জিমির জন্য কষ্ট - ( শেষ পর্ব )
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও খুব ভালো আছি। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে " জিমির জন্য কষ্ট " নামক একটি গল্প শেয়ার করব । গল্পটির শেষ পর্ব নিচে দেখে নেওয়া যাক। |
---|
বাবার কথার রেশ টেনে আমাদের বাড়ির কাজের লোক বলল, 'তাই তো গেটের বাইরে রক্ত দেখলাম, জিমি দাঁড়ানো মাত্র অনেক রক্ত ঝরল। জিমি বোধ হয় এখন বাঁচবে না। বাবাকে প্রশ্ন করলাম, 'সত্যি কি জিমি বাঁচবে না?' বাবা বললেন, 'না, কিছুই হয় নাই । আমি ওষুধ দেব, ভালো হয়ে যাবে। বার বার মনে হতে লাগল- তবে কি জিমি আমার সঙ্গে অভিমান করে গত রাতে বাড়ির বাইরে ছিল? আর তাই কি ওর এমন হলো? কেন যে ওকে কাল চা দিইনি। চা খেতে না পেয়ে অভিমান করে বাড়ি আসল না। রাতে এ কী হলো। এই সব মনে হচ্ছে আর আমার কান্না পাচ্ছে। অন্য সময় আমি ডাক দিতেই আমার কাছে এসে দাঁড়িয়ে লেজ নাড়ে আর কুঁই কুঁই শব্দ করে। কিন্তু আজকে উঠে দাঁড়াল না। জিমির ঐ অবস্থা দেখে আমি কেঁদে ফেলেছি। কেমন নিষ্ঠুর মানুষ, এই অবলা জীবকে মেরেছে। তাদের কি কোনো দয়ামায়া নেই? মায়েরও খুব মন খারাপ হয়েছে। মা বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলল, 'তুমি তাড়াতাড়ি এর জন্য ক্যাপসুল ও ব্যথার ওষুধ নিয়ে এসো। জিমি বোধ হয় সারা রাত কিছুই খায়নি। ওতো মানুষের মতো কথা বলতে পারে না। তবে বোঝা যাচ্ছে যে, সে অভিমান করে খুব অপরাধ করেছে। আর আমারও খুব অনুশোচনা হচ্ছে যে, চা দিলে জিমি বোধ হয় আর অভিমান করে বাইরে যেত না। আর বাইরে গিয়েছে বলেই তো এমন নির্মমভাবে মার খেল। বোন বলল, 'কী, আমি বলেছিলাম না, তোমার জিমি ঠিকই ফিরে আসবে। মা বলল, 'এবার তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট করে চা খাও আর জিমিকে ভদ্রতা খেতে দাও।' কথাটা শুনে হাসল সবাই আর জিমি ওর ভাষায় কুঁই কুঁই করল।