অবশেষে সেই কাঙ্ক্ষিত সেলফি 🤗✌️ ।। আর আপুদের সাথে আড্ডা
নমস্কার,,
সেদিন প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টার জার্নি করে এসেও, ঘুমটা খুব একটা ভালো হয়েছিল না রাতে। তার মধ্যে আবার পরদিন তথাকথিত পরীক্ষার হলে হাজিরা দেওয়ার জন্য সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হয়েছিল। দুপুরে খাওয়ার পর শরীর টা আর পারছিল না। ঘুমিয়ে গেলাম সাথে সাথে।
ঘন্টা খানেক পর একটা ফোন আসলো। ঠিক মত না দেখে কানে ধরে হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে দেখি বলছে,,,,,,,,
"এত ঘুমালে হবে? এত ঘুমালে আচার নিবেন কি করে?"
বুঝতে আর বাকি রইলো না আমার বস @tania69 আপু ফোন করেছে। আপু জানালো পাঁচটার মধ্যে @tauhida আপুকে নিয়ে রমনায় চলে আসবে।
ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় তিনটা পার হয়ে গেছে। আমি ছিলাম উত্তরায়। উত্তরা থেকে যেতে যদি জ্যাম লাগে কপালে তাহলে দুই ঘন্টা তেও পৌঁছাতে পারবো না রমনায়। তাই তাড়াহুড়ো করেই রওনা দিয়ে দিলাম একটা পাঠাও নিয়ে। সেদিন যে আমার জন্য রাস্তা এত ফাঁকা থাকবে সেটা আমি কল্পনাও করি নি। দেখা গেল আমি চারটার আগেই রমনায় পৌঁছে গেলাম। এবার এতক্ষণ আমি কি করি!
তানিয়া আপু জানানো তৌহিদা আপু মাত্র খেতে দিয়েছে, একটু রেস্ট নিয়েই বের হচ্ছি। আমি আশে পাশে ঘুরে ঘুরে ছবি তুলতে লাগলাম। আর একটা দোকান খুঁজতে লাগলাম কিছু চকলেট নেব বলে। কিন্তু কপালটা আমার এতই খারাপ ছিল যে, মোটামুটি ওই গরমের ভেতরেই তিনটা গেট দিয়ে বের হয়ে বাইরে ঘুরলাম কিন্তু আশেপাশে কোন ভালো স্টল আর আমি খুঁজে পেলাম না, যেখানে চকলেট পাব।
ঘুরতে ঘুরতে মোটামুটি আমার অবস্থা টাইট এমন সময় তানিয়া আপু ফোন করেছে। তখন বাঁধলো আরেক মজার কান্ড। বিকেল যত বাড়ছিল পার্কের ভেতরে লোকসমাগম ততটাই বেশি হচ্ছিল। অত লোকের মাঝে আমি আপুদের খুঁজে পাই কি করে এখন!!
আমি তানিয়া আপুকে বললাম, আচ্ছা আপু আপনি কি রঙের ড্রেস পড়ে আছেন?
আপু উত্তর দিল,, " আমার সামনে টকটকে হলুদ শাড়ি পরা একটা মেয়ে আছে"।
আমি হাসব না কাঁদব!! এটা শুনে 😅😅
আসলে আমি চেয়েছিলাম আপুদের আগে থেকে দেখে নিয়ে পিছন থেকে গিয়ে মজা করব। যে জন্য আমি মুখে মাস্ক আর মাথায় টুপি পরে নিলাম। কিন্তু তানিয়া আপু এতোই চালাক যে আমাকে সেই সুযোগটাই দিল না। আমাকেই আগে ধরে ফেললো। বস কি আর এমনি বলি!! হিহিহিহি।
অবশেষে আমাদের দেখা হলো। দুই আপু, তাদের তিন সেনাপতি আরহাম , আফনান এবং ফানা 🥰😅, আর অ্যান্টি এসেছে একসাথে। আমাদের গল্প শুরু হয়ে গেল। চাইছিলাম কোথাও একটু বসে কথা বলবো। কিন্তু মৌমাছির মত মানুষ সেদিন যেন পার্কে ভিড় করেছিল। অবশেষে আন্টিকে একটা জায়গায় বসিয়ে আমরা তিন ভাই বোন বেশ আড্ডা দিলাম।
মজার ব্যাপার এই প্রথম আপুদের সাথে আমার দেখা। কিন্তু আমাদের মিশে যেতে যেন এতটুকুও সময় লাগলো না। মনে হলো এর আগেও আমরা এমন আড্ডা দিয়েছি। ভীষণ ফ্রেন্ডলি এবং হাসিঠাট্টা করে আমরা বেশ গল্প করতে লাগলাম। আর অন্যদিকে আরহাম ফোন নিয়ে এবং ফানা, আফনান এদিক ওদিক দৌড়দৌড়ি ছোটাছুটিতে ব্যস্ত হয়ে গেল।
তানিয়া আপু যখন নতুন ফোনটা পায় তখন আমি অনেক মজা করে বলতাম যে এই ফোন দিয়ে আমি সেলফি তুলবো আপু। এটা সেই কত আগের কথা। কিন্তু বসের দেখলাম দিব্বি মনে আছে। আমাকে ফোন হাতে দিয়ে বলছে নিজের ইচ্ছে পূরন করেন। হিহিহিহি। আমি তারপর সবাইকে নিয়ে সেলফি তুললাম।
কথার পৃষ্ঠে নানান কথাই হচ্ছিল আমাদের। শেষ যেন হতে চায় না আর। কিন্তু এই অসহ্য গরমে আর এত মানুষের চাপে সেখানে থাকার আর উপায় ছিল না। অন্যদিকে বাচ্চাদেরও আর ভালো লাগছিল না। তাই আস্তে আস্তে আমরা মেইন গেটের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম।
আপুদের সাথে প্রথম দেখায় এভাবে এত ভালো একটা সময় যে কাটবে , এটা আমি ভাবতেও পারি নি। ডিসকর্ডে আমরা যেভাবে কথা বলি একদম অবিকল অমন টাই মনে হলো। তৌহিদা আপু যেমন নরম ভাবে আস্তে ধীরে কথা বলেন ঠিক অমনই। একটুও চেঞ্জ নেই। আর তানিয়া আপুও তাই, বুঝে শুনে মজা করে কথা বলবে, কথার সাথে কেউ পারবে না একদম 😉। তবে আন্টিকে সেখানে পেয়ে সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছে। আন্টির গুণগুলো যে আপুদের মাঝে আছে সেটা কথা বলেই বোঝা যায়।
ও হ্যাঁ আপুরা আমার জন্য কষ্ট করে আচার নিয়ে এসেছিল। এটা নিয়ে খুব শীঘ্রই একটা রিভিউ পোস্ট লিখব। তবে দিন শেষে আমার বাংলা ব্লগের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এই পরিবার ছাড়া আপুদের এই স্নেহ ভালোবাসা কখনোই হয়তো পেতাম না।
হয়তো আবার কোন একদিন আমাদের গল্প আড্ডা হবে কোন এক পরিচিত শহরের অচেনা সময়ে। আবার এই হাসি মুখ গুলো হাসি আনন্দে মেতে উঠবে। আমরা সবাই যেন ভালো থাকি, সুস্থ থাকি, আমাদের সম্পর্ক গুলো যেন ভালো থাকে, সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি সব সময়।
বাহ ভাইয়া আপনি তো আপনাদের সঙ্গে বেশ ভালো সময় উপভোগ করেছেন। আমাকেও বলতেন আপনাদের সঙ্গে যোগ দিতাম। হয়তোবা একটু আচারের ভাগও পেতাম। যাই হোক আপনারা সবাই বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন পার্কে ।ছবিতে দেখাই যাচ্ছে পিছনে, সেদিন আসলেই মৌমাছির মত অনেক মানুষ ভিড় করেছে😄। অবশ্যই আপুদের দেওয়া আচারের রিভিউ পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
এতো ভাগ দেওয়া যাবে না দেখেই তো কাউকে আর বলি নি 😊😊। একা একাই সব নিয়ে চলে এসেছি। হিহিহিহি। অনেক ধন্যবাদ আপু।
বাহ আপনারা সবাই মিলে তো বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। নিশ্চয়ই মনে হয়েছিল যে আপনারা ডিসকর্ড এ আড্ডা দিচ্ছেন । ইস আমি মিস করে গেলাম । থাকলে হয়তো আপনাদের সঙ্গে আড্ডা দিতে পারতাম । সত্যিই আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো । পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।
আসলে ডিসকর্ড এর থেকেও বেশি আড্ডা জমেছিল আপু। কোন এক দিন সবাই এক সাথে আবার বসবো 😊। অনেক ধন্যবাদ আপু।
এটা কি প্রশংসা করলেন নাকি দুর্নাম করলেন? প্রশংসা হওয়ার সম্ভাবনা কম আপনার মুখ থেকে আমার প্রশংসা সেটা অসম্ভব বিষয়। যাই হোক সেদিন আসলেই খুব ভালো লেগেছিল। পরিবেশটা ভালো হলে হয়তো আরো ভালো লাগতো।
দেখলেন তো আপু আপনার নিজের ওপর নিজেরই কনফিডেন্স নাই 😅😅😅। আমি কি আর অতই খারাপ নাকি যে সবার সামনে দুর্নাম করব!! 😉😉। আর হ্যাঁ ভালো পরিবেশ আসবে একদিন অবশ্যই । অনেক ধন্যবাদ আপু কষ্ট করে সময় নিয়ে আসার জন্য। ❤️
আপনি আর দুই আপু মিলে একটি সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখছি। ভালোই হয়েছে আপনার আচার পাওনা হয়ে গেল আপুদের থেকে। আর সেই সাথে তানিয়া আপুর ফোনে তিন সেনাপতির সাথে সেলফিও হয়ে গেল। যাই হোক, আপনার পোষ্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনারা যে সকলে মিলে একটি দারুণ সময় কাটিয়েছেন, তা বুঝতে পারলাম।
আপুদের থেকে এই স্নেহ ভালোবাসা পাওয়া টা আমার জন্য পরম পাওয়া ছিল। এই বন্ধন গুলো ভালো থাকুক সব সময়। এটাই চাওয়া।
পোস্ট পড়ার প্রথম দিকে তো ভাবছিলাম মনে হয় আপনি আগে থেকেই তানিয়া আপু বা তৌহিদা আপুকে চেনেন। এটা যে আপনাদের প্রথম দেখা ছিল সেটা মাঝখানের দিক থেকে পড়ে আসলে বুঝতে পারলাম। আসলে আপুদের সাথে discord এ কথা বলেই বুঝেছিলাম যে উনারা খুব হাসিখুশি এবং ভালো মনের মানুষ।
কি দরকার আমাদের লোভ দেখানোর।🤭🤭
আমার মনে হয় এই পরিবারের সবার মাঝে এমন একটা বন্ধন তৈরি হয়েছে যে, কাউকে দূরের মানুষ মনেই হয় না। মনে হয় সবাই কত কাছের 😊😊.। তবে ভাই দারুন লেগেছে সেই দিনের আপুদের সাথে কাটানো বিকাল টা।