এক শান্তু নিরিবিলি বিকেলে সজীবতায় মাখা কিছু সময়
নমস্কার,,
কয়েকদিন হলো সারাদেশেই কমবেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়াটা অনেকটাই ঠান্ডা সেজন্য। বিকেলের দিকে হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়, তার সাথে হিমেল হাওয়া। সবকিছু মিলিয়ে একদম দারুন একটা পরিবেশ। এমন দিনে গ্রামের পিস ঢালা রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর এক অন্য রকম মজা। হঠাৎ করেই আমার সামনে এমন একটা সুযোগ চলে আসলো বিকেলটা উপভোগ করার জন্য। আমিও কায়দা করে সুযোগটা লুফে নিলাম।
আমার পিসতুতো দাদা বাইক টা আমাদের বাড়িতে রেখে অন্য একটা কাজে গিয়েছিল। তাই আমি দাদার বাইকটা নিয়েই বের হই, যেহেতু গ্রামের দিকে যাওয়ার ইচ্ছে। আমাদের এখান থেকে প্রায় ৭,৮ কিলোমিটার দূরে গ্রামটা। আর সেটার রাস্তাটাও বেশ নিরিবিলি। বাইক নিয়ে বেরোনোর সময় আমার বন্ধু সৌরভ কে বললাম ক্যামেরা নিয়ে গেটের সামনে দাঁড়াতে। যাওয়ার সময় ওকে নিয়ে যাব। আসলে আমার উদ্দেশ্য ছিল ওর কাছ থেকে একটু ফটোগ্রাফি শিখবো। কারণ আমি অন্য সব কিছুতে নাক গলাতে পারলেও ছবি তোলার ব্যাপারে একদম কাচা।
সৌরভ কে নিয়ে যখন গ্রামের ভেতরের দিকে ঢুকে গেলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা লাগার আগ মুহূর্ত। আর একটু আগে রওনা দিলে বেশি ভালো হতো। সে যাই হোক আমি খুব ধীরে ধীরে বাইক টা নিয়ে গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। আসলে এমন নিরিবিলি রাস্তায়, আর এমন আবহাওয়ায় জোরে চালিয়ে কোন মজা নেই। আমরা নিজেদের মত করে গল্প করছিলাম আর সামনে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। সত্যি ভীষণ ভালো লাগছিল। যে দিক দিয়ে সামনে এগোচ্ছিলাম , কিছু দূর যেতেই দেখি আমাদের মত আরো অনেকেই বাইক নিয়ে এই রাস্তাতে এসেছে ঘুরতে। কেউ কেউ রাস্তার পাশে বসে গল্প শুরু করেছে।
আমি একটা ছোট বটগাছ দেখে তার মোড়ে দাড়িয়ে গেলাম। তারপর চুপচাপ দুজন চোখ বুজে খোলা মাঠের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। পাঁচ মিনিট কেউ কারোর সাথে কথা বলি নি। ঐ অপূর্ব হওয়া টা ভীষন আদরে গায়ে মাখলাম দুজনেই। তারপর তো সৌরভকে বললাম আমাকে একটু ছবি তোলা শেখাতে। ও বেচারা বেশ ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল আমার মোটা মাথায় সব ঢোকাতে গিয়ে। হিহিহিহি। আসলে সন্ধ্যে হয়ে গিয়েছিল একদম। তাই ভালো মত বুঝতে পারছিলাম ঠিক। চোখের সামনে যাই পেয়েছি সেসবের কয়েকটা ছবি তুলেছি। সেটা নিয়ে একটা পোস্ট করব দুই এক দিনের মধ্যেই। যাই হোক, আমাদের কথা হতে হতেই দেখি মেঘ গুড়গুড় করছে। হঠাৎ যদি বৃষ্টি নেমে যায় আশেপাশে কোথাও দাড়ানোর জায়গা নেই। তাই তাড়াতাড়ি দুজনে বাড়ির দিকে ছুটলাম।
প্রকৃতির পরিবেশে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাই। আসলে প্রকৃতির সবুজের মাঝে সময় কাটাতে পারলে এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে মনের মাঝে। ইট পাথরের শহর ছেড়ে প্রকৃতির মাঝে গেলে খুবই ভালো লাগে। মুহূর্ত গুলো খুব সুন্দর কাটিয়েছেন। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাই মাঝে মধ্যে শহর থেকে গ্রামে গেলে প্রকৃতির আসল মজা টা পাওয়া যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে সবুজ প্রকৃতির মধ্যে যখন হঠাৎ হাওয়া এসে শরীর স্পর্শ করে তখন মনের মধ্যে দারুণ এক প্রশান্তি অনুভূত হয়। যাহোক ভাইয়া, আপনার ছবি তোলার বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে পারলে সত্যি ই খুব ভালো লাগে।প্রকৃতির মাঝে বেশ সতেজ থাকা যায়। আর মনটাও খুব ভালো থাকে।আপনার বন্ধু সৌরভ ভাইয়ার কাছ থেকে ক্যামেরা দিয়ে ফটোগ্রাফি শেখার ইচ্ছা পোষণ করলেন।আশাকরি সামনের কোন পোস্টে তা দেখতে পাবো।তবে সময়টা খুব ইনজয় করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপু আমি দুই একের মধ্যেই ঐ নিয়ে দুই একটা ছবি পোস্ট করব। আশা করি ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো, দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। আসলেই গ্রামের এরকম পরিবেশে ঘুরতে খুবই ভালো লাগে, সেই জন্যই হয়তো আপনি আর আপনার বন্ধু ৫ মিনিট ধরে মুগ্ধ হয়ে, প্রকৃতির সেই সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। শেষ পর্যন্ত তাহলে , সন্ধ্যা নামার কারণে ,আপনার বন্ধুর থেকে আপনার ফটোগ্রাফি শেখা খুব একটা হলো না মনে হচ্ছে।
ওরে বাবারে,,,🙄 যে সব আবোলতাবোল ছবি তুলেছি ওগুলো কে ফটোগ্রাফি বললে আমার পাপ হবে সত্যিই। তারপরও পোস্ট করব দুই একের মাঝেই। আপনি নিজেও একটু হেসে নিয়েন তখন কেমন।
না না, তা কেনো, হাসবো না 😂😂😂।