আমাদের গল্প (৭)

in আমার বাংলা ব্লগlast year

নমস্কার,,

book-863418_1280.webp

Source

ষষ্ঠ পর্বের পর থেকে

সেই রাতের পর থেকে প্রান্ত আর সাথীর মাঝে মাঝেই কথা হতো ফোনে। তবে প্রান্ত বেশি ফোন করতো না। কেমন যেন লজ্জা পেতো ছেলেটা। কিন্তু ফোনে টুকটাক ম্যাসেজ ঠিকই করতো। ও হ্যাঁ আরেকটা মজার ব্যাপার যে ওরা কেউ ফেইসবুকে অ্যাড ছিল না। আসলে সাথী অ্যাড হতে চাইলেও প্রান্ত বারণ করতো। কারণ প্রান্ত ফেসবুক খুব একটা ব্যবহার করতো না। ওখানে ঢুকলেই ফালতু সময় কেটে যায়। কাজের চাইতে অকাজের জিনিসই বেশি। যতটা সম্ভব এখান থেকে দূরে থাকা যায় ততোই মঙ্গল। এমনই ছিল প্রান্তর ধ্যান ধারনা। অন্য দিকে সাথীও খুব একটা জোর করতো নাহ্। সে নিজেও ব্যাপারটা বেশ ভালো ভাবেই বুঝতে পারে।

ওদের যে রোজ কথা হতো এমন টাও না। প্রান্ত ভাবতো সাথী আজকে আগে ফোন করুক, ঐ দিকে সাথী ভাবতো প্রান্ত আগে ফোন করুক। রাতে ঘুমানোর আগে অনেক সময় এভাবে ফোনের দিকে চেয়ে চেয়েই ঘুমিয়ে যেত দুজনে। মজার ব্যাপার হলো কেউ কাউকে কখনোই বুঝতে দিতে চাইতো না যে তারা একে অপরের প্রতি কত খানি দূর্বল হয়ে পড়েছে।

একদিন সন্ধ্যার পর পর দুজনের কথা হচ্ছে। হঠাৎ প্রান্ত বলে বসলো,

"আচ্ছা সাথী, এই বার বই মেলা তে ঢাকা গেলে তুমি আসবে তো দেখা করতে?"

"সেটা তো কোনো ব্যাপার না। তার আগে প্রার্থনা করো যে, নেক্সট উইকে যেন আমার ঐ প্রাইভেট ভার্সিটিতে অ্যাডমিশন কনফার্ম হয়ে যায়।"

"আরে ওটা এমনিতেই হয়ে যাবে, চাপ নেই।"

"হলে তো মিটেই গেল। এক সপ্তাহ পর থেকেই ক্লাস শুরু হবে। আর আমিও ঢাকাতে শিফট করে যাব। তাহলে আর দেখা করা বলো, আড্ডা দেওয়া বলো, কোন কিছুতেই প্রবলেম হবেনা।"

"তার মানে দাঁড়াচ্ছে যে, ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে যদি সব কিছু ঠিক থাকে তবে বই মেলাতে আমাদের দেখা হচ্ছে।"

"হ্যাঁ, অনেকটা এমনই বলতে পারো। আর এমনিতেও আমি একদম শেষের দিকেই মেলাতে যাই। সেদিক থেকে বেশ ভালোই হলো।"

সেদিনের মত সেখানেই কথা শেষ হয় দুজনের। দুজনেই মনে মনে বেশ খুশি। কিন্তু ভালো কিছুর আগে যে একটু ভোগান্তিতে পড়তে হয় এটা বোধ হয় ঈশ্বরের একটা দারুণ পরীক্ষা। ঐ দিন রাতেই জানালা দিয়ে সাথীর ফোন টা চুরি হয়ে যায়। আর পরদিন বৃষ্টিতে ভিজে প্রান্তর ফোনের বারোটা বেজে যায়। অনেক ছোটাছুটির পর জানতে পারে ফোনের মাদার বোর্ড টাই নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন ফোন ছাড়া আর কোন উপায় নেই। সৃষ্টিকর্তার কি এক লীলা খেলা। এক সাথেই দুজনকে বিপাকে পড়তে হলো। প্রান্ত আর সাথীর যোগাযোগ প্রায় তিন চার দিন ধরে বন্ধ। দুজনেই নতুন ফোন নিয়ে নিল। কিন্তু কারোর নাম্বার কারোর কাছে আর নেই। ফোনটা পুরো ব্ল্যাঙ্ক। আর ঠিক তখন প্রান্ত বুঝতে পারলো সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাড থাকা কতটা দরকারি ছিল দুজনের জন্যই।

চলবেই ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

Sort:  

ওরে বাপ রে এখনো প্রান্ত আর সাথীর দেখা হয়নি। আমি তো ভেবেছিলাম মনে হয় গল্প শেষ হয়ে গেছে। প্রেমটা এরকম স্লোলি হচ্ছে কেন বলেন তো সজীব ভাই। যাই হোক মাঝখানে আবার একটা সমস্যা হল একজনের ফোন চুরি হয়ে গেল আর একজন এর টা তো বৃষ্টির জলে ভিজে গেল। এখন দেখা যাক বইমেলায় দেখা হয় নাকি তাদের।

 last year 

হাহাহাহাহা,,, আসলে ভাই খুব চাপের ভেতর দিয়ে দিনকাল যাচ্ছে। স্থির মাথায় বসে লিখে শেষ করার মত সুযোগটাই পাচ্ছি না। এটা আদেও শেষ হবে কিনা সেটাই বুঝতে পারছি না। তবে এটা আমার ভালো লাগা থেকে লিখছি, তাই একদিন না একদিন শেষ করবোই 😍।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65738.35
ETH 2677.27
USDT 1.00
SBD 2.91