আমাদের গল্প (৮)
নমস্কার,,
প্রায় এক সপ্তাহ হতে চললো দুজনের যোগযোগ নেই কোন। সাথী অনেক খুজে খুঁজে প্রান্তর ফেসবুক আইডি টা পেয়ে গেল। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হলো না। কারণ প্রান্তর আইডি লক করে রাখা। চাইলেও সবাই ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দিতে পারবে না। তবে ইনবক্স করার সুযোগ টা ছিল। কোন উপায় না পেয়ে সাথী সেখানে ম্যাসেজ করে রাখলো। সাথী ভালো করেই জানে এতে খুব একটা কাজ হবে না। কারণ প্রান্ত অ্যাক্টিভ থাকে না সোশ্যাল মিডিয়াতে। তারপরও অপেক্ষার প্রহর গুনছে সাথী। প্রতিদিন একটা করে ম্যাসেজ করে সাথী। কিন্তু প্রান্তর কোন রিপ্লাই নেই। এভাবে মোটামুটি চার দিন কেটে গেল।
অবশেষে কিছুটা অভিমানের সুরেই সাথী আবারো একটা ম্যাসেজ করলো প্রান্তকে,,,,,,, "প্রান্ত এটাই শেষ, আর ফেসবুকে ঢুকছি না আমি। পাঁচদিন হয়ে গেল, এতগুলো ম্যাসেজ করলাম, আর একটাও তুমি দেখলে না। প্রথমদিন থেকেই কিভাবে যেন আটকে গিয়েছিলাম তোমার মুখের কথায়, তোমার দুষ্টুমির হাসিতে। সব ভুলে যাব আজ থেকে। একটা মেয়ে হয়ে আর কিভাবে তোমাকে সবটা বোঝাবো! এরপর যদি ভুল করেও কখনো আমার সামনে এসে যাও, তাহলে আমাকে দেখে পালিয়ে যাবে, না হয় তো একদম বেধে নিয়ে আসবো আমার সাথে। অনেক বেশি বেড়ে গেছো।"
ওদিকে বেচারা প্রান্ত একা একাই মন খারাপ করে বসে আছে। কোন দিকে কোন হিল্লে করতে পারছে না। ফেসবুকের ব্যাপারটা যেন মাথা থেকেই আউট হয়ে গেছে ওর। দুই এক বার ফেসবুকে ঢুকলেও সাথীর ম্যাসেজ টা সে দেখতে পায় নি। কারণ ওটা ম্যাসেজ রিকোয়েস্ট হিসেবে জমা ছিল। আর এত গভীরে কখনো প্রান্ত যাওয়ার চেষ্টাই করে না এক কথায়।
ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ। প্রান্তর মাথায় হঠাৎ করেই উকি দিল বই মেলার কথা। মেলার শেষের দিকেই সাথীর আসার কথা। ওদের এক সাথে দেখা করারও কথা ছিল এই সময়ে। প্রান্ত আর দেরি না করে ফেসবুকে বই মেলার যে বিভিন্ন পেজ বা গ্রুপ আছে, সেখানে জয়েন হয়ে ভেতরের সব খবর গুলো ঘাটাঘাটি করতে শুরু করলো। মূলত দেখছিল যে কোন কোন বই গুলো এবার বেশি চলছে, আর কই কই সবাই ভিড় করছে। আবার এক সময় নিজে নিজেই রেগে যাচ্ছে ভেবে যে, সাথী একবারও আমাকে ফেইসবুকে খুঁজে দেখার চেষ্টা করলো না!! তারপর কি মনে হয়ে হঠাৎ করেই ম্যাসেজ গুলো চেক করতে ঢুকলো প্রান্ত। তেমন ইম্পর্ট্যান্ট কিছু নেই। দেখলো রিকোয়েস্ট হিসেবে অনেকগুলো ম্যাসেজ এসে জমা হয়ে আছে। আর সেখানে ক্লিক করতেই প্রান্তর চোখ কপালে উঠে গেল।
সাথী মোট ১৭ টা ম্যাসেজ করেছে পাঁচ দিনে। কিন্তু প্রান্ত এতদিনে সেগুলো দেখছে। প্রান্ত সব শেষ ম্যাসেজ টা পড়ে ভালো মতোই বুঝতে পারলো যে ভীষণ রেগে আছে সাথী। পাগলের মত একের পর এক ম্যাসেজ করতে লাগলো প্রান্ত। কিন্তু ওপাশ থেকে কোন রিপ্লাই নেই। কারণ সাথী অফলাইন। সারা রাত একটু পর পরই চেক করতে লাগলো যে সাথী কোন রিপ্লাই দিল না কিনা। অবশেষে ভোরের দিকে প্রান্ত সাথীকে ম্যাসেজ করলো,,,,,, "সাথী I'm really sorry..... বাকি কথা সামনে হবে। আমাকে মারো কাটো যা ইচ্ছে করো। না হয় কান ধরে দাঁড় করিয়ে রেখো। তোমার যা মন চায় করো। আমি আজ আজ বই মেলায় আসছি। আর তোমাকে না নিয়ে ফিরছি না এবার।"
চলবেই,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
প্রান্তের অবস্থা তো মনে হয় আপনার মত উরাধুরা তা না হলে মেসেঞ্জারে মেসেজ চেক করে না। যাইহোক তারপরও দেরি হলেও মেসেজগুলো যে চেক করেছে দেখে ভালো লাগলো ভাবছি সাথী সকালে মেসেজগুলো দেখে কি রিয়াক্ট করবে। তাছাড়া প্রান্তকে কিবা শাস্তি দিবে ভালো লিখেছেন ভাইয়া। যদিও প্রথম পর্ব গুলো মিস হয়ে গিয়েছে সময় করে পড়ে নিব। ধন্যবাদ।
আপু আপনার এই কমেন্ট টা পড়ে যা হেসেছি নাহ্ আমি 😊😀!! উরাধুরা 😅😅🤪। একদম মনের কথা বলে দিয়েছেন। হিহিহিহি। সুযোগ হলে সব গুলো পর্ব দেখে নেবেন এবং পরবর্তী শেষ পর্বের জন্য অগ্রিম নিমন্ত্রণ দিয়ে রাখলাম। অনেক ধন্যবাদ আপু।
প্রান্ত তো খুবই ভাগ্যবান। কারণ সাথী একজন মেয়ে হয়ে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে একের পর এক ম্যাসেজ দিয়েই যাচ্ছে। সবই কপাল ভাই। আপনারও মনে হয় প্রান্তের মতোই চাঁদ কপাল। এভাবে কোনো সাথী ম্যাসেজ দেয় নাকি ভাই? পরবর্তী পর্বে জানা যাবে সাথীর প্রতিক্রিয়া কেমন ছিলো। আগের পর্ব গুলো পড়া হয়নি আমার। তবে এই পর্বটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
হাহাহাহাহা,,, বেশ ভালো বলেছেন ভাই 😀। ভীষন মজা পেলাম সত্যি। গল্প আর বাস্তবতায় তো আকাশ পাতাল পার্থক্য ভাই। তবে সত্যি বলতে এমন কিছু সাথী কিন্তু বাস্তবেও আছে, আর আমিও কিছু কিছু ঘটনার সাক্ষী বলতে পারেন।হিহিহিহি। গল্প টা অনেকটাই বাস্তবে ঘটেছিল। এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর একটা পর্ব আছে শুধু। অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে।
হ্যাঁ ভাই বাস্তবে এমন ঘটনা অহরহ ঘটে চলছে। যেহেতু শেষ পর্যায়ে,তাহলে তো আগের পর্ব গুলো পড়ে নিতে হয়। যাইহোক ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।