হঠাৎ অসুস্থতা ভর করেছে চারপাশে
নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অসীম কৃপায় সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। দীর্ঘদিন একটা অস্থিতিশীল সময় পার করে ধীরে ধীরে আবার পরিস্থিতি আগের মতো স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। হ্যাঁ পুরোদমে ঘুরে দাঁড়াতে হয়তো আরো বেশ কিছুটা সময় লাগবে। তবে কারোর জীবন থেমে নেই। আপন বেগেই সেটা ছুটে চলছে। কখনো পাওয়া কখনো বা না পাওয়ার ব্যর্থতা সবার কাঁধেই চেপে বসছে।
যাই হোক দুই এক সপ্তাহ হলো আবহাওয়া টা খুব একটা ভালো লাগছে না আমার কাছে। ঠান্ডা গরম রোদ বা বৃষ্টি সবকিছুই মিলেমিশে একাকার। আমার তো প্রতি রাতেই চাদর গায়ে দিয়ে ঘুমাতে হয়। আবার ফ্যান অফ করলেও গরমে থাকতে পারিনা। ঠিক এই সময়গুলোতেই বোধ হয় মানুষ বেশি অসুস্থ হতে শুরু করে। এইতো গত সপ্তাহেই ঠান্ডা কাশিতে ভুগলাম বেশ। হালকা জ্বরও ছিল গায়ে। মোটামুটি পাঁচ ছয় দিন লেগেছে সবকিছু ঠিকঠাক হতে। তবে অবাক করা বিষয় হলো আশেপাশে যার সাথেই কথা হচ্ছে সবখানেই শুনতে পাচ্ছি এরকম সিজনাল জ্বরে সবাই ভুগছে। আবার এখন তো ডেঙ্গু নিয়েও আরেকটা ভয়ে আছে। এই ভয়টা অবশ্য আমার মধ্যে সব থেকে বেশি। বছর খানেক আগে ডেঙ্গুতে বেশ ভালো রকম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে আমাকে।
ঢাকাতে আমরা যারা বাসায় থাকি প্রায় সবাই হঠাৎ করে একসাথেই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আমি গত সপ্তাহে সুস্থ হয়ে গেলেও এই সপ্তাহে অন্য দুজনের শরীরে জ্বর আসা-যাওয়া করছে বেশ ভালো ভাবেই। ছোট ভাই রাজিব বেশ অসুস্থ কয়েকদিন হলো। গতকাল সন্ধ্যায় তাই ঠিক করা হলো ব্লাড টেস্টটা করে রাখার। ওকে নিয়ে সন্ধ্যায় গিয়েছিলাম ইসলামিয়া হসপিটালে। ছেলেটা যেহেতু অসুস্থ তাই সাথে আমিও গিয়েছিলাম। দেখলাম অনেকেই এরকম শারীরিক সমস্যায় ভুগছে। রক্ত দেয়া হয়ে গেলে নিচে নেমে দুজনে টেস্টি ট্রিট থেকে হালকা খাওয়া-দাওয়া সেরে নিলাম। পাশেই কাঁচাবাজার ছিল। বাসায় ফেরার পথে বাজার থেকে টুকটাক কাচা বাজার করে নিয়ে ফিরলাম।
আমার কাছে এই সময়টা ভীষণ ভয়ের লাগে। চারদিক থেকেই অসুস্থতার খবর পাওয়া যায় শুধু। তাই সকলের সাবধানে থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। নিজের শরীরের প্রতি যত্নশীল হবেন। আর আমার জন্য প্রার্থনা করবেন যেন সবাইকে নিয়ে সুস্থ থাকতে পারি।