্টি হয়ে বৈশাখের আগমনী পূর্ণতা দিয়ে গেল। প্রকৃতি আবার যেন সজীব হয়ে উঠল।
বৃষ্টি হয়ে সব শীতল করে দিল।ঠিক বলেছেন আজকাল এতো বেশি বজ্রপাত হয় রীতিমতো ভয় লাগে। আগে এমন হতো না।আর এখন প্রায়ই বজ্রপাতে মানুষ মারা যাওয়ার খবর টিভিতে শুনতে পাই।ঈদের আগের দিন বিকেলে আমাদের ঢাকায় ও হালকা বৃষ্টি হয়েছিল। সেই থেকেই পরিবেশ শীতল। সুন্দর অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
কত দিন যে এমন শীতল থাকবে এটাই দেখার এখন আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঝড়ের আগে চারদিকে হওয়া অন্ধকার টা আমার দারুন লাগে। এমন একটা ঝড়ের অপেক্ষা করছি,কিন্তু আমাদের এদিকে হচ্ছেই না। আর কাকিমা ঠিকই বলেছেন। বজ্রপাতের ফলে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধন্যবাদ দাদা আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
এই অন্ধকার আবহাওয়া আমারও দারুন লাগে। কিন্তু মা বাবার জন্য বাইরে থাকার উপায় নেই একদম। বাইরে থাকলেও ফোন দিয়ে দিয়ে দিয়ে দিয়ে ঘোরে তুলবে 😅😅
অবশেষে আমরা বৃষ্টির দেখা পেয়েছি বৃষ্টিতে শীতল হয়েছে আবহাওয়া। সজীবতায় ভরে উঠেছে সবুজ গাছপালা।।
হঠাৎ করে অনেকদিন পর ঝড়ো হওয়ার বৃষ্টি হয়েছে তার জন্যই ধুলোবালি এত উরাহুরি করেছে জমে থাকাটা।
অনেকদিন পর বৃষ্টি হওয়াতে খুব ভালো লাগছিল।।
আপনার সুন্দর অনুভূতি এবং ফটোগ্রাফি গুলা খুবই ভালো লাগলো।।
এই রকম আবহাওয়া যদি সবসময় পেতাম, কতোই না ভালো হতো তাই নাহ ভাই! হাহাহাহাহা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ সুন্দর অনুভব করলেন তাহলে কাল বৈশাখী ঝড়ের ধুলাবালির বৃষ্টিতে। আসলেই এখন বৃষ্টি হওয়া মানে চারদিকে বালি ছড়ানো বাতাসের মধ্যে। বাতাসের গতিতে আম পড়ার দৃশ্য গুলো খুব খারাপ লাগে। তবে ছোটকালে বাতাসের গতির সাথে আম পড়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতাম😄😄। বৃষ্টিকে তো ভালই অনুভব করলেন অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপু আম কুড়োতে সবারই তো ভালো লাগে, কিন্তু সেই আম গুলোও তো একটু বড় হতে হবে 😅😅। এখন তো ছোট ছোট আমগুলো সব পড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে 😥😥।