আমার বাংলা ব্লগ। ইলিশ মাছ দিয়ে কচুর লতির মজাদার রেসিপি। ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
আর দেরি না করে চলুন যাওয়া যাক মূল পর্বে।
ইলিশ মাছ দিয়ে কচুর লতির মজাদার রেসিপি।
ইলিশ মাছটা তুলনামূলক ছোট, কিন্তু এটা যে পদ্মার অরজিনিয়াল ইলিশ মাছ এতে কোন ভুল নেই। তাই প্রথমে আমি আজকে ইলিশ মাছের ফটোগ্রাফি টা নিলাম।
ইলিশ মাছ দিয়ে কচুর লতি মজাদার রেসিপি উপকরণ।
- কচুর লতি ৫০০ গ্রাম।
- ইলিশ মাছ ৬০০ গ্রাম।
- হলুদের গুঁড়া ১চা চামচ।
- মরিচের গুঁড়া ১চা চামচ।
- রসুন বাটা ২চা চামচ।
- ধনিয়ার গুড়া ২চা চামচ।
- পেঁয়াজ কুচি ২টি।
- কাঁচামরিচ কুচি ৪/৫টি।
- ধনিয়া পাতা কুচি পরিমান মত।
- লবণ পরিমাণমতো।
- সয়াবিন তেল পরিমাণমতো।
ধাপ - ১
ইলিশ মাছ টাকে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম।
ধাপ - ২
হাফ চামচ পরিমাণ হলুদ হাফ চামচ পরিমাণ লবণ দিয়ে ইলিশ মাছ গুলোকে আমি মেখে রাখলাম।
ধাপ - ৩
প্রথমে চুলাতে কড়াই বসিয়ে দিলাম, তেল গরম হওয়ার পর পেঁয়াজ আর কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৪
এরপরে একসাথে সবগুলো মসলা দিয়ে দিলাম, আমি মশাগুলো কে তেলে ভেজে নিচ্ছি।
ধাপ - ৫
এখন আমি মসলা গুলোকে কষানোর জন্য দেড় কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৬
মসলাগুলো কষানো হয়ে গেছে, এখন আমি ইলিশ মাছ গুলো মাসলার মধ্যে দিয়ে দেবো।
ধাপ - ৭
ইলিশ মাছ গুলোকে এপিঠ-ওপিঠ উল্টিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিচ্ছি।
ধাপ - ৮
এই ইলিশ মাছ গুলো প্রায় অনেকটা কষানো হয়ে গেছে। মাছগুলো এখন খাওয়ার উপযুক্ত।
ধাপ - ৯
কষানো মসলার থেকে মাছগুলো উঠিয়ে আলাদা একটা পাত্রে রেখে দিলাম।
ধাপ - ১০
কচুর লতি গুলো কষানো মসলার সাথে ভালো করে মিক্স করে নিলাম এবং আমি এই মসলায় কচুর লতি গুলো
কসোভো।
ধাপ - ১১
কচুর লতি অল্প সময়ের ভিতর সেদ্ধ হয়ে যায় এ কারণে আমি পরিমাণমতো পানি দিয়ে উপরে মাছগুলো ছেড়ে দিলাম।
ধাপ - ১২
কচুর লতি গুলো প্রায় হয়ে গেছে আমি জলটা আর একটু কমিয়ে নেব।
ধাপ - ১৩
এখন আমি ধনেপাতা দিয়ে দিলাম ধনেপাতা দিয়ে আরেকটু ঝোলটা কমিয়ে নেব। আর নামিয়ে ফেলল ঝোলটা শুকিয়ে যাবে।
ধাপ - ১৪
তৈরি হয়ে গেল আমার মজাদার ইলিশ মাছ দিয়ে কচুর লতি রেসিপি। পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলো।
ধাপ - ১৫
পরিবেশন করার আগে একটা সেলফি নিলাম।
বন্ধুরা কেমন লেগেছে ইলিশ মাছ দিয়ে কচুর লতির মজাদার রেসিপি। আশা করি সকলের ভাল লাগবে। আর কচুর লতি বরাবরই আমার খুব প্রিয় আর সাথে ইলিশ মাছ হলে তো কোন কথাই নেই। যাই হোক ভালো মন্দ কমেন্টে জানাবেন এবং সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
ওয়াও অসাধারণ একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার দেখে খুব ভালো লাগলো। সব মাছের থেকে ইলিশ স্বাদ টা যেন অন্য রকম । শীতকালে রাতে যদি রেসিপিটি তৈরি করে সকালে বেলা জমে খির হয়ে থাকে। তখন আমার বেশ খাইতে ভালো লাগে। সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন এবং কি আপনার কথা শুনে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। রাতে রান্না করে সকালবেলা জমে থাকা খাবারগুলো খেতে অন্যরকম লাগতো যদিও এখন আর ঐ স্বাদ পাওয়া যায় না। আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
সকাল সকাল এতো মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করলেন ভাইয়া দেখে জিভে জল চলে আসলো। কচুর লতি দিয়ে ইলিশ মাছ খেতে খুবই ভালো লাগে। এছাড়া আপনি অনেক সুন্দর করে এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন। দেখেই মনে হচ্ছে খেতে ভালো হয়েছে। আপনার রেসিপি তৈরীর পুরো প্রসেস অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। দারুন ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আমার পছন্দের খাবার আপনারা যে পছন্দ সেটা জানতে পেরে খুবই আনন্দ অনুভব করছি। এবং কি আপনি সব সময় এত সুন্দর মনের ভাবগুলো প্রকাশ করেন যা আমার কাজ করতে অনেক আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। আপনার এত সুন্দর কমেন্টের জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই ইলিশ মাছ দিয়ে কচুর লতি রেসিপি টি । তবে ইলিশ মাছ ও কচুর লতি আলাদা আলাদা অনেক খেয়েছি । কিন্তু ইলিশ মাছ ও কচুর লতি একসাথে রান্না করে কখনো খাইনি । আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয় । আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে ভাই । তবে আপনার উপস্থাপনা দেখে শিখে গেলাম , বাসায় ট্রাই করব । ধন্যবাদ আপনাকে ।
কি বলেন ভাই কচুর লতির ইলিশ মাছ খাননি এটা তো খুব আফসোস এর ব্যাপার এর মত মজাদার রেসিপি আর হয়। যাইহোক দেখে যেহেতু শিখিয়েছেন একবার খেয়ে দেখবেন বারবার খেতে ইচ্ছে করবে। আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আমার কাছে কচুর লতি এবং ইলিশ মাছ দুইটাই ভালো লাগে।কিন্তুু আমরা বেশি কচুর লতি দিয়ে নোনা ইলিশ দিয়ে খেতে বেশি পছন্দ করি।আপনার রেসিপিটাও অনেক টেস্টি হয়েছে।
আপনি ইলিশ মাছ দিয়ে যেভাবে রান্না করেন না কেন এটা খুবই মজাদার হয়। তবে আমাদের এদিকে নোনা ইলিশ তেমন একটা পাওয়া যায় না। আর যেগুলো পাওয়া যায় এগুলোতে তেমন কোন মজা পাওয়া যায় না। কারণ এগুলো তে লবণ দিয়ে ভরপুর করে রাখে আগের মত নাই এখন তেমন একটা মেলে না বললেই চলে। যাই হোক রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জানতে পেরে খুশি হলাম। আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
বিপরীত ধরনের দুটি খাবার একসাথে করেছেন আপনি। ইলিশ মাছ আমার খুবই পছন্দের কিন্তু কচুর লতি আমি খেতে পারি না। জানিনা দুটোর কম্বিনেশন কেমন হবে। উপস্থাপনের ধরনটা বরাবরের মতই সুন্দর। শুভকামনা আপনার জন্য
ইলিশ মাছ পছন্দ করেনা এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া খুব কষ্টকর হবে। তবে আপনি যে কচুর লতি খেতে পারেন না এটা শুনে আমার রীতীমতো অবাকই লাগছে। আর দুটো কম্বিনেশন অসাধারণ। কষ্ট করে হলেও একবার খেয়ে দেখবেন দারুন লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
ইলিশ মাছ দিয়ে অনেক সুস্বাদু একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। ইলিশ মাছ দিয়ে কচুর লতি রান্না করলে এমনিতেই খেতে সুস্বাদু হয়। তমনি আপনার রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। সত্যি এরকম মজার মজার রেসিপি দেখলে খেতে খুব ইচ্ছে করে। তেমনি আপনার রেসিপির আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এক কথায় অসাধারন একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার ভালো লেগেছে এবং আপনার খেতে মন চাইছে এ কথাটা শুনে খুবই ভালো লাগছে। এবং আপনাদের এই উৎসাহমূলক কমেন্টগুলো কাজের অগ্রগতি বাড়িয়ে দেয়। আপনাকে আমার পক্ষ থেকে দাওয়াত রইলো চলে আসেন আমার বাসায় আবার তৈরি করে খাওয়াবো। এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনার প্রতি রইল অসংখ্য ধন্যবাদ।
ওয়াও ভাইয়া দারুন একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। ইলিশ মাছ দিয়ে কচুর লতি। মাছ ও কচুর লতি দুটো আমার অনেক পছন্দের। তবে একসাথে কখনো খাওয়া হয়নি রান্না করে। আপনার রেসিপি প্রক্রিয়া দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
কি যে বলেন ইলিশ মাছ এবং কচুর লতিতে পুরনো একটা ভাব থাকে।
আর এই রেসিপিটা খুবই সুস্বাদু এবং দারুন লাগে । যেহেতু কখনো খান নাই একবার তৈরি করে খেয়ে দেখবেন সেই সুস্বাধু একটা রেসিপি। আর আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
ইলিশ মাছ দিয়ে খুব সুন্দর একটি রেসিপি করেছেন আপনি দারুন হয়েছে।প্রতিটা ধাপ গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।শুভ কামনা রইলো।
আপনার সুন্দর এবং কি গঠনমূলক মন্তব্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। এত সুন্দর একটি মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
পদ্মার ইলিশ দেখিয়ে তো লোভ ধরিয়ে দিলেন ভাইয়া। আপনার রান্নাটি দারুণ হয়েছে ভাইয়া। আমি কখনো এভাবে কচুর লতি দিয়ে ইলিশ মাছ খাইনি। তবে আপনার রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে খেতেই হবে। খুবই মজার লাগছে। দারুণ একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হায় হায় কি বলেন আপনি এভাবে কখনো খাননি। ইলিশ মাছ দিয়ে কচুর লতি হেব্বি টেস্ট কি জিনিস মিস করলেন আপনার জন্য খুব আফসোস হচ্ছে দারুন একটা রেসিপি আপনি এখনো খান নাই। যাই হোক পদ্মার ইলিশ আপনি পছন্দ করেন এবং কি আপনি খুব প্রশংসা করেছেন রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে এটা শুনে খুবই আনন্দ পেলাম। আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। কচুর লতির সাথে ইলিশ মাছ মানেই রান্না জমে গেল। আপনার এই রান্না দেখে তো লোভ লাগতেছে, কিছুদিন আগে খেলেও এখন আবার খেতে ইচ্ছে করতেছে। ধন্যবাদ ভাই এই রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
আমার রেসিপি দেখে আপনার লোভ লেগে গেছে এটা শুনে খুবই ভালো লাগছে। আপনার জন্য দাওয়াত রইল আপনি চলে আসেন আপনাকে আমি রেসিপি তৈরি করে খাওয়াবো। আর হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন ইলিশ মাছ দিয়ে কচুর লতি হেব্বি লাগে। আপনাদের উৎসাহ কাজের আগ্রহ বেড়ে যায়। এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।