চলছে গাড়ি, বাপের বাড়ি 😅🤟
আজকের টাইটেল টা একটু ভিন্ন ধরনের তাই নাহ! হিহিহিহি,, আসলে সকালে বসে যখন পোস্ট টা লিখছিলাম হঠাৎ করেই মাথায় এই লাইনটা আসলো। তারপর ঠিক করলাম আজ এটাই দেব শিরোনামে, চলছে গাড়ি বাপের বাড়ি 😅।
শিরোনাম ভিন্ন হলেও ঘটনা টা খুব নতুন কিছু না। প্রায় এক মাস পর বাড়ি যাচ্ছি। সব মিলিয়ে চার দিনের ছুটি ম্যানেজ করে বাড়িতে যাওয়া। কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়া যাকে বলে।
আমি যে বাড়িতে আসবো এর দিনটা প্রায় দুইটা সপ্তাহ আগে থেকেই ঠিক করে রাখি। ছুটি টাও সেইভাবে ম্যানেজ করে নেই। কিন্তু এবার অবশ্য বাসের ব্যাপারটা শেষ বেলায় একটু উল্টে যায়। প্রতিবার একদম ব্যাগ গুছিয়ে অফিসে রওনা দেই। অফিস থেকে সোজা বাস টার্মিনাল দৌড়। যে গাড়িতে যাব বলে ঠিক করে রাখি সেটা বলা যায় প্রায় এক মিনিটের জন্য মিস হয়ে যায়। পরের এসি গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হতো প্রায় এক ঘন্টা। কিন্তু ঐ সময়েই আরেকটা নন এসি বাস ছিল। এই গরমে এক ঘন্টা পরের বাসের জন্য অপেক্ষা না করে আমি যে বাস টা ছেড়ে যাচ্ছিল ওটাতেই রওনা দিয়ে দেই। আমাদের উত্তর বঙ্গে এস আর ট্রাভেলসের সার্ভিস সব সময় বেশ ভালো।
যেহেতু রানিং বাসে উঠেছি তাই সিট টা একটু পেছনের দিকে ছিল। এসব নিয়ে আমার অত প্রবলেম হয় না। যাই হোক একদম পেছনের দুই সিট সামনে আমি একাই বসে ছিলাম। ভাবলাম কেউ আর উঠবে না। কানে হেড ফোন দিয়ে চোখ টা বুজে আমি আমার মত বসে। এমন সময় একটু পর হঠাৎ একটা মিষ্টি মেয়ের কণ্ঠ কানে ভেসে আসলো। বলছে, এক্সকিউজ মি ভাইয়া, জানালার পাশের সিট টা আমার। আমি বেশ থতমত খেয়ে গেলাম। নরমালি ছেলে মেয়ের সিট টা আলাদা ভাবেই মেইনটেইন করে এই বাস গুলোতে। কিন্তু আজ কি হলো! বেশি কথা না বাড়িয়ে আমি উঠে দাড়িয়ে পাশের সিটে বসতে দিলাম। মনে মনে বললাম যে ঈশ্বর এসি বাস মিস করানোর কারণ তাহলে এটাই ছিল 😍😍!
জ্যাম ছিল না একদমই। বাসের ভেতরের গল্পটা অন্যভাবে আরেকটা পোস্টে লেখার ইচ্ছা আছে। তাই বেশি কিছু লিখছি না। অনেক দ্রুত বাড়ি চলে আসি। একদম চার ঘন্টায় বাড়ির ভেতর ঢুকে যাই। এবার দুটো দিন একটু শান্তিতে খেতে চাই, আর ঘুমোতে চাই। 😊😊😊।
ওহ ভাই মানতে হবে আপনারই কপাল আর আমরা বাস এ অথলে হয়ে যায় গোপাল হা হা হা।আশা করি আপনার যাত্রাটি সুন্দর হয়েছিল।আসলে এরকম অনেকদিন পর ছুটি পেয়ে বাসায় আসতে পারলে অসম্ভব ভালো লাগে।প্রার্থনা রইলো আপনার ছুটি অসম্ভব ভালোর মধ্য দিয়েই কাটুক।তবে বাস জার্নির গল্পটা শোনার অপেক্ষায় রইলাম ভাই😄।
হাহাহাহা,,, মজা পেলাম আপনার মন্তব্য টা পড়ে। সব কথা তো লেখা যায় না। তাই কিছুটা সাসপেন্স রেখে দিলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার টাইটেল দেখেই পোস্টটি পড়তে মন চাইলো। ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। আপনার বাস জার্নিটা অনেকটাই মজার ছিল সেটা আপনার পোষ্টের আলোকে অনুভব করলাম। এসি বাস মিস করে রানিং বাসে উঠে একটি মিষ্টি মেয়ের পাশে বসেই গন্তব্যে পৌঁছলেন। এর মাঝে কি ঘটেছিল সেটে জানার আগ্রহ নিয়ে এখানে অপেক্ষা রইলাম। পরবর্তী পোষ্টের মধ্যে আশা করছি জানতে পারবো।
দেখা যাক আপু পরবর্তীতে কি হয়,, হাহাহাহা। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ আপু।
বাবা মাকে ছেড়ে দূরে থাকা অনেক কষ্টের দীর্ঘ এক মাস পর আপনি চার দিনের ছুটি ম্যানেজ করে বাড়িতে যাচ্ছেন অনেক আনন্দের সাথে কাটুক আপনার দিন। জ্যাম না থাকার কারণে খুব দ্রুত পৌঁছে গেছেন আর জ্যাম না থাকলে কি যে আনন্দ হয়।তার উপর সুন্দরি মেয়ে ছিল পাশে। আর অন্য সিট থাকার পরেও আপনার পাশে কেনো বসলো নিশ্চয়ই আপনাকে ভালো লাগছে মেটার হি,হি। পরবর্তীতে বাসের মধ্যে কি ঘটেছিল তা জানার অনেক আগ্রহ হচ্ছে ।পোস্ট টি তাড়াতাড়ি কইরেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি অনূভুতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাড়ি আসার আনন্দ টা দূরে না থাকলে একদম বোঝা যায় না আপু। দোয়া করবেন আমাদের জন্য। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
চলছে গাড়ি বাপের বাড়ি, পোষ্টের নাম শুনে আমি তো অবাক হয়ে গেলাম। তারপরে আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে বুঝলাম। যাইহোক রেগুলার বাসে চলছেন তাই পিছনের সিট পেয়েছেন। আর আপনার পাশের সিটে একটি মেয়ের জায়গা। তবে বাসের ভেতরের গল্পটা শোনার জন্য অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
আফসোস আজ পযর্ন্ত বাসে ট্রেনে আমার পাশে কোন মেয়ে বসে নাই। আপনি তো ভাগ্যবান মশায়। এইজন্যই বলে সৃষ্টিকর্তা যা করে ভালোর জন্যই করে। তো পরে কী মেয়ের সাথে কথা হলো নাম্বার নিলেন??