শারদীয় দুর্গোৎসব ২০২৩
নমস্কার,
বয়স বাড়ার সাথে সাথে উৎসবে আনন্দগুলো কেমন যেন একটু ফিকে হয়ে যায়। আমার কাছে এবার অনেকটা তেমনই মনে হচ্ছিল পুজোর ভেতর। আজ থেকে দশ বছর বা ৭-৮ বছর আগের সেই সময়গুলোকে ভীষণ পরিমাণে মিস করছিলাম। সবথেকে অবাক করা বিষয় সপ্তমীর দিন তো পুরো বাড়িতেই কাটিয়ে দিয়েছি। কোথাও আর ঘুরতে যাওয়া হয়নি। তবে অষ্টমী এবং নবমীর রাতে বন্ধুদের সাথে বেশ মজা করেছি। আগে তো চার্জার রিকশা ভাড়া করে নিয়ে সবাই মিলে ঘুরতাম। এবছরে একদিন অল্প সময়ের জন্য ঘুরেছি শুধু রিকশায়। একসাথে সবাই মাঠে বসে আড্ডা টাই বেশি হয়েছে।
আমাদের এদিকে রাত যত গভীর হতে থাকে পূজোর মজা টাও যেন তত বাড়তে থাকে। পূজোয় লাইটিং দেখতে বেশি ভালো লাগে । যেসব মন্ডপে লাইটিং এর ব্যবস্থা ছিল সেখানে গিয়ে বেশ ভালো সময় নিয়ে ঠাকুর দেখেছি। এক এক মন্ডপে এক এক রকমের প্রতিমা। বেশ কিছু মন্ডপের থিম গুলো বেশ ইউনিক ছিল। এক কথায় ভালো লাগার মত। প্রতি বছর কিছু না কিছু নতুনত্ব থাকে সব খানেই। আমাদের এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কোথাও ডেকরেশনে আবার কোথাও প্রতিমায় নতুনত্ব আনার চেষ্টা করা হয়েছে।
আমার আবার একটু মন ভোলা অভ্যেস আছে ছবি তোলা নিয়ে। অনেক সুন্দর সুন্দর প্যান্ডেল দেখেছি, যেগুলোর ছবি তোলার কথা একদম ভুলে গিয়েছি। একসাথে পাঁচ ছয় জন থাকলে যা হয় আর কি। একটা না তো একটা টপিকে চর্চা হয়ে গেছে সব সময়। তাই অনেক কিছুই মিস করে গিয়েছি।
অনেককে দেখি অনেক দূর দূরান্তে গিয়ে পূজো দেখে। আমার ছোট বেলা থেকেই এই জিনিসটা একদম ভালো লাগে না। পূজোর সময় নিজের এলাকা ছাড়া কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না। সত্যি বলতে নিজের পাড়াতে যতখানি বুক ফুলিয়ে হাঁটতে পারি, অন্য কোথাও এই ব্যাপারটা হয়তো হবে না । তাই আমার এলাকায় যেটুকু যা হয় এতেই আমার পরিতৃপ্তি।