প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটানো কিছু মুহূর্তের ভিডিওগ্রাফি
নমস্কার,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক ও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদের সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। ঈদের ছুটি কাটিয়ে সকলেই আবার কর্মব্যস্ত জীবনে ফিরতে শুরু করেছে। রাজধানী শহরটা আবার আগের মতো কোলাহলপূর্ণ হয়ে উঠছে। একদিক দিয়ে ভালো লাগছে। আবার হইচই গ্যাঞ্জাম এসবের কথা মাথায় আসলে খারাপ লাগে। কর্মময় জীবনে কেউ বেশিক্ষণ চুপচাপ থাকতে পারে না। আমাদের ভালোলাগা বা না লাগাতে কিছু যায় আসে না কারোরই। জীবন তার আপন গতিতেই এগিয়ে যাবে।
গত বছর ডিসেম্বরের শেষের দিকে ইন্ডিয়া গিয়েছিলাম কালিম্পং ঘুরতে। ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১২ জনের মত একসাথে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সবাই ছিল আমার পিসতেতো ভাই-বোন, জামাই, বৌদি, ভাতিজা আর ভাগ্নী। তিন দিনের ওই ট্যুরে ভীষণ মজা করে ফিরেছিলাম। সেটা নিয়ে পোস্ট করেছিলাম বোধ হয় তিন থেকে চারটে। সময়ের সাথে সাথে ব্যস্ততা বেড়ে গেলে সেই ছবিগুলো নিয়ে আর পোস্ট করা হয়ে ওঠেনি। তাই অনেকদিন পর হলেও ইচ্ছে করলো সেই দিনের ছবি বা ভিডিও নিয়ে কিছু একটা পোস্ট করতে।
একদম শুরুতে যে ভিডিওটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা ছিল কালিম্পং এর লাভাতে। লাভার বিশেষত্ব হলো এখানে মেঘ ভেসে বেড়ায়। বলা যায় হাত দিয়ে মেঘ ছোঁয়া যায়। অদ্ভুত সুন্দর এই জায়গাটা। আমরা যখন পৌঁছাই তখন বোধহয় সকাল সাড়ে দশটা বা এগারোটা বাজে। ঠান্ডায় রীতিমতো কাপছিলাম সকলে। সব সময়ের জন্য একটা হিমেল বাতাস বয়ে যাচ্ছিল চারপাশে। পাহাড়ের এই চুড়াতে দাঁড়িয়ে মেঘেদের ছোটাছুটি এবং মেঘ হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখতে কি যে ভালো লাগে সেটা লিখে বোঝানো হয়তো কখনোই সম্ভব নয়। আর সত্যি বলতে এই জায়গাগুলো ভিডিওর থেকে বাস্তবে দেখতে আরো বেশি চমৎকার।
দ্বিতীয় ভিডিওটা করেছিলাম কালিম্পং থেকে যখন ব্যাক করে শিলিগুড়ির দিকে আসছিলাম। পাহাড়ে যখন গাড়ি বেয়ে ওঠা যায় তখন যেমন এক ধরনের রোমাঞ্চকর অনুভূতি কাজ করে, ঠিক তেমনি পাহাড় থেকে নামার সময়টাতেও চমৎকার একটা ভালোলাগা কাজ করে। উচু উঁচু পাহাড় আর সবুজে ঘেরা গাছপালা বারবার করে হাতছানি দিয়ে ডাকছিল। বড্ড বেশি মায়ায় জড়িয়ে পড়েছিলাম। আমি বসেছিলাম গাড়ির সামনের সিটে। তাই চার পাশটা ভালোভাবে দেখার দারুন একটা সুযোগ হয়েছিল।
প্রকৃতি যে কত সুন্দর হতে পারে সেটা কালিম্পং গিয়েই বোধ হয় প্রথমবারের মতো অনুভব করেছিলাম। বাংলাদেশে নীলাচল, নীলগিরি কিংবা কক্সবাজার বেশ কয়েকবার ঘুরেছি কিন্তু কালিম্পং গিয়ে যে ভালোলাগা কাজ করেছে সেটা এর আগে কখনো হয়নি। সত্যি বলতে পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে নিজের সাথে কথা বললে কতটুকু স্বস্তি পাওয়া যায় সেটা সেবারে প্রথম অনুভব করেছি। সমুদ্রের থেকে পাহাড়ই এখন বেশি ভালো লাগে কেন যেন। অপেক্ষায় আছি আবার কবে এমন চমৎকার কিছু জায়গায় ঘুরতে যাব!
আসলে সবুজ প্রকৃতির মাঝেই প্রকৃত সুখ খুঁজে পাওয়া যায়।আর সবুজ প্রকৃতির মাঝে ঘোরাফেরা করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে গরমের সময়ে সবুজ প্রকৃতি আমাদের কে অনেক স্বস্তি দেয়। আপনি দেখছি আজকে প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটানো কিছু মুহূর্তের ভিডিওগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ধারণ করা ভিডিও ক্লিপ এর মাধ্যমে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারলাম।
সম্ভবত আপনার কালিম্পং ট্যুরের কিছু পোস্ট ঐ সময় পড়েছিলাম। সত্যি কী চমৎকার প্রাকৃতিক দৃশ্য। পাহাড় তার নিচ দিয়ে যেন মেঘগুলো ভেসে বেড়াচ্ছে। পাশাপাশি চমৎকার একটা পাহাড়ি রাস্তা। কী অসাধারণ ভাবে একে বেকে এগিয়ে গিয়েছে। দারুণ করেছেন ভিডিওগ্রাফিটা ভাই। সত্যি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অন্যতম লীলাভূমি।