আমার রাত্রি বিলাস (দ্বিতীয় দিন)
নমষ্কার,,
রাত সেদিন একটা বাজে প্রায়। কিছু কাজ শেষ করে মাথা মোটামুটি হ্যাং করে আছে। বন্ধু তানজিম কে বললাম চলো বাইরে যাই। রুমে ভালো লাগছে না একদম। খিদেও পেয়েছে একটু। তারপর দুইজন একসাথে বেড়িয়ে গেলাম। গুটি গুটি পায়ে এগোতে এগোতে একটা দোকানে গিয়ে কিছুটা হালকা খাবার খেয়ে চা খেলাম। বেশ ফ্রেশ লাগছিল। রাতের ঠান্ডা হিমেল হাওয়া টা গায়ে লাগতেই অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করছিল।
দুই বন্ধু রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যেতে শুরু করলাম যেদিকে দুচোখ যায়। সাথে যেন গল্পের ফুলঝুড়ি। রাত যত বাড়ছিল আবেগের গভীরতা যেন তত বাড়ছিল। মনের মাঝে জমে থাকা চাপা ক্ষোভ গুলো যেন একটু একটু করে সরে যাচ্ছিল। নির্জন রাস্তায় মাঝে মাঝে দুই একটা রিক্সা অথবা বাইক উকি দিয়ে যাচ্ছে। তবে আমাদের মত ছন্নছাড়া হয়ে অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছিল।
প্রথমে চলে গেলাম জগন্নাথ হলে। রাত দুইটা বাজতে চললেও পুরো ক্যাম্পাস যেন মুখর হয়ে আছে ছাত্রদের কোলাহলে। দুই বন্ধু পুকুরপাড়ে বসলাম কিছু সময়ের জন্য। তারপর চারপাশের এলাকাটা একবার হেঁটে আবার রাস্তায় বেড়িয়ে এলাম।
হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে। এত রাতে কখনোই আসি নি এখানে। দেখলাম তখনও সরগরম চারদিক। অনেকেই গিটার নিয়ে গান বাজনা করছে। কেউ বা প্রেমিকার সাথে নিজের মত করে সময় কাটাচ্ছে। আবার অনেকেই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছে এই মাঝ রাতে।
কিছুটা সময় নিজেদের মতো করে কাটিয়ে আবার একটু চা দিয়ে গলা ভিজিয়ে হলের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম। স্বাধীনভাবে এই ঘোরাফেরা গুলো ভীষণ ভালো লাগে সব সময়। সত্যি বলতে বাধা ধরা জীবন গুলো বড্ড একঘেয়েমি লাগে। কিছুটা মুহূর্ত তো নিজের জন্যও তুলে রাখা দরকার। আজকের কথোপকথন এখানেই শেষ করছি। পরের দিন আরো নতুন কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব। সকলে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
অনেক সময় কাজ করতে করতে অনেক টায়ার্ড লাগে। সে সময় একটু ঘুরতে গেলে মনও অনেক ভালো লাগে। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেকক্ষণ সময় আপনার বন্ধুকে নিয়ে ঘুরলেন। খোলা বাতাসে নিজের স্বাধীনতা ভাবে ঘুরতে আমারও অনেক ভালো লাগে। সুন্দর অনুভূতিটি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই খোলামেলা এমন পরিবেশে হাঁটাহাঁটি করলে অনেক হালকা মনে হয় নিজেকে। আমার বেশ ভালো লাগে এমন টা। ভালো থাকবেন ভাই। অনেক ধন্যবাদ।
মাঝে মাঝে সত্যিই রাত্রেবেলা নিজেকে অনেক বড় অসহায় মনে হয়, আর এই অসহায়ত্ব কাটানোর জন্য একজন বন্ধু থাকাটা অবশ্য যেটা আপনার রয়েছে। রুমের মধ্যে ভালো না লাগায় বন্ধুর সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন রাত্রেবেলা অনেকটা সময় তার সঙ্গে অতিবাহিত করেছেন। সত্যি বলতে রাত্রিবেলা পুকুর পাড়ে বসে গল্প করতে খুবই ভালো লাগে, আর একহীন জীবন সত্যিই অনেক বেশি পীড়াদায়ক। আমরা কেউই বাধা ধরা জীবন যাপন করতে তেমন একটা পছন্দ করি না।
বাধা ধরা কিছু ভালো লাগে না আসলেই ভাই। চার দেওয়ালের বাইরের জীবনটাও যে কতটা উপভোগ্য এটা আমরা অনেকেই অনুভব করতে পারি না। আর রাতের বেলা এই প্রথম পুকুর পাড়ে বসে আড্ডা দিতে বেশ ভালো লেগেছে সত্যি।
এই শীতের রাতে তো লেপের নিচ থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না আর আপনি বাইরে দিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন। অবশ্য বন্ধু বান্ধবসহ বাইরে ঘুরে বেড়ালে অন্যরকম আনন্দ কাজ করে। এই শীতের রাত্রে ছাত্রদের কোলাহল মেনে নিলাম কিন্তু এত রাতে প্রেমিক-প্রেমিকারা কি করছে বাইরে? যাইহোক দুই বন্ধু মিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু,, এই ছবি গুলো মোটামুটি দুই সপ্তাহ আগের, তাই ঠান্ডা টা কম ছিল একটু,, এজন্য ঘুরে বেশ মজা পেয়েছিলাম। আর আপনার মত আমারও একই প্রশ্ন ছিল ঐ রাতে, উত্তরে বন্ধু বললো, বেশির ভাগই মেডিক্যালের সবাই,,,, ইন্টার্ন করছে হয়তো, নাইট এ ফাঁকা পেলে এসে আড্ডা দেয়। 😊