আদি ও আহির সাথে কাটানো মুহূর্ত
নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। বিগত দুইদিন রোদের দেখা পাওয়া গেলেও হঠাৎ করেই আজকে আকাশটা আবার কেমন যেন মেঘলা হয়ে গেছে। সেই সাথে সাথে শীতের প্রকোপটাও বেড়ে গেছে মনে হচ্ছে। সকাল থেকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাস বইছে। অন্যান্য যে কোন বারের তুলনায় শীতের দাপটটা এবার বেশ কড়া লাগছে।
আজ সকালে ঘুমের ভেতর হঠাৎ করেই আদি আর আহি কে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি। কয়েকদিন আগে ইন্ডিয়াতে গিয়ে ওদের সাথে বেশ লম্বা সময় কাটিয়ে এসেছি। হয়তো সেজন্যই এই স্বপ্নটা দেখা। ভীষণ মিষ্টি দুটো বাচ্চা। আর সব থেকে মজার ব্যাপার সম্পর্কে ওরা আমার নাতি এবং নাতনী। আহি তো সবসময় আমাকে জামাই বলে ডাকতো। আর আদি ডাকতো তো জামাইবাবু বলে। হিহিহিহি। আমি ভীষণ ইনজয় করতাম ওদের আধো আধো সুরে ডাক গুলো। আদি তো অনেকটাই ছোট, মুখের কথা অতটা স্পষ্ট নয়। আর তাই ওর মুখের ডাকটা সব থেকে বেশি মিষ্টি শোনাতো। অন্যদিকে আহি অনেক সুন্দর আবৃত্তি এবং নাচ করতে পারত। রীতিমতো অবাক করে দেওয়ার মতো।
ওদের বাড়ির ছাদটা ভীষণ চমৎকার করে সাজানো। চারতলার উপরে দাঁড়ালে মনে হয় পুরো শহরটাই দেখা যাচ্ছে। মালদা স্টেশনের খুব কাছেই বাড়িটা। তাই একটু পরপরই রেললাইন দিয়ে ট্রেন যেতে দেখা যেত। মিষ্টি রোদে বসে শহরটাকে দেখতে ভীষণ ভালো লাগতো। আবার ছাদের উপরে সুন্দর গাছ লাগানো আছে। মনটা আপনা আপনি ভালো হয়ে যায় ছাদে কিছুক্ষণ সময় কাটালে। আমি প্রায় তিন দিনের মতো ছিলাম ওদের বাড়িতে। পুরো সময়টা ভীষণ উপভোগ করেছি। আহি আর আদির জন্যই হয়তো এতটা আনন্দ পেয়েছি। যেদিন আমি চলে আসছিলাম সেদিন রীতিমতো ওরা দুই ভাই বোন কাদছিল। আমারও খুব মন খারাপ হয়েছিল।
এবারে ইন্ডিয়ায় গিয়ে কাটানো সময়টা খুবই ভালো কেটেছে। যেখানেই গিয়েছি সেখানেই অনেক আনন্দ করেছি। অনেক পোস্ট তো করাই হয় নি এখনো। ধীরে ধীরে সবটা শেয়ার করব। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ছোট ছোট বাচ্চারা যখন কথা শিখে তখন তাদের কথা শুনতে খুবই ভালো লাগে। আদি এবং আহির দেখতে কিন্তু খুব কিউট। আসলে যাদের নিয়ে ভাবা হয় তাদের নিয়েই স্বপ্ন দেখা হয়। ওদের বাড়ির ছাদটা আসলে বেশ চমৎকার। এরকম খোলা ছাদে দাঁড়িয়ে থাকতেও বেশ ভালো লাগে। যাই হোক ওই সময় বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলেন বোঝা যাচ্ছে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু। বাচ্চাদের এই আধো আধো কথা গুলো সত্যিই খুব মজার হয়। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এই বয়সে দেখছি আপনি দাদু হয়ে গেছেন। নাতি, নাতনীদের সাথে ভীষণ চমৎকার সময় কাটিয়ে এসেছেন। ওদের পাচঁতলা বাসার সাজানো গোছানো ছাদে বসে পূরা শহর ও ট্রেন যাওয়া আসা দেখতে পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে বাচ্চাদেকে ভালোবাসলে তাঁরা খুব দূর্বল হয়ে যায় তার প্রতি সেজন্য ওরা দু ভাইবোন আপনার আসার সময় কান্না করেছে। আপনারও খারাপ লেগেছে এটাই স্বাভাবিক। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
এই বয়সে দাদু হওয়াটা বেশ মজার দিদি। হিহিহিহি। আমি খুব ইনজয় করি এই ব্যাপারটা। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ দিদি।