নীড়ে ফেরা
নমষ্কার,,
ইচ্ছে ছিল তিন থেকে চার দিন এবার ঢাকাতে থাকবো। নিজের কিছু প্রয়োজনীয় কাজ মিটিয়ে আসবো। কিন্তু আমার ইচ্ছে সব সময় যে উল্টোদিকেই যায়। নিজের শরীরের অসুস্থতা তো ছিলই, তার সাথে কয়েকটা দরকারি ইমেইল চলে আসে। যেগুলোর কাজ যত দ্রুত সম্ভব মিটিয়ে ফেলতে হবে। তাই মাত্র এক রাত থেকেই আবার বাড়ির দিকে রওনা দিতে হলো।
সন্ধ্যা অবধি আমি ছিলাম গুলশানে। গুলশান থেকে পাঠাও নিয়ে রওনা দিলাম কল্যাণপুরের দিকে। ওই সময়টাতে সাধারণত ভীষণ রকমের জ্যাম থাকে রাস্তায়। তাই পাবলিক বাসে না গিয়ে পাঠাও নিয়েছিলাম। কিন্তু জ্যামের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে বাইক নিয়েও কোন কাজ হয়নি। প্রতিটা সিগনালে অনেক লম্বা সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। সন্ধ্যার পর বগুড়ার দিকে খুব একটা বাস থাকে না। একদম রাত নয়টা সাড়ে নটার দিকে বাস পাওয়া যায়। আমি আগেই শুনেছিলাম সন্ধ্যায় একটা গাড়ি আছে। সেটা ধরবো বলেই রওনা দেই। যদিও কিছুটা লেট করে ফেলি।
কল্যাণপুর এসআর কাউন্টারে ঢোকার সাথে সাথে একটা টিকিট নিয়ে নিলাম। গাড়িটা ছিল ছয়টায়। কিন্তু সেটা ছাড়বে সাড়ে সাতটায়। একটু লেট হওয়ার জন্যই এই গাড়িতে উঠতে পারি। না হলে একদম রাত সাড়ে নটায় ছিল পরের গাড়ি। ঢাকা শহরের ভেতরে অসম্ভব রকমের যানজট থাকলেও গাড়ি যখন গাবতলী ক্রস করল তখন আর খুব একটা জ্যামের দেখা পেলাম না। এক রকম বলা যায় দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলল আমাদের গাড়িটা।
গাড়িতে বসে পুরো সময়টুকু ডিসকার্ডে সবার সাথে আড্ডা দিয়ে ইনজয় করছিলাম। রাত সাড়ে দশটার একটু পর আমাদের গাড়ি ফুড ভিলেজে এসে যাত্রা বিরতি দিল। গাড়ি থেকে নামতেই ধুম করে যেন একটা ঠান্ডা বাতাস এসে ধাক্কা দিয়ে গেল। বুঝতে আর বাকি রইল না যে আমি বাড়ির খুব কাছেই চলে এসেছি। হিহিহিহি। মোটামুটি প্রায় রাত সাড়ে এগারোটার মধ্যেই আমি বাসস্ট্যান্ডে নেমে যাই। বলা যায় অনেকটা ভোগান্তি ছাড়াই ভালোভাবে আমার নীড়ে পৌঁছে গেলাম।
নীড়ে ফেরার গল্পটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। আপনি ডিসকর্ডে বলেছিলাম মনে আছে। তবে এখন আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে জানতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য লিমন ভাই। অনেক ভালো থাকবেন সবসময়। ভালোবাসা রইলো।
ঢাকা এসে আবার চলে ও গেলেন নিজ নীড়ে।গুলশান ছিলেন।এরপর কল্যানপুর গিয়ে টিকিট কেটে নিলেন।কোন ঝামেলা ছাড়াই চলে গেলেন বাড়িতে।ডিসকোর্ডে ও সময় কাটিয়েছেন বললেন।অনেক ভালো লাগলো অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু, পুরো লেখাটা যে মন দিয়ে পড়েছেন সেটা বুঝতেই পারছি। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। এভাবে পাশে থাকবেন সবসময়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।