তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন
নমষ্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করছি সৃষ্টিকর্তার পরম কৃপায় সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। চারপাশে যে তাপদাহ সৃষ্টি হয়েছে এমন অবস্থায় ভালো থাকাটা সত্যিই খুব চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের কাছে। এক কথায় প্রকৃতির এমন রুক্ষ রূপের কাছে আমরা অনেকটাই অসহায়। মেনে নিতে যেন বাধ্য সবটা।
বৈশাখের শুরুতেই এতটা তাপদাহ এর আগে কখনোই আমি দেখিনি। শুরুতেই এমন অবস্থা, না জানি ভবিষ্যতে আরো কতটা রুক্ষ রূপ আমাদের দেখতে হবে। জনজীবন অতিষ্ঠ বলা যায়। সারাদিন ফ্যানের নিচে বসে থাকলেও শরীর অনবরত ঘামতেই থাকছে। স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো অবস্থা শেষ সাত-আট দিনের ভেতর দেখিনি মনে হয়। সবথেকে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষদের। এই তীব্র রোদে বাইরে বেরোলেই যেখানে অস্বস্তি বোধ হচ্ছে, সেখানে যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তীব্র রোদ উপেক্ষা করে কাজ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত, তাদের সীমাহীন দুর্ভোগের কথা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারবোনা।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি নিয়ে সারা বিশ্ব আজকে সরগরম হয়েছে। কিন্তু ফলাফল শূন্য। উন্নয়নশীল দেশগুলোকেই বেশি মূল্য দিতে হয় প্রতিনিয়ত। আজকে ডেইলি স্টারের একটা কলামে পড়ছিলাম যে শেষ ২০ বছরে আমাদের তাপমাত্রা মোটামুটি ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। আর যেটা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েই চলেছে। এই ব্যাপারটা আমাদের জন্য কতটা অশনি সংকেত সেটা আমরা কজনই বা বুঝি!
বিজ্ঞানের এই যুগে সবকিছুই হয়তো সম্ভব কিন্তু প্রকৃতির কাছে আমরা সব সময় অসহায়। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হতে আর খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না। অসচেতন ভাবে নগরায়ন এবং বাছ বিচারহীন ভাবে বৃক্ষ নিধন কতটা অভিশাপ ডেকে নিয়ে এসেছে আমাদের মানব জীবনে সেটা হারে হারে টের পাচ্ছি এখন আমরা।
তারপরেও বলবো, এখনো হয়তো সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি। সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে নগরায়ন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা আবার সবুজে ভরিয়ে দিতে পারি আমাদের এই ধরণীকে। এখনই সময় এই ব্যাপার গুলো নিয়ে সবার সচেতন হওয়া এবং সবাই একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাওয়া।


যদিও আমার প্রকৃতির কাছে অসহায়। তারপরেও এই অবস্থার জন্য হয়তো বা আমরা অনেকটাই দ্বায়ী। সত্যি এত তাপমাত্রা আমার মনে হচ্ছে এ বছরই বেশি হচ্ছে। যাইহোক সৃষ্টিকর্তা কাউকে নিরাশ করেন না, তিনি সব কিছু ঠিক করে দেবেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লিখেছেন।
ভালো কিছুর প্রত্যাশা সব সময় করি আমরা, হয়তো একদিন সবাই নিজের ভালো টা বুঝতে শিখবে। অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার কথার সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি দাদা বিজ্ঞানের এই যুগে সবকিছু সম্ভব হলেও প্রকৃতির কাছে আমরা সত্যিই অনেক বেশি অসহায়। এই প্রকৃতি কখন কি রূপ ধারণ করে সেটা বুঝার কখনোই সম্ভব নয়। আসলেই এই প্রচন্ড রোদ্দুরে জনজীবন প্রায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বিশেষ করে আমিও কখনো এরকম বৈশাখ মাসে রৌদ্রের তীব্রতা দেখিনি। ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
কথায় আছে যায় দিন ভালো আসে দিন খারাপ। আমাদের অবস্থা হয়েছে ঠিক সেরকম। অনেক ধন্যবাদ ভাই।