ঢাকেশ্বরী মন্দিরে কাটানো কিছু সময়
নমস্কার,,
একটা সময় ছিল যখন মাছ মাংসের প্রতি ভীষণ লোভ কাজ করতো। মাছ মাংস ছাড়া যেন ভাতই খেতে পারতাম না। নিরামিষ রান্না বা নিরামিষ খাবারের কথা উঠলেই গায়ে জ্বর এসে যেতো। কিন্তু এখন সেই ভাবটা আর নেই বললেই চলে। মাংস টাও বেশ বুঝে শুনে খাই। আর দিনে একবার খেলে তো দ্বিতীয়বার খেতে ইচ্ছেই করে না। আগের মত সেই রুচি টা আর নেই বললেই চলে। নিরামিষ আইটেম হলেই যেন বেশি তৃপ্তি পাই।
ঢাকা গিয়ে আগের রাতে বন্ধুর সাথে কথা হলো যে পরের সকালে দুজনে গিয়ে ইসকন কর্তৃক পরিচালিত একটা নিরামিষ রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া দাওয়া করব। আমি আবার সকালে ভাত ছাড়া অন্য কোন কিছু খেয়ে শান্তি পাই না। যেহেতু ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পাশেই থাকি ঢাকায় গিয়ে, তাই বন্ধু ঘুম থেকে উঠে আমাকে বললো একদম স্নান সেরে নিতে। তাহলে মন্দিরে দিয়ে একটু ঘুরে ফিরে তারপর খেতে যাব। সত্যি বলতে কেউ মন্দিরে যাওয়ার কথা বললে আমি একদম না করি না। আমিও রাজি হয়ে গেলাম। তারপর সকাল সকাল স্নান সেরে দুই বন্ধু মিলে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের দিকে এগিয়ে গেলাম।
এর আগেও বেশ কয়েকবার এসেছি মায়ের মন্দিরে। সবথেকে পবিত্র স্থান এটা আমার কাছে। দেখলাম সকাল সকাল অনেক ভক্ত মায়ের মন্দিরে এসে পূজো দিচ্ছে, ভোগ দিচ্ছে। আমাদের অবশ্য সেরকম কোন প্রিপারেশন ছিল না। তাই প্রণাম সেরে কিছুটা সময় মন্দিরের মাঝেই বসে থাকলাম। বেশ ভালো লাগছিল। মন্দিরের সেই ধূপের গন্ধ টা এত ভালো লাগে আমার , সেটা বলে বোঝাতে পারব না।
যাই হোক, মোটামুটি আধা ঘন্টার মত বসে ছিলাম। তারপর চারপাশ টা একটু ঘুরে দেখলাম। সকাল বলে মানুষের ভিড় টা খুব একটা বেশি ছিল না। একটু পরেই চলে গেলাম ইসকনের সেই রেস্টুরেন্ট টা তে। যেখানে সব কিছু নিরামিষ খাবার আইটেম। সত্যি বলতে ছবি তোলার কথা একদম ভুলে গিয়েছিলাম। তবে ভুঁড়ি ভোজন টা দারুন হয়েছিল এক কথায়। এইতো তারপর আর কি! গল্পে গল্পে দুই বন্ধু রুমে চলে আসলাম।
বন্ধুর সাথে তবে ভালোই খাওয়া-দাওয়া করলেন।আপনার অনুভূতির গল্প পড়ে ভীষন ভালো লাগলো। আপনার মতো আমারও আগে এমন হতো মাছ, মাংস ছাড়া খাবার চিন্তা ই করতাম না।আর আজ স্বাস্থ্যের কথা ভেবে সবকিছুই ট্রাই করি।আপনি আর আপনার বন্ধু মিলে মন্দিরে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর সাবলীল মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন আপু।