অভ্রর জন্মদিন পালন
নমস্কার,,,
পোস্ট টা করতে চেয়েছিলাম আরো দুই দিন আগে। শারীরিক অসুস্থতা আর সার্ভারের সমস্যার কারণে করা হয়ে ওঠে নি। সেদিন ছিল অভ্রর জন্মদিন। অভ্র আমার একমাত্র ভাগ্নে। সবার খুব আদরের এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভীষণ রকমের দুষ্টু। তবে অন্যান্য দিকে মাথা টা বেশ ভালো। ছবি আকা,গান বাজনা, পড়াশোনা সবদিকেই মোটামুটি মনযোগ টা আছে বেশ। যাই হোক এখনকার বাচ্চাদের জন্মদিন আসলে কেমন লাফালাফি শুরু হয় এটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এক মাস আগে থেকেই প্ল্যানিং শুরু হয়। ঐ গল্প শুনতে শুনতে মা বাবার মাথা পাগল হয়ে যায় এক রকম। হিহিহিহি।
আমার দিদির খুব একটা ইচ্ছে ছিল না যে বেশি বড় করে কিছু করবে। আশেপাশের কয়েক বন্ধুকে নিয়ে কেক কাটার আয়োজন করা হয়। আর এদিক থেকে আমি আরেক বন্ধু। হিহিহিহি। সত্যি বলতে ছোটদের একসাথে আনন্দ করতে দেখাটাই একটা বড় শান্তির। ঐ হাসি মুখ গুলো দেখার জন্যই সব আয়োজন। সন্ধ্যার একটু পর থেকেই অভ্রর বন্ধুরা আসতে শুরু করে। ওদের হৈ চৈয়ে বাড়ি মাথায় উঠে যায় এক রকম। গান ছেড়ে রুম বন্ধ করে দেই আমি। সবাই যত পারুক পাগলামো করুক। হিহিহিহি।
ছোট পরিসরে কেক কাটা হয়ে যায়। তারপর ছাদে চলে যাই। কিছু আতসবাজি আনা হয়েছিল। সবাই মিলে সেগুলো উপভোগ করি। আমার তো ছোট বেলা থেকেই বাজি পটকা ফোটাতে দারুণ লাগে। অনেক মজার অভিজ্ঞতা আছে এসব নিয়ে। যাই হোক ছোটদের এক পাশে রেখে আমি এক পাশে বাজি গুলো ফাটাচ্ছিলাম। তারপর তো নিচে চলে যাই খাওয়া দাওয়ার পর্ব সারতে। ভাগ্নে যা যা বলেছিল দিদি সেগুলোই রান্না করেছিল সেদিন। খাসির কাচ্চি, মুরগির রোস্ট এই দুটোই ছিল ওর প্রধান আকর্ষণ। হ্যাঁ এর সাথে কয়েক রকমের মিষ্টি আইটেম আর লুচি পায়েস তো ছিলোই।
এভাবেই ভাগ্নের জন্মদিন শেষ হয়। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যেন সব ভালো থাকে, সুস্থ থাকে ছেলেটা। একজন ভালো মনের মানুষ যেন হতে পারে বড় হয়ে। আর সবার মন জয় জয় করে চলতে পারে।
বাহ ভাইয়া ভাগ্নের জন্মদিনে দেখছি অনেক আনন্দ করেছেন। ছোট বাচ্চারা এরকমই তাদের জন্মদিনের কথা শুনলেই অনেক আগে থেকেই লাফালাফি করা শুরু করে দেয়। তাদের এই লাফালাফি গুলো মা-বাবার কাছে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনার ভাগ্নেকে দেখতে অনেক কিউট লাগছে। অনেক সুন্দর ভাবে ভাগ্নের জন্মদিন উদযাপন করেছেন। আপনার ভাগ্নের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
বাচ্চাদের মুখের এই হাসিটাই সব থেকে বড় পাওয়া আপু। খুব ভালো লাগলো আপু আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আবারো অসুস্থ হয়েছেন ভাইয়া? কি হয়েছে?
ভাগ্নের জন্মদিনে বাচ্চাদের সঙ্গে বেশ মজা করেছেন দেখছি এরকম আতশবাজি গুলো ফোটালে বাচ্চারা খুবই মজা পায়। ঈদের সময় বাড়িতে গেলে আমাদেরও এগুলো ফোটানো হয়। তাছাড়া রাতের বেলা এগুলো দেখতে চমৎকার লাগে। খাওয়া-দাওয়া বেশ জম্পেশ করেছেন দেখা যাচ্ছে। ভালো লাগলো দেখে।
আসলে আপু কেমন একটা যেন মানসিক অশান্তিতে ভুগছি, রাতে ঘুম হয় না ঠিক করে। আর প্রেসারের সমস্যা হচ্ছে ওখান থেকে, তাই শরীর টাও খারাপ লাগে সারাদিন। মানসিক এক ফোঁটা শান্তি খুব দরকার আপু। একটু দোয়া করবেন আপু এই ভাইয়ের জন্য। আর একটু ধৈর্য্য ধরে যেন বাকিটা পথ এগোতে পারি। 🙏🙏
প্রথমে জানাই অভ্রর জন্মদিনের শুভেচ্ছা। তারা সকলে একসাথে বসে কেক কাটছে এবং তারা অনেকটাই মজা করছে। আপনিও তাদের সাথে মজা করছেন৷ জন্মদিন এমন একটা দিন যেদিন সকালে মজা করতে থাকে৷ আর বাজি ফোটানোর মুহূর্তের সময় বাচ্চারা খুবই আনন্দ পেতে থাকে৷
ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।