শুভর বিয়ে সম্পন্ন হলো অবশেষে
নমস্কার,,
গত পরশু ভাগ্নে শুভর গায়ে হলুদ নিয়ে একটা পোস্ট করেছিলাম। আজ বিয়ে নিয়ে কিছুটা লিখছি। যদিও আমার কাছে বিয়ের খুব একটা ভালো ছবি নেই। তবু যেটুকু আছে ঐ দিয়েই কাজ চালিয়ে দেই। বিয়েটা বাড়ির বেশ কাছেই ছিল। বাইক নিয়ে ৩০ মিনিটের মধ্যেই যাওয়া যায়। তবে জায়গাটা একদম গ্রামের দিকে। সবার ভয় ছিল যদি বৃষ্টি হয় তাহলে একদম বাজে অবস্থা তৈরি হয়ে যাবে বিয়ে বাড়িতে। বরযাত্রী যারা যাবে তাদেরও অনেক অসুবিধা পোহাতে হবে। তবে ভাগ্যটা আমাদের সাথেই ছিল। কোনরকম বৃষ্টি হয়নি সেদিন।
সচরাচর আমি কখনো বরযাত্রী যাই না। কারণ অনেক কষ্ট করে রাত্রি যাপন করতে হয় বরযাত্রী গেলে। যেহেতু এটা একদম নিকট আত্মীয়র বিয়ে, তাই না গিয়ে কোন উপায় ছিল না। সন্ধ্যা আটটার মাঝেই বর সহ আমরা সবাই মেয়ের বাড়ির দিকে রওনা দেই। আমি অবশ্য বাসে বা মাইক্রো কোনোটাতেই যাই নি। এক দাদার সাথে বাইক নিয়ে গিয়েছিলাম। এটাই বেশ আরামদায়ক ছিল আমার জন্য। আর দূরত্ব যেহেতু খুব অল্প তাই খুব একটা ভোগান্তি হয়নি।
বিয়ে বাড়িতে পৌঁছানোর সাথে সাথে মেয়ে পক্ষ বেশ আদর আপ্যায়ন করে। আমি অবশ্য বেশি জটলার মাঝে যাই নি গরমের জন্য। বরযাত্রীরা সকলে একটা প্যান্ডেলে বসে ছিল সেখানেই বসে গিয়েছিলাম। একটু পরেই আমাদের জন্য নাস্তা চলে আসে এবং তারপর রাতের খাবারটা সকলে খেয়ে নেই। বিয়ে বাড়ির খাওয়া বুঝতে পারছেন, একদম ভর পেট খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। সত্যি বলতে আমি আমার দুই দাদা আর তিন বৌদিকে নিয়ে একসাথে বসেছিলাম। তাই আনন্দ করতে করতে খাওয়ার সময়টা খুব চমৎকার কেটেছে এক কথায়।
অন্যদিকে ঠাকুর মশাই নিয়ম মেনে বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু করে দিয়েছিলেন। আমি খুব একটা বিয়ের মন্ডপের আশেপাশে ছিলাম না। আসলে বিয়ের অনুষ্ঠান তো অনেক দেখেছি তাই অতটা ইন্টারেস্ট ফিল করিনি। আর আমাকে দেখলে সবাই আমার বিয়ের নিয়ে উঠে পড়ে লাগতো , তাই এক রকম পালিয়ে বেরিয়েছি বলা যায়। তবে মালা বদল আর শুভদৃষ্টির সময় টাতে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। বেশ মজার ছিল সেই মুহূর্ত গুলো।
বাড়ি কাছাকাছি হওয়ায় আমি বিয়ের পর্বটা শেষ করে দাদার সাথে বাইক নিয়ে মাঝ রাতে রওনা দিয়ে দেই বাড়ির দিকে। কারণ একদিন পরেই বৌভাতের অনুষ্ঠান। অনেক দিকে খেয়াল রাখতে হয়েছে আমাকে। সেজন্য বাড়িতে চলে এসেছি। বৌভাতের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি রীতিমত পাগলের মত ছুটে বেরিয়েছি। একটা অনুষ্ঠান পাড়ি দেওয়া সত্যিই অনেক চাপের ব্যাপার। কত দিকে যে খেয়াল রাখতে হয় সেটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আমাদের একটাই চাওয়ার ছিল সেটা হল অনুষ্ঠানটা যেন ভালোভাবে সম্পন্ন হয়। আর ঈশ্বরের আশীর্বাদে হয়েছেও তাই।
খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সবার সাথে আড্ডা ফাজলামো সবকিছু একদম জমজমাট ছিল এই তিনটা দিন । চোখের পলক পড়তে না পড়তেই যেন সময় গুলো কেটে গেল। সবকিছু শেষ করে সবাই যখন চলে গেল ভীষণ ফাঁকা লাগছিল চারদিকটা। আসলে অনেকদিন পর এরকম উৎসবমুখর কয়েকটা দিন কাটালাম। সবশেষে একটাই চাওয়া, নবদম্পতি যেন সুখে থাকে এবং ভালো থাকে। নতুন রঙে নতুন সাজে জীবনটাকে সাজিয়ে তুলুক ওরা নিজেদের মতো করে।
দাদা আপনার ভাগ্নে শুভর বিয়েতে তো জমিয়ে আনন্দ উপভোগ করেছেন। আসলে বিয়ে বাড়ি বলে কথা আনন্দ না করলে কি হবে। বিয়ে বাড়িতে আমিও জমিয়ে আনন্দ উপভোগ করি। আপনার লেখা গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ লিমন ভাই, সব সময় সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দাদা, আপনার ভাগ্নে শুভর শুভ বিবাহ অনুষ্ঠানের খুবই আনন্দঘন মুহূর্তটুকু আপনি চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এরকম বিয়ের অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল ইচ্ছামতো সুস্বাদু খাবার খাওয়া। যাহোক শুভর শুভ বিবাহের আনন্দের মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন সবসময়।
নবদম্পতির জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। ভাগ্নের বিয়েতে তাহলে অনেক ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন দাদা। অনেকদিন পর এরকম উৎসব মুখর দিন কাটালে বেশ ভালোই কাটে। যেহেতু আপনিও অনেকদিন পর এরকম উৎসব মুখর দিন কাটিয়েছিলেন, তাই মুহূর্তটা বেশ ভালো কেটেছিল মনে হয়। বিয়ের কয়েকটা আলোকচিত্র তুলে ধরেছেন দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো।
আসলে নানান কাজে ব্যস্ত থাকায় বেশি ছবি তুলতে পারি নি আপু। তাই অল্প কিছু ছবি পোস্ট করেছি। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
বিয়ে বাড়ি যদি কাছাকাছি হয় তাহলে একটু সুবিধা আছে, এক্ষেত্রে কিন্তু রাতভর জার্নি করতে হয় না বাসে বা অন্যান্য যানবাহনে। আমি আপনারই মতো আসলে বরযাত্রী যাওয়ার পক্ষপাতী একদমই না। খুব বেশি কাছের মানুষ না হলে বরযাত্রী যাইনা। তবে আপনি যে বিয়ে বাড়ির লোকদের থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এটা কিন্তু বেশিদিন আর পালাতে পারবেন না। সুতরাং নিজের একটা ব্যবস্থা করে নেন জলদি। হা হা হা...
ক্যারিয়ার টাই যে দাড় করাতে পারছি না ভাই,, তানাহলে কবেই আমার গলায় ঝুলিয়ে দিত একটা! ! এখনো অনেক সময় বাকি ভাই। আপনার টা খেয়ে এসে তবেই মাথায় টপর পড়বো 😅